সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
দেশের প্রথম সারির জাতীয় দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার এক সাক্ষাৎকারে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির অবস্থান নিয়ে খোলাসা করেছেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অধ্যাপক মামুন মাহামুদ। সাক্ষাৎকারটি হুবহু তুলে ধরা হলো:
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মেয়র পদে লড়ছেন তৈমুর আলম খন্দকার। এ জন্য তাঁকে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক পদ থেকে প্রত্যাহার করেছে কেন্দ্রীয় বিএনপি।
গত ২৫ ডিসেম্বর তাঁকে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক পদ থেকে সরিয়ে ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম রবিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ওই ঘটনার ৯ দিন পর গতকাল সোমবার বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পদ থেকে তাঁকে সরানো হয়। এসব নিয়ে স্থানীয় বিএনপির নেতা–কার্মীদের মধ্যে দেখা গেছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। এ বিষয়ে প্রথম আলো কথা বলেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্যসচিব মামুন মাহমুদের সঙ্গে।
প্রথম আলো: বিএনপি হঠাৎ কেন বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে তৈমুর আলম খন্দকারকে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পদ থেকে সরিয়ে দিল?
মামুন মাহমুদ: বিএনপি এই সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীন কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না, এটা দলীয় সিদ্ধান্ত। এর আগে সারা দেশে সাড়ে চার হাজার পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেয়নি। সেই ধারাবাহিকতায় নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনেও বিএনপি প্রার্থী দেয়নি। তৈমুর আলম খন্দকার দলের জ্যেষ্ঠ নেতা, তিনি নির্বাচন করায় মনে হচ্ছে বিএনপি নির্বাচনে আছে। বিএনপি নির্বাচনে নেই, বিষয়টি স্পষ্ট করার জন্য এবং সরকার যাতে ফায়দা নেওয়ার চেষ্টা না করে, সে কারণে তাঁকে প্রত্যাহার করেছে দল।
প্রথম আলো: নারায়ণগঞ্জ বিএনপির নেতা–কর্মীরা কি এখন তাঁর সঙ্গে থাকবেন?
মামুন মাহমুদ: বিএনপির সিনিয়র নেতা–কর্মীরা দলের পালস বুঝতে পারবেন। যেহেতু সারা দেশে বিএনপি নির্বাচন বর্জন করেছে, তাই দলের নেতা–কর্মীরা দলের সিদ্ধান্ত বুঝতে পারবেন।
প্রথম আলো: তাঁরা কি তৈমুর আলমের পক্ষে নির্বাচনে কাজ করবেন?
মামুন মাহমুদ: যেহেতু দল সিদ্ধান্ত নিয়েছে এ ধরনের নির্বাচনে যাচ্ছে না, সেহেতু দলের নেতা–কর্মীরা দলের পালস বুঝতে পেরে দলের সিদ্ধান্তের পক্ষে অবস্থান নেবেন। ব্যক্তি কারও পক্ষে তো দল অবস্থান নেয়নি। দল নির্বাচনে যায়নি, ফলে দলের নেতা–কর্মীরা দলের সিদ্ধান্তের সঙ্গে থাকবেন, এটাই আমার বিশ্বাস।
প্রথম আলো: তৈমুর যদি জিতে যান, দল কি তাঁকে গ্রহণ করবে?
মামুন মাহমুদ: দল তৈমুরকে গ্রহণ করবে কি না, এ ধরনের সিদ্ধান্ত আপাতত নেই। যেহেতু তৈমুর দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা, দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে আছেন; সেহেতু দল চুপ থাকতে পারে না। দলের সিদ্ধান্তের পরিপন্থী জায়গায় অবস্থান নিলে দল অবশ্যই চুপ থাকবে না।
প্রথম আলো: ২০১১ সালে ভোটের পাঁচ ঘণ্টা আগে তৈমুরকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল? এবার তো তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী। দল তাঁকে সমর্থন দিতে পারত…
মামুন মাহমুদ: দল তো এখানে তৈমুরকে প্রার্থী হতে বলেনি। তাই দল সমর্থন করেনি।
প্রথম আলো: দলীয় চাপ বা অন্য কোনো কারণে নির্বাচন থেকে তৈমুরের সরে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে?
মামুন মাহমুদ: তৈমুর সরে যাবেন কি না, সেটা উনিই বলতে পারবেন। দল তো তাঁকে প্রার্থী করেনি। যেহেতু তিনি স্বতন্ত্র নির্বাচন করছেন, তাই তিনি নির্বাচনের মাঠে থাকতে পারেন।