সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
বিএনপি’র চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকারকে অব্যাহতি দিয়েছে বিএনপি। এর আগে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি’র আহবায়ক থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। ফলে সব হারালেন তিনি। রাজপথে আন্দোলনের এই অগ্রনায়ক সকল অর্জন বিলিন করে দিলেন ভুল সিদ্ধান্তে।
২০১১ সালে সিটি নির্বাচনে বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশে ভোট গ্রহণের ৭ঘন্টা পুর্বে বসে গিয়ে এতদিন বুক ফুলিয়ে কথা বলতে পারতেন তিনি। সেই গর্বের সকল বিষয় বিসর্জন দিলেন তিনি। আগামী ১৬ই জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে বিএনপির সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন তৈমুর আলম খন্দকার।
২ জানুয়ারি রবিবার রাতে এক চিঠিতে বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তৈমুর আলম খন্দকারকে প্রত্যাহার করে নেয়ার বিষয়টি জানান বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।
অন্যদিকে এর আগে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি’র আহবায়ক পদ থেকে অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকারকে অব্যাহতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় বিএনপি। একই সঙ্গে ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক হিসেবে বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মনিরুল ইসলাম রবিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। গত ২৫ শে ডিসেম্বর শনিবার রাতে কেন্দ্রীয় বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ সাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়।
ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম রবির বরাবর ওই চিঠিতে বলা হয়, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক হিসেবে আপনাকে দায়িত্ব দেওয়া হলো। আপনি নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপিকে শক্তিশালী ও সুসংগঠিত করতে যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম হবেন বলে কেন্দ্রীয় বিএনপির আশা রাখে।
অন্যদিকে জানা গেছে, কেন্দ্রীয় বিএনপি’র সিদ্ধান্তকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার। কেন্দ্রীয় বিএনপির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী স্থানীয় কোনো নির্বাচনেই দলীয়ভাবে অংশগ্রহণ করবে না বলে পূর্বেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। এই সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নারায়ণগঞ্জের স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহলের অঙ্গুলি ইশারায় তিনি মেয়র প্রার্থী হয়েছেন। যা নিয়ে বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মীদের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। যদিও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ এবং তৃণমূল নেতাকর্মীরা আগেই প্রত্যাশা করেছিল অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকারকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা হোক।