সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম
নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বলেছেন, পঞ্চাশ বছরের রাজনৈতিক জীবনে অনেক কষ্ট করেছি, আখের গোছানোর চেষ্টা করিনি। আমাদের অর্থ ছিল না যে কারনে অতবড় নেতা হতে পারিনি। বর্তমানে রাজনীতির যে অবস্থা- এখানে জনপ্রতিনিধি হওয়া মানেই দশটা গাড়ির মালিক হওয়া, কোটি টাকার মালিক হওয়া। আমি সে স্বপ্ন দেখিনি। চিন্তা করেছি মানুষের জন্য যদি কাজ করা যায় এটাই আমার সম্পদ। অর্থের মালিক হলেই সবকিছু করা যায় না। অনেক অর্থবিত্তের মালিকরাও এ পৃথিবী থেকে বিদায় নিচ্ছে খালি হাতে। আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি। আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন। আমি যেন সেবা দিতে দিতেই দুনিয়া থেকে বিদায় নিতে পারি।
১৮ ডিসেম্বর শনিবার সকাল ১১টায় নগরীর মিশনপাড়া এলাকায় সদর উপজেলাধীন হেমোডায়ালিসিস ইউনিট (নারায়ণগঞ্জ ডায়াবেটিক হাসপাতাল ইউনিট-২) এর উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
আনোয়ার হোসেন আরো বলেন, আমি আপনাদের ভাই বন্ধু। সারা জীবন রাজনীতি করেছি। চেষ্টা করেছি মানুষের কল্যাণে কাজ করতে। মানুষের জন্য কাজ করতে প্রতিষ্ঠানের সাথে সংযুক্ত হতে হয়। আমি একটা মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। কোটি কোটি টাকার সম্পদ নেই, বাড়ি গাড়ীও নেই। এসব না থাকলেও ইচ্ছা ছিল মানুষের পাশে দাঁড়ানো এবং সরকারি সহায়তায় মানুষের জন্য কিছু করার। রাজনৈতিক জীবনে অন্যায়ের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছি, কারা নির্যাতিত হয়েছি। জাতির জনকের আদর্শ বুকে ধারণ করে রাজনীতি করেছি। জাতির জনকের সান্নিধ্যে একবার আসতে পেরেছিলাম, বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন মানুষকে ভালবাসতে।
তিনি বলেন, এ প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৪৯ কোটি টাকা দিয়ে কিডনি ডায়ালিসিস যন্ত্র আমরা কিনে দিয়েছি। যারা এখানে চিকিৎসার জন্য আসবেন তারা হয়ত জানবেন আনেয়ার হোসেন সহযোগীতা করেছে। তারা হয়ও এ জায়গার সার্ভিসে সন্তুষ্ট হলে প্রতিষ্ঠান ও আমার জন্য দোয়া করবেন।
তিনি আরও বলেন, সকলের কাছে আমার অনুরোধ, রোগীরা যেন এখানে এসে ভাল সার্ভিস পায়। তারা যেন খুশি মনে চিকিৎসা নিয়ে যেতে পারে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানুষের কল্যানে কাজ করে যাচ্ছে। একসময় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সাথে আমাদের বৈরি সম্পর্ক ছিল। সেই দেশের জনগন বলেছিল আমরা শেখ হাসিনার বাংলাদেশের মত হতে চাই। এটাই তার স্বার্থকতা। আমরাও জাতির জনকের কন্যার আদর্শে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে চাই।
আনেয়ার বলেন, বিভিন্ন জায়গায় আমরা কোটি কোটি টাকার প্রজেক্ট নিয়েছি। রাস্তা-ঘাট, স্কুল, মাদ্রাসার ভবন নির্মাণ করেছি। শুধু মাদ্রাসা নয় আমি বিভিন্ন উপজেলায় মসজিদও নির্মান করেছি পাশাপাশি হিন্দুদের উপাসনালয়েও উন্নয়ন করার চেষ্টা করছি। দেওভেগের লক্ষীনারায়ণ মন্দিরেও আমি কাজ করেছি। যেন ধর্মপ্রাণ হিন্দুরা যেন ভালভাবে উপাসনা করতে পারে। আড়াইহাজারে এক কোটি পয়তাল্লিশ লক্ষ টাকা ব্যায়ে আমি বৃদ্ধাশ্রম করে দিয়েছি কাজটা চলমান আছে। আমি দেয়া ও আশীর্বাদ চাই। আগামীতে নির্বাচন, নেত্রী কাকে মনোনয়ন দেবে সেটা তার ব্যাপার। আমি আমার অসম্পূর্ণ কাজ শেষ করার জন্য জননেত্রীর কাছে মনোনয়ন চাইবো। তিনি মনোনয়ন যদি দেন তাহলে অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করার চেষ্টা করবো।
এসময় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি ডাঃ মোঃ শাহনেওয়াজ চৌধুরী, সহ-সভাপতি মোঃ ফজলুল করিম, সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন চুন্নু, যুগ্ম সম্পাদক খাজা আজিজুল হক, মোঃ আইয়ুব আলী, কোষাধ্যক্ষ মাহমুদ হোসেন, যুগ্ম কোষাধ্যক্ষ মোঃ তারেক আফজাল, অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন সহ অন্যান্য সাধারণ সদস্যবৃন্দ।