সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তৃতীয় দিনের মতো নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছেন মেয়র প্রার্থীরা। তারা ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরছেন। নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট চাইছেন। কেউ বলছেন, সবুজ শ্যামল জনপথ, নগর গড়ি নিরাপদ। আবার কেউ বলেছেন, গ্রিন সিটি ক্লিন সিটি হিসেবে গড়ে তোলা হবে নারায়ণগঞ্জকে। বিশেষ করে মেয়র পদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা একে অন্যের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ তুলছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা তৈমুর আলম বলেছেন, হোল্ডিং ট্যাক্স, পানির কর, ট্রেড লাইসেন্স ফি কমানো হবে। প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী এ প্রতিশ্রুতিকে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর স্টান্টবাজি বলে মন্তব্য করেছেন।
আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক মেয়র ডাক্তার সেলিনা হায়াৎ আইভী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার নির্বাচনী প্রচার চালিয়েছেন। সকাল ১০টা থেকে আওয়ায়ামী লীগের প্রার্থী ডাক্তার সেলিনা হায়াৎ আইভী এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা তৈমুর আলম খন্দকার বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করেছেন।
এ সময় তৈমুর আলম খন্দকার নারায়ণগঞ্জকে গ্রিন ও ক্লিন শহর হিসেবে গড়ে তোলা হবে বলে ভোটাদের কাছে প্রতিশ্রুতি দেন। এ সময় তৈমুর আলম খন্দকার গণমাধ্যমকে বলেন, নারায়ণগঞ্জে অনেক সমস্যা। কিন্তু এসব সমস্যা সমাধানে কোটি কোটি টাকার প্রয়োজন নেই। উদ্যোগ ও ইচ্ছাই যথেষ্ট। তিনি বলেন, নির্বাচিত হতে পারলে নারায়ণগঞ্জকে গ্রিন ও ক্লিন সিটিতে রূপান্তর করা হবে। সিটি করপোরেশনের যেখানেই খালি জায়গা পাওয়া যাবে সেখানেই একটি হলেও গাছের চারা রোপণ করা হবে। যারা ছাদবাগান করে খাদ্যের চাহিদা মেটাবে এবং বায়ুদূষণ রোধে কাজ করবে সেসব ছাদবাগানের মালিকদের হোল্ডিং ট্যাক্স কমিয়ে দেয়া হবে। ছাদবাগান করার জন্য ন্যদেরও উৎসাহিত করা হবে।
আওয়ামী লীগের প্রার্থী আইভী বলেছেন, হোল্ডিং ট্যাক্স কমিয়ে দেয়ার যে প্রতিশ্রুত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী দিয়েছেন তা স্টান্টবাজি। কারণ এটি নির্ধারণ করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। উত্তরে তৈমুর বলেন, নারায়ণগঞ্জবাসী যারা হোল্ডিং ট্যাক্স দেন তারা জানেন হোল্ডিং ট্যাক্স বাড়ানো হয়েছে কিনা।
এদিকে আইভী বিভিন্ন ওয়ার্ডের বিভিন্ন পাড়া-মল্লায় গণসংযোগ ও পথসভা করেন। এ সময় তিনি বিগত বছরের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে পুনরায় নৌকায় ভোট চান। তিনি বলেন, আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হোল্ডিং ট্যাক্স ও ওয়াসার পানির কর কমানো এবং ট্রেড লাইসেন্স ফি কমিয়ে আগের অবস্থায় নিয়ে যাবেন বলে ভোটারদের কাছে যে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন তা রাজনৈতিক স্টান্টবাজি।