সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার আলীরটেক ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ সায়েম আহমেদ আলীরটেক ইউনিয়নের মাটির সন্তান, তাকেই ইউনিয়নের মানুষ ভোট দিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করবেন বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। আলীরটেকের মানুষ অতীতের মত কোনো ভাড়াটিয়া কোনো বহিরাগতকে ভোট দিয়ে এবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত করবে না। যারা আলীরটেকের সাধারণ সহজ সরল মানুষকে বোকা বানিয়ে নারায়ণগঞ্জ নগরীতে ব্যবসায়িক সেক্টরে চেয়ারম্যান পদটি ব্যবহার করে শত শত কোটি টাকা কামিয়েছেন। কিন্তু আলীরটেক ইউনিয়নের মানুষ রয়েছেন অবহেলিত। উন্নয়ন ধারায় চরাঞ্চল আলীরটেক ইউনিয়নবাসী বঞ্চিত। কারন এখানে অতীতে যারা চেয়ারম্যান হয়েছেন তারা ভোটের সময় এলাকাবাসীর কাছে গিয়ে ভোট চেয়ে চেয়ারম্যান হলেও ভোটের পর তারা অবস্থান নিয়েছেন নগরীতে। কিন্তু এবার তারা এই ভুল আর করবে না। তারা সায়েমকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করতে চান, যার আলীরটেকের মাটির সাথে সম্পৃক্ততা রয়েছে, মানুষের সঙ্গে যার যোগাযোগ রয়েছে।
৪ নভেম্বর বৃহস্পতিবার আলীরটেক ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের গোপচর এলাকায় আনারস প্রতীকে ভোট প্রার্থনায় ঘরে ঘরে গেলে ভোটাররা গণমাধ্যম কর্মীদের সামনে এসব কথা বলেন। ভোটাররা বলেন, ‘সায়েম আমাদের আলীরটেক ইউনিয়নের গর্ব, আলীরটেক ইউনিয়নের মাটির সন্তান, আমরা তাকেই ভোট দিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করবো। অতীতের মত কোনো ভাড়াটিয়া বহিরাগতকে এবার ভোট দিবো না।’
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইউনিয়নের শক্ত প্রতিদ্বন্ধি স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ সায়েম আহমেদ ও তার আত্মীয়স্বজন- নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সাঁজানো ঘটনা সাঁজিয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়েছিল বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। তাদের দাবি- মুলত সায়েম আহমেদকে নির্বাচন থেকে সরিয়ে ফাঁকা মাঠে গোল দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়েই নির্বাচনী প্রচারণায় নেমেছেন এই প্রার্থী। আলীরটেক ইউনিয়নের জনপ্রিয় চেয়ারম্যান প্রার্থী সায়েম আহমেদকে হয়রানি করায় গণসংযোগকালে তাকে কাছে পেয়ে এক বৃদ্ধা মা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। বৃদ্ধা মায়ের এমন কান্নায় আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন চেয়ারম্যান প্রার্থী সায়েম।
বৃহস্পতিবার আলীরটেক ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের গোপচর এলাকায় আনারস প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করে গণসংযোগ করেন চেয়ারম্যান প্রার্থী সায়েম। ওই সময় ঘরে ঘরে গিয়ে মা-বোনদের কাছে ভোট প্র্রার্থনা করেন তিনি। তাকে দেখতে নারীরা ঘর থেকে বের হয়ে তাকে ভোট দিবেন বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। হয়রানি শেষে তাকে নির্বাচনী মাঠে দেখে মা-বোনেরা কেঁদে ফেলেন। তারা জানান সায়েমের জামিনের জন্য তারা দোয়া প্রার্থনা করেছিলেন। এক বৃদ্ধা মা সায়েম আহমেদকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। সায়েমের বিজয়ের জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনাও করেন ওই বৃদ্ধা মা।
বৃহস্পতিবার স্থানীয় আওয়ামীলীগ ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী এবং স্থানীয় মাণ্যগণ্য ব্যক্তিবর্গ সহ সর্বস্তরের জনগণকে নিয়ে আনারস প্রতীকে ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের গোপচর এলাকায় ভোট প্রার্থনা করেন তিনি।
স্থানীয়রা জানান, সাঁজানো ঘটনায় মিথ্যা মামলা ও নেতাকর্মীদের হুমকি ধমকি সহ নানা বাধাবিপত্তি পেরিয়ে নির্বাচনী মাঠে পুুরোদমে প্রচারণায় নেমেছেন আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ সায়েম আহমেদ। নির্বাচনী প্র্রচারণায় সায়েম আহমেদকে কাছে পেয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন আলীরটেক ইউনিয়নবাসী। অধম্য সাহসী এই চেয়ারম্যান প্রার্থীর প্রচারণায় জেগে ওঠেছে আলীরটেক ইউনিয়নবাসী। তারা আনারস প্রতীকে তাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। যেভাবে বিগত এক বছর যাবত নির্বাচন ও সুষ্ঠু ভোটের দাবিতে ইউনিয়নবাসীকে নিয়ে সায়েম আহমেদ আন্দোলন করে আসছিলেন ঠিক সেভাবে নির্বাচনেও নানা ষড়যন্ত্র বাধা পেড়িয়ে ভোটের লড়াইয়ে নামায় ভোটাররা তাকে কাছে পেয়ে উচ্ছ্বসিত।
স্থানীয়রা আরো জানান, ষড়যন্ত্রের জাল বেধ করে ৩ নভেম্বর বুধবার আলীরটেক ইউনিয়নে আনারস প্রতীকে নির্বাচনী গণসংযোগে নেমেই তাক লাগিয়ে দিয়েছেন তিনি। যেখানে শতশত নারী সহ হাজার হাজার জনতা তার নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করে, যা রীতিমত জনস্রোত সৃষ্টি হয়।
আগের দিন বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে আলীরটেক ইউনিয়নের গোপচর বাজার সংলগ্ন ঘাট থেকে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন চেয়ারম্যান প্র্রার্থী সায়েম। সেখানে সায়েম আহমেদের আগমন উপলক্ষ্যে হাজার হাজার জনতা অবস্থান নিয়ে তাকে স্বাগত জানান। এ সময় আনারস আনারস শ্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে আলীরটেকের পুুরো এলাকা। হাজার হাজার জনতার ভীড়ে আবেগাপ্লুত হয়ে ওঠেন সায়েম আহমেদ। সেখান থেকে নির্বাচনী গণসংযোগ শুরু করেন তিনি।
গণসংযোগকালে শত শত নারীরা তাকে এক নজর দেখার জন্য রাস্তার দ্বারে, কেউবা ভবনের ছাদে, কেউবা বাড়ির কোণো অবস্থান নেন। মিথ্যা মামলায় সায়েম আহমেদকে হয়রানি করায় বৃদ্ধ মায়েরা সায়েম আহমেদকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। নারীরা এর জবাব ভোটের মাধ্যমে দিবেন বলে জানান। অনেক নারী জানান সায়েম আহমেদের জামিনের জন্য নারীরা নফল রোজা রেখেছিলেন। ওই সময় বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত শতশত নারীরাও আনারস প্রতীকে শ্লোগান দিয়ে মিছিল করেন। সায়েম আহমেদকে ফুলের মালা গলায় পড়িয়ে দিয়ে বরণ করে দেন নারী ভোটাররা।
শুধু নারীরাই নন, যুবক-বৃদ্ধ মান্যগণ্য ব্যক্তিবর্গ সহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার হাজার হাজার মানুষ সায়েম আহমেদের নির্বাচনী গণসংযোগে নেমে পড়েন। আনারস আনারস শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে আলীরটেক ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায়। জনস্রোত নিয়ে সায়েম আহমেদ আলীরটেক ইউনিয়নের গোপচর, কুড়েরপাড়, কুড়েরপাড় বাজার সহ বেশকটি এলাকা সন্ধ্যা রাত পর্যন্ত ভোট প্রার্থনা করেন।
অন্যদিকে চেয়ারম্যান প্রার্থী মো: সায়েম আহমেদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েছেন ২ নভেম্বর মঙ্গলবার। গত ২২ অক্টোবর শুক্রবার বিকেলে আলীরটেক এলাকায় আচরণবিধি লঙ্ঘন করে চেয়ারম্যান পদে নৌকার প্রার্থী জাকির হোসেনের কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় আলীরটেক ইউনিয়নের গুঞ্জুকুমারীয়া এলাকা থেকে জাকির হোসেন বাহিনীর সন্ত্রাসীরা যাওয়ার পথে কুড়েরপাড় ব্রীজে যানজট থাকায় অটোরিক্সা চালক ও অটোর যাত্রীদের মারধর শুরু করে।
ওই সময় অটোযাত্রী কুড়েরপাড় এলাকার মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে আলামিন অটোরিক্সা চাপাতে বলা মাত্রই জাকির হোসেন বাহিনীর সন্ত্রাসী আবদুর রহমান সহ ৭/৮ জন আলামিনকেও মারধর শুরু করে। এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীদের হাতে থাকা সেভেন আপের বোতল ভেঙ্গে আলামিনের পেটে আঘাত করতে গেলে আলাামিন হাত দিয়ে ফেরানোর চেষ্টা করেন।
ওই সময় ভাঙ্গা সেভেন আপের বোতলের আঘাতে আলামিনের হাত রক্তাক্ত জখম হয়। একই সময় সন্ত্রাসীরা উপর্যুপুুরি আলামিনকে মারধর করতে থাকলে আলামিন মাটিয়ে লুটিয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। আশপাশের লোকজন এসে সন্ত্রাসীদের হাত থেকে আলামিনকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে আলামিনের হাতে ৬টি সেলাই দেয়া হয়। পরবর্তীতে আলামিন সদর মডেল থানায় গুঞ্জকুমারীয়া এলাকার আব্দুল গণির ছেলে আব্দুর রহমানের নাম উল্লেখ করে আরো ৭/৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু আহত আলামিনের অভিযোগে মামলা গ্রহণ করেনি পুলিশ। উল্টো হামলাকারীদের পক্ষে মামলা গ্রহণ করে আহত রক্তাক্ত জখম আলামিনকেও আসামি করা হয়।
এই ঘটনার একদিন পর পুলিশের রহস্যকজনক ভুমিকায় ভিন্ন অভিযোগে চেয়ারম্যান প্রার্থী সায়েম আহমেদ, তার আত্মীয়-স্বজন ও তার লোকজনের নামে মামলা দায়ের করা হয়। সদর থানা আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক পরিচয়দারী এসএম সালেহ আহামেদ খোকন এই মামলা দায়ের করেন। অথচ অটো যাত্রী আলামিনকে মারধর করেছিল জাকির হোসেনের লোকজনই।
জাকির হোসেনের এমন কুটকৌশলের পর অবাধ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের লক্ষ্যে মিথ্যা মামলায় স্বতন্ত্র প্র্রার্থীর আত্মীয়স্বজন ও নেতাকর্মীদের পুণরায় হয়রানি না করার দাবিতে এবং নিরীহ মানুষদের নির্যাতন না করার দাবিতে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এবং পুলিশের মহা-পরিদর্শক (আইজিপি) সহ ৮টি রাষ্ট্রীয় দপ্তরে লিখিত আবেদন করেছেন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী সায়েম আহমেদ।
গত ২৫ অক্টোবর সোমবার ও ২৬ অক্টোবর মঙ্গলবার চেয়ারম্যান প্রার্থী সায়েম আহমেদ এসব দপ্তরে লিখিত আবেদন করেন। লিখিত আবেদনে তিনি অভিযোগ তুলেছেন- ইউপি নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার লক্ষ্যে চেয়ারম্যান প্রার্থী সায়েম আহমেদ ও তার নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা কল্পকাহিনী সাঁজিয়ে গত ২২ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি হয়রানিমুলক মামলা দায়ের করে হয়রানি করা হচ্ছে এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রভাবিত করে এলাকার নিরীহ জনগণ সহ তার লোকজনকে এলাকা ছাড়ার হুমকি ধমকি দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
২৫ অক্টোবর সোমবার প্রধান নির্বাচন কমিশন, পুুলিশ হেডকোয়াটার্স আইজিপির কমপ্লেইন মনিটরিং সেল, পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি এবং ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার বরাবর লিখিত আবেদন করেন তিনি। এছাড়াও ২৬ অক্টোবর মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার, জেলা নির্বাচন কমিশনার ও নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর একই আবেদন তিনি দাখিল করেছেন।