সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে আওয়ামীলীগ ও বিএনপির রাজনীতিতে বেশ খেলা শুরু হয়েছে। বিএনপির একপক্ষ থেকে একজন মনোনয়ন ফরম নিলে আরেকজন দাঁড়িয়ে যাচ্ছেন। এভাবে বিএনপির মেয়র প্রার্থী হয়ে গেছেন ৪জন। যেখানে আওয়ামীলীগের দুই পক্ষের আবার ইন্ধন থাকতে পারে বলেও পুরো নগরীতে চাওর হচ্ছে। তবে নৌকার প্রার্থী মেয়র আইভীর শক্ত প্রতিদ্বন্ধ কি হতে যাচ্ছেন সেটা দেখার বাকি। যদিও নির্বাচন যে মেয়র আইভীর জন্য কঠিন হয়ে আসছে সেটা অনুমেয়।
স্থানীয়দের দাবিমতে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীক পাওয়ার একমাত্র যোগ্য বর্তমান মেয়র সেলিনা হায়াত আইভী। যদিও জেলা আওয়ামীলীগের সেক্রেটারি আবু হাসনাত শহীদ মোহাম্মদ বাদল, মহানগর আওয়ামীলীগের সেক্রেটারি খোকন সাহা ও সিনিয়র সহ-সভাপতি চন্দন শীল দলের নৌকা প্রতীক চেয়ে দলীয় মনোনয়ন ফরম কিনেছিলেন। সবশেষে নৌকা পান আইভী।
রাজনৈতিক বোদ্ধারা বলছেন- গত নির্বাচনে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের মেয়র প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন খান সরকারিভাবে জেলা নির্বাচন অফিস থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন। তার দাবি ছিল বিএনপির সিদ্ধান্ত হলে তিনি ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী হবেন নতুবা দলের সবুজ সংকেত থাকলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হবেন। কিন্তু মহানগরীতে বিএনপির রাজনীতিতে সাখাওয়াতের বিরোধী বলয় হিসেবে পরিচিত মহানগর বিএনপির সভাপতি আবুল কালাম ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক তৈমূর আলম খন্দকার। তারা ধারণা করেন সাখাওয়াত একক স্বতন্ত্র প্রার্থী হলে বিএনপির বিশাল ভোট ব্যাংক সাখাওয়াত পেয়ে যেতে পারে কিংবা ভাগ্যক্রমে মেয়র নির্বাচিত হয়ে গেলে মহানগরীতে আবুল কালাম ও তৈমূর আলমের রাজনীতির বিদায় ঘন্টা বেজে যাবে।
এমন পরিস্থিতির ধারণা করেই বিএনপির নেতাকর্মী ও দলীয় ভোট ভাগ করাতে সাখাওয়াতের পরাজয় নিশ্চিত করতে মেয়র আইভীর ড্যামী প্রার্থী হিসেবে মহানগর বিএনপির সেক্রেটারি এটিএম কামালকে নির্বাচনে দাঁড় করিয়ে দেন তৈমূর আলম ও আবুল কালাম। সাখাওয়াত নির্বাচনে অনড় থাকলে ভোট শূন্য নেতা এটিএম কামালের মাধ্যমে সাখাওয়াতকে দমানো যখন সম্ভব হবেনা- এমন ধারণা করছেন বিএনপির একটি পক্ষ, তখন তৈমূর আলম মনোনয়ন ফরম কিনতে নির্বাচন অফিসে যান। আওয়ামীলীগের একটি অংশের সবুজ সংকেত নিয়ে নির্বাচনে দাঁড়িয়ে যান তৈমুর আলম।
অন্যদিকে নির্বাচনে তৈমূর আলম যখন নৌকার বিজয়ে বিরাট বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে নগরবাসী ধারণা করছেন, ঠিক তখনি মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন বিএনপির সাবেক এমপি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন। এক্ষেত্রে নগরবাসী মনে করছেন তৈমূরকে ঠেকাতে আওয়ামীলীগের আরেকটি পক্ষের ইন্ধনে মেয়র প্রার্থী হয়েছেন গিয়াস। কারন তৈমূরের ভোট ব্যাংক ধ্বংস করতে গিয়াসকে প্রয়োজন। এতে সুবিধা পাবেন নৌকার প্রার্থী আইভী। ফলে সিটি নির্বাচন নিয়ে খেলা পাল্টা খেলা হচ্ছে নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে। তবে মহাটেনশনে রয়েছে আইভী বলয়ের নেতাকর্মীরা। যদিও তারা বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণ করছেন।