সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ নগরীতে সংঘটিত চাঞ্চল্যকর ‘হকার জুবায়ের হোসেন’ হত্যাকান্ডের প্রধান আসামী ইকবালকে বরিশালের উজিরপুর থেকে র্যাব-১১ গ্রেপ্তার করেছে। ২৭ অক্টোবর বুধবার বিকেলে এ তথ্য জানান র্যাব-১১ এর অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল তানভীর মাহমুদ পাশা।
তিনি জানান, গত ১৪ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জ নগরীর বঙ্গবন্ধু সড়কে বলাকা পেট্রোল পাম্পের সামনে ফুটপাতে দোকান বসানোকে কেন্দ্র করে হকার জুবায়েরকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। নিহত জুবায়ের ফতুল্লার উত্তর মাসদাইরের আমজাদ হোসেনের পুত্র। এ ঘটনায় নিহত জুবায়ের মা মুক্তা বাদী হয়ে প্রধান আসামী ইকবালসহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৫ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। এই ঘটনা সকল গণমাধ্যমে সংবাদ আকারে প্রকাশিত হয় যা ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে।
র্যাব জানায়, উল্লেখিত বিষয়ে প্রয়োজনীয় তথ্যাদি সংগ্রহসহ ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন ও ঘটনায় জড়িত প্রধান আসামী ইকবালসহ অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারে র্যাব-১১ এর একটি গোয়েন্দা দল ছায়া তদন্ত শুরু করে।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৬ অক্টোবর র্যাব-১১ ও র্যাব-৮ এর একটি যৌথ আভিযানিক দল বরিশাল জেলার উজিরপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে নিহত জুবায়ের হোসেন হত্যা মামলার প্রধান আসামী মোঃ ইকবাল হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে সোনারগাঁও উপজেলার বুরুমদী আব্দুস সামাদের ছেলে।
র্যাব আরও জানায়, নারায়ণগঞ্জ নগরীর বঙ্গবন্ধু সড়কে সাধু পৌলের গির্জার সামনে ফুটপাতে সাদেকের জুতার দোকানে চাকরি করতো জুবায়ের। ফুটপাতে দোকান বসানো নিয়ে হকার স্বপনের সাথে ভিকটিম জুবায়ের এর বাকবিতন্ডা হয় এবং এক পর্যায়ে স্বপন জোবায়েরকে বলাকা পেট্রোল পাম্পের সামনে নিয়ে চর থাপ্পড় মারতে থাকে।
পরবর্তীতে ভিকটিম জুবায়ের এর প্রতিবাদ করলে হকার নেতা আসাদের হুকুমে মামলার প্রধান আসামী ইকবাল মহসিনের দোকান থেকে ধারালো চাকু এনে জুবায়েরকে কুপিয়ে জখম করে এবং অন্যান্য আসামিরাও জুবায়েরকে মারধর করে পালিয়ে যায়।
উল্লেখ্য যে শিল্পনগরী নারায়ণগঞ্জের মূল্যবান স্থাপনা ও গুরত্বপূর্ণ সড়কের ফুটপাতের নিয়ন্ত্রণ নিতে বিভিন্ন হকার গ্রুপ স্বক্রিয় যার ফলশ্রুতিতে আলোচ্য হত্যাকান্ড সংঘটিত হয় বলে প্রতীয়মান।