সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
আগামী ২৬ ডিসেম্বর রবিবার নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ উপজেলার বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনকে ঘিরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আল আমিন সরকারের জয়ের কোন সম্ভাবনাই দেখছেন না ইউনিয়নবাসী। যে কারণে বৈদ্যের বাজারে চরম আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর লোকজন। নির্বাচনে ৪ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে ভোটের লড়াই আনারস প্রতীকের প্রার্থী মাহবুব সরকারকে এগিয়ে রাখছেন ইউনিয়নবাসী।
স্থানীয়রা মনে করছেন, নির্বাচন নিরপেক্ষ ও অবাধ সুষ্ঠু হলে বিজয়ের সম্ভাবনায় রয়েছে মাহবুব রহমান। নৌকার প্রার্থী আল আমিন সরকারের চেয়ে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান ডঃ আব্দুর রউফও। এবারের নির্বাচনেও তৃতীয় অবস্থানে থাকতে পারেন আল আমিন সরকার।
স্থানীয়রা আরো বলছেন, এই নির্বাচনটি চরম আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে চরাঞ্চলের এই বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নে। নাশকতা ও হতাহতের ঘটনা রোধ করতে নির্বাচন কমিশন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন তারা। জানা গেছে, নির্বাচনের শুরু থেকেই আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও তার লোকজন স্বতন্ত্র দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী মাহবুব সরকার ও আবদুর রউফ সহ তাদের লোকজনকে চরম কোনঠাসা অবস্থায় রেখেছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, নৌকা প্রতীকে ভোট চাওয়ার চেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সমর্থক ও ভোটারদের ঘরে ঘরে গিয়ে হামলা মামলার ভয় দেখিয়ে হুমকি ধমকি অব্যাহত রেখেছেন।
এদিকে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী দাবি করেছেন তাঁর নির্বাচনী ক্যাম্পে আগুন দিয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের লোকজন। যেখানে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বলছেন, নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আল আমিন সরকার ও তার লোকজন নিজেরাই রাতের আঁধারে নিজেদের নির্বাচনী ক্যাম্পে আগুন লাগিয়ে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে এবং নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে এমন অবাস্তব ঘটনা সাজিয়েছে। উল্টো নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর লোকজন স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বিভিন্ন এলাকায় পোস্টার ব্যানার ফেস্টুন ধ্বংস করে দিয়েছে। অনেক এলাকায় পোস্টার লাগাতে দেয়নি। কোন কোন এলাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর লোকজন মাইকিং করে প্রচারণা চালাতে পারেনি। নৌকা প্রতীকের প্রার্থী লোকজন এলাকায় ঘুরে ঘুরে লোকজনদের হুমকি-ধমকি দিয়ে বলছেন- তারা ভোটের দিন ভোট কেন্দ্র দখল করে জোর করে ভোট জালিয়াতি করে, ব্যালট বাক্স ছিনতাই করে, নৌকাকে বিজয়ী করবে।
তাদের আরো অভিযোগ- নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে মোগরাপাড়া ইউনিয়ন, সাদিপুর ইউনিয়ন, বারদী ইউনিয়ন ও সোনারগাঁও পৌরসভা এলাকা থেকে হাজার হাজার বহিরাগতরা বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করে নৌকার পক্ষে ভোট কেন্দ্র দখল করে ভোট জালিয়াতি করেছে। এমন অভিযোগের বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর স্থানীয় প্রশাসন কঠোরভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেবলে স্থানীয় প্রশাসন দাবি করেছে।
নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার ও স্থানীয় প্রশাসনের দাবি- নির্বাচনে কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে, কেন্দ্রের আশেপাশে নাশকতা সৃষ্টি করলে, তাদেরকে আইনগতভাবে কঠোর হস্তে দমন করা হবে। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ অবাধ নির্বাচনের লক্ষ্যে প্রশাসন কাজ করছে। যদি এতে কেউ বাধা সৃষ্টি করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগতভাবে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
যদিও গণমাধ্যমের কাছে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আল আমিন সরকার, স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহবুব সরকার ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুর রউফ সহ ৪ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীই দাবি করেছেন, তারাও সুষ্ঠু অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন চান। তারা দাবি করেছেন- সুষ্ঠু সুন্দর অবাধ শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হলে তারা ভোটের মাধ্যমে বিজয়ী হবে।