সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
জমে উঠেছে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ১৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে নির্বাচনী প্রচারণা। এইখানে কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে ৬জন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন। এই ৬জনের মধ্যে একজন বাসদ-এর বাকি, চারজন আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী। দেশের আরেকটি বড় রাজনৈতিক দলের দল বিএনপি থেকে একক প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন এমএইচ মামুন।
স্থানীয়দের মতে, এখানে বাসদের প্রার্থী খলিলুর রহমানের তেমন একটা জনপ্রিয়তা নেই। সেখানে আওয়ামী লীগের ৪জন প্রার্থী থাকায় নির্বাচনের শুরু থেকেই বেশ সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন এমএইচ মামুন। শুধু তাই নয়, এখানকার বর্তমান কাউন্সিলর কবির হোসেন এবং সাবেক কাউন্সিলর কামরুল হাসান মুন্নার প্রতি স্থানীয়রা চরম নাখোশ। স্থানীয়রা সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, কবির ও মুন্নাকে ইতিমধ্যে যাচাই করেছেন তারা। স্থানীয় উন্নয়ন এবং মাদক নির্মূলে জনগণের সেবক হিসাবে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন এই দুজন। যে কারণে স্থানীয় ভোটাররা মনে করছেন এবার এই ওয়ার্ডের পরিবর্তনের প্রয়োজন, আর এই পরিবর্তনের লক্ষ্যে কবির ও মুন্নার বাইরে প্রার্থীদের মধ্যে একমাত্র প্রথম অবস্থানে রয়েছেন এমএইচ মামুন।
যদিও তার পরের অবস্থানে রয়েছেন মকসুদুর রহমান জাবেদ নামের আরেকজন প্রার্থী। তিনি আওয়ামী লীগের হওয়ায় উল্টো কবির ও মুন্নার ভোটব্যাংকে নষ্ট হতে পারে। ফলে জয়ের ব্যাপারে এমএইচ মামুনের সম্ভাবনা আরও বেশি এগিয়ে যায়। আওয়ামী লীগ সমর্থক শাকিল হোসেন নামে আরেকজন কাউন্সিলর প্রার্থী থাকলেও এলাকাবাসীর মাঝে তাকে নিয়ে তেমন একটা আগ্রহ নেই।
নির্বাচনে ৬ জন কাউন্সিলর প্রার্থী রয়েছেন। যেখানে বর্তমান কাউন্সিলর কবির হোসেন ঠেলাগাড়ি, সাবেক কাউন্সিল কামরুল হাসান মুন্না ঘুড়ি, এমএইচ মামুন ওরফে হান্নান মিয়া টিফিন ক্যারিয়ার, মকছুদুর রহমান জাবেদ ব্যাটমিন্টন র্যাকেট, খলিলুর রহমান লাঠিম ও শাকিল হোসেন ঝুঁড়ি প্রতীকে নির্বাচন করছেন।
জানা গেছে, গত ২৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের পর কবির হোসেন, মুন্না ও এমএইচ মামুন প্রতিটি এলাকায় ভোট প্রার্থনায় পুরোদস্তুর পুরোদমে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। যদিও নির্বাচনী প্রতীক বরাদ্দের আগে থেকেই পুরো মাঠ গুছিয়ে নিয়েছেন এমএইচ মামুন। সেক্ষেত্রেও কবির ও মুন্না অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, কবির ও মুন্নার লোকজন সাধারণ ভোটারদের হুমকি-ধমকি দিয়ে ভোট আদায়ের চেষ্টা করছেন। অন্যদিকে এমএইচ মামুন মানুষের ঘরে ঘরে গিয়ে মা-বোনদের বুঝিয়ে শুনিয়ে ভোট আদায়ের চেষ্টা করছেন। কবির ও মুন্নার প্রতি মানুষের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে পারে এই নির্বাচনে। এমএইচ মামুন বিএনপি’র একক প্রার্থী হওয়ার কারণে তার লোকজন ও তিনি নানা বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন। তবে তিনি হাল ছাড়ছেন না। তিনি নিয়মিত বড় বড় শোডাউন করার চেয়ে বেশি বেশি মানুষের ঘরে ঘরে দৌড়াচ্ছেন ভোটের জন্য।
অন্যদিকে সরকারি দলের দাপট দেখিয়ে কবির ও মুন্না এলাকার লোকজনকে চাপের মুখে ফেলে তাদের পক্ষে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। যে বিষয়টি স্থানীয়দের মাঝে আরো বিরূপ প্রভাব সৃষ্টি হয়েছে। ফলে সাধারণ ভোটাররা আরো ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেছেন। স্থানীয়রা মনে করছেন-এমএইচ মামুন মামুন যদি সকল বাধা-বিপত্তি হুমকি-ধমকি উপেক্ষা করে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচনের ফলাফল পর্যন্ত টিকে থাকতে পারেন কেবল তখনই তার সম্ভাবনা।