সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
বন্দর সদর ইউনিয়ন পরিষদের ৯নং ওর্য়াড মেম্বার পদপ্রার্থী শাওন মিয়া তালা প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করে গণমিছিল করেছে। ৫ নভেম্বর শুক্রবার সকালে মেম্বার প্রার্থী শাওন মিয়ার “তালা প্রতীকের পক্ষে গণমিছিলে নের্তৃত্ব দেন মহানগর আওয়ামীলীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও শিক্ষানুরাগী হুমায়ন কবির মৃধা, বন্দর থানা আওয়ামীলীগের নেতা সহিদুল হাসান মৃধা।
বন্দর থানা মুক্তিযোদ্ধা জনতালীগের সাধারন সম্পাদক শুক্কুর প্রধান, কুদ্দুস মৃধা, কদমরসুল পৌর যুবলীগের সহ সভাপতি শরীফ মিয়া, রবিউল ইসলাম, আলম মিয়া, রাশেদুল ইসলাম, সালেহ আহম্মেদসহ হাজার হাজার সমর্থক গণমিছিলে যোগদান করেন।
হুমায়ন কবির মৃধা কদমতলী এলাকায় বক্তব্য রাখেন, তিনি বলেন জনপ্রতিনিধি হবে তরুন শিক্ষিত, উন্নয়ন হবে দারুন। বিগত সময় থেকে ৯ নং ওর্য়াডে একজন ভাল মেন্বার খুজেছি। শাওন শিক্ষিত ও তরুণ। তাই শাওনকে নির্বাচনের জন্য আমরা সকলে প্রার্থী করেছি। ১১ তারিখে আপনারা ভোট দিয়ে বিজয়ী করেন। তারপর যদি শাওন আপনাদের সাথে যোগাযোগ না রাখে তাহলে আমি এর সকল দায়িত্ব পালন করবো। প্রয়োজনে রাজনীতি ছেড়ে দিব। ১ হাজার টাকার বিনিময়ে আপনাদের আমানত ভোট বিক্রি করলে বছরের পর বছর বলে থাকে টাকা দিলে ভোট পাওয়া যায়। জনগণের কাছে গিয়ে কি করবো। টাকা নিয়ে ভোট দিলে আপনাদের নিজের সাথে বেঈমানি করবেন। ৫ বছর ১৮২৫ দিন। ১ হাজার টাকা নিয়ে ভোট দিলে প্রতিদিন ৫৪ পয়সা করে পড়ে। টাকার বিনিময়ে আপনাদের আমানত ভোট বিক্রি করলে বছরের পর বছর তাকে আর খুঁজে পাবেন না। যেকোন প্রার্থী টাকা নিয়ে আসলে ৯৯৯ নাম্বারে ফোন দিবেন। যদিও শাওন মিয়াও টাকা নিয়ে আসে তাকে একইভাবে ব্যবস্থা নিবেন। ১ দিনের টাকার চেয়ে ৫ বছরের সুবিধা ভাল। শাওন মিয়া ইতিমধ্যে ভোটারদের কাছে গিয়ে অনেকটা মন জয় করতে সক্ষম হয়েছে।
এ সময় মোঃ শাওন মিয়া বলেন, আসলে বক্তব্য দেয়ার মতো কিছু নেই। আমার ওয়ার্ডের জনগন যেভাবে আমার ডাকে সাড়া দিয়ে এসেছে এবং আমি আজ তাদের মাঝে যে ভালবাসা পেয়েছি আমি সারাজীবন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ হয়ে থাকবো। তাদের এই ঋণ আমি কোনদিনও শোধ করতে পারবো না। আমার ৯নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ যেভাবে আমার প্রচারণা ও উঠান বৈঠক অনুষ্ঠানে ঝাপিয়ে পড়েছে আমি তাদের কাছে চির ঋণি হয়ে রইলাম। এই পাচঁ বছর আমাকে তালা মার্কায় ভোট দিয়ে আপনাদের সন্তান হিসেবে মেনে নিন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা, বন্দর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ রশিদ ভাই ও বন্দর সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন আহম্মেদ ভাইয়ের সার্বিক সহযোগিতায় উন্নয়নের মডেল করবো ৯ নং ওর্য়াড। আমি চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন ভাইয়ের মাধ্যমে বিগত সময় জনপ্রতিনিধি না হলেও তার মাধ্যমে উন্নয়ন করেছি। করোনা থেকে শুরু করে এই পর্যন্ত গরীব দুঃখী মানুষের পাশে সাধ্যমত দাঁড়িয়েছি এবং সেবা ও সাহায্য সহযোগিতা করেছি। ২টি ঈদে, করোনা মহামারতে নিজ উদ্যেগ, নিজস্ব তহবিল, বন্দর উপজেলা চেয়ারম্যান এম এ রশিদ ভাই, হুমায়ন কবির মৃধা ভাই, বন্দর সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এহসান ভাইয়ের মাধমে পাশে দাঁড়াতে চেষ্ঠা করেছি। আমাকে একবার সুযোগ দিন আপনাদের সুখে, দুঃখের সামিল হওয়ার সুযোগ দেন।
ভবিষ্যত পরিকল্পনা প্রসঙ্গে মোঃ শাওন মিয়া জানান, এই পাঁচ বছরে আমি মাদক নিমূলে যথেষ্ঠ সোচ্চার থাকবো। এই নির্বাচনে জয়লাভ করে আমি আমার ওয়ার্ড থেকে মাদক চিরতরে নির্মূল করবো, ইনশাল্লাহ। ৯ নং ওয়ার্ডের কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তির ছেলেরা এই মাদক বিক্রেতাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে থাকে। তাদের বিরুদ্ধেও আমরা এলাকাবাসীকে নিয়ে ব্যবস্থা নেবো।
মোঃ শাওন মিয়া আরো বলেন, আমাদের ইউনিয়নের জনপ্রিয় চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন ভাই আমাকে এই ওয়ার্ডে উন্নয়নের স্বার্থে যা দিয়েছেন এটা ভাষায় প্রকাশ করার মতো না। তিনি আমাকে সব ধরনের সহযোগীতা করবে। কারন ৯ নং ওর্য়াডের ভোটার চেয়ারম্যান সাহেব। তাই অন্য ওর্য়াড হতে আমার ওয়ার্ডে রাস্তা-ঘাট ও বয়স্ক ভাতাও আমি বেশি পাব।
গণসংযোগকালে কদমতলী, শান্তিরবাগ, কুশিয়ারা পশ্চিপাড়া, টি হোসেন বাড়ি, কুশিয়ারার একাংশ এলাকায় শাওন মিয়া এলাকাবাসীর নিকট ভোট প্রার্থণা করেন। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক মোঃ আরমান মিয়া, তাহের আলী মৃধা, মোতালেব, স্বপন মিয়া, আলম মিয়া, রাজন, রাকিব, কালুন, নুরুল হক, নাজিম উদ্দিন, শাহালম, হিমেল, রাসেদ, নজরুল, তোবারক মিয়া, শওকত মৃধা, নাঈম, মানিক মিয়া, সেরাজলসহ হাজার হাজার লোকজন।