সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার জামপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হুমায়ুন কবির ভুঁইয়ার পক্ষে জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী আশরাফুল ভুঁইয়া মাকসুদের নির্বাচনী প্রচারণায় সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে প্রার্থীর গাড়ি ভাংচুর ও প্রার্থীর নেতাকর্মীদের উপর মারধর করেছে জামপুুর ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক গোলজার হোসেন। জাতীয় পার্টির প্রার্থী ও জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেছেন- গোলজার হোসেন বিএনপির সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে নৌকার পক্ষ নিয়ে লাঙ্গলের প্রচারণায় হামলা চালিয়েছে। কয়েক মাস পূর্বে জামপুরের বস্তলে খাল দখলের দায়ে তাকে এক মাসের কারাদন্ড দিয়েছিল ভ্র্রাম্যমান আদালত। তার বিরুদ্ধে সরকারবিরোধী নাশকতার এক ডজন মামলা রয়েছে। এবার সে নৌকার উপর ভর করেছে।
জানাগেছে, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য ও সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আজহারুল ইসলাম মান্নানের একনিষ্ট কর্মী এই গোলজার হোসেন। দীর্ঘদিন যাবত জামপুরে সরকারি দলের সঙ্গে প্রকাশ্যে জমিজমা সংক্রান্ত ব্যবসা বানিজ্য করে আসছে গোলজার। একটি কোম্পানীর হয়ে খাল দখলের দায়ে তাকে সাজা দেয়া হয়েছিল। এবার সে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর হয়ে লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থীর উপর সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে আসছে বলে অভিযোগ ওঠেছে।
ঘটনা সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার জামপুর ইউনিয়নে জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আশরাফুল ভুঁইয়া মাকসুদের পিতাকে জিম্মি করে রেখেছিল আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হুমায়ুন কবির ভুঁইয়ার বাহিনী। একই সময়ে অন্যদিকে বস্তল এলাকায় জামপুর ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সরকারবিরোধী নাশকতার একাধিক মামলার আসামি গোলজার হোসেনের নেতৃত্বে লাঙ্গল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণায় বিএনপির সন্ত্রাসীদের নিয়ে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের আহত ও প্রার্থীর গাড়ি ভাংচুর চালায়।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ২৫ নভেম্বর বৃহস্পতিবার জামপুর ইউনিয়নের একটি এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণায় ভোট চাইতে যান লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী আশরাফুলের বৃদ্ধ পিতা। ওই সময় নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর লোকজন পরিচয় দিয়ে বৃদ্ধ পিতাকে আটক করে একটি দোকানে জিম্মি করে রাখে। একই সময় অন্যদিকে জামপুর ইউনিয়নের বস্তল এলাকায় প্রচারণায় থাকা আশরাফুলের প্রচারণায় বাধা দিয়ে বিএনপি নেতা গোলজার হোসেন বাহিনীর সন্ত্রাসী হামলা চালায়। ওই সময় আশরাফুলের গাড়ি ব্যাপক ভাংচুর করা হয়। আশরাফুলের সঙ্গে থাকা নেতাকর্মীদের বেদম মারধর করা হয়। অবস্থার বেগতিক দেখে আশরাফুল প্রাণ বাঁচাতে একটি বাড়িতে আশ্রয় নেন।
খবর পেয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ বিল্লাল হোসেন, সোনারগাঁ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) গোলাম মোস্তফা মুন্না ও সোনারগাঁ থানার ওসি হাফিজুর ইসলাম পুলিশ ঘটনাস্থলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে ৮/১০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে। পরে আশরাফুলকে নিরাপত্তা দেয় পুলিশ। অন্যদিকে আশরাফুলের পিতাকে ডিবি পুলিশ ও থানা পুুলিশ উদ্ধার করে।
ঘটনার বিষয়ে লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী আশরাফুলের পিতা জানান, তিনি লাঙ্গল প্রতীকের ভোট চাইতে গেলে নৌকার লোকজন পরিচয় দিয়ে তাকে আটক করে রাখে। তাকে জিম্মি করে মেরে নদীতে ফেলে দেয়ার হুমকি ধমকি দেয়। পরে থানা পুলিশ ও ডিবি পুলিশ তাকে উদ্ধার করে।
লাঙ্গল প্রতীকের প্র্রার্থী আশরাফুল অভিযোগ করেছেন- নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হুমায়ুন কবির ভুঁইয়ার পক্ষ নিয়ে বিএনপি নেতা গোলজার হোসেনের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী বাহিনী তার নেতাকর্মীদের উপর হামলা চালিয়েছে এবং গাড়ি ভাংচুর করেছে। এই গোলজার হোসেন নাশকতার একাধিক মামলার আসামি।