সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাসুদ উর রউফ বলেছেন, আমরা সূর্য ও রত্নকে দিয়ে প্যানেল গঠন করেছি, যারা আইনজীবীদের কল্যাণে উন্নয়নের প্যানেল হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের হাত ধরেই নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির অভূতপূর্ব উন্নয়ন সংঘটিত হয়েছে। বারবার আওয়ামী লীগের আইনজীবীরা উন্নয়ন ও আইনজীবীদের কল্যাণে ভূমিকা রেখে তার প্রমাণ করেছেন।
তিনি আরো বলেন, এ কারণেই নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সকল বিজ্ঞ আইনজীবীগণ অ্যাডভোকেট হাসান ফেরদৌস জুয়েল ও অ্যাডভোকেট রবিউল আমিন রনির নেতৃত্বে পূর্ণ প্যানেলকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করবেন বলে আমরা আশা রাখি। প্যানেলের একজন সূর্য আরেকজন হলো আইনজীবীদের রত্ন। আমরা এই সূর্য এবং রত্নকে নিয়েই প্যানেল গঠন করেছি। এই প্যানেলের ১৭জনই নির্বাচিত হবেন ইনশাআল্লাহ।
অন্যদিকে আইনজীবীরা জানিয়েছেন, যার হাত ধরে নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতিতে ডিজিটালাইজেশনের ছোঁয়া লেগেছিলো, যিনি আইনজীবী সমিতির সকল কার্যক্রমে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে সহজলভ্য করেছেন, যিনি যতবার দায়িত্বে আসেন ততবারই ব্যতিক্রমী উন্নয়নের ছোঁয়া দিয়ে যান, সেই পুরনো আমল থেকে আইনজীবীদের জন্য ডাইরেক্টরি তৈরি থেকে শুরু করে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে আইনজীবী সমিতির ওয়েবসাইট বানানো পর্যন্ত যার ভূমিকা, একইসঙ্গে ডিজিটাল আইডি কার্ডে হিসেব-নিকেশ সহ নানা কার্যক্রমে স্বচ্ছতা আনতে ডিজিটাল তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে উন্নয়ন প্রক্রিয়া শুরু করেছেন, তিনি হলেন অ্যাডভোকেট হাসান ফেরদৌস জুয়েল।
অ্যাডভোকেট হাসান ফেরদৌস জুয়েল একইসঙ্গে আইনজীবীদের জন্য সবচেয়ে বেশি কার্যকরী যে বেনাভোলেন্ট ফান্ড, এই ফান্ড তিনি তৈরি করেছেন। এই বেনাভোলেন্ট তৈরি করতে গিয়ে তিনি অনেকের গালি খেয়েছেন, আইনজীবী সমিতির অনুষ্ঠানে তার থেকে মাইক কেড়ে নেওয়া হয়েছিল, কেউ তাকে লাঞ্চিত করতে উদ্যত হয়েছিলেন। তবুও আইনজীবীদের কল্যাণে তার ভুমিকা দমে থাকেনা। যখন সকলের জন্য এই ফান্ডটি কার্যকরী হবে, তখন আইনজীবীদের মাঝে যুগ যুগ বেঁচে থাকবেন জুয়েল- যারা এই বিষয়টি অনুধাবন করতে পেরেছিলেন তারাই বেনাভোলেন্ট গঠনে বাধা সৃষ্টি করেছিলেন। কিন্তু আজকে সেই ফান্ডের কারণে সকল আইনজীবীরাই সন্তুষ্ট। আর প্রশংসায় ভাসছেন জুয়েল। যতবার দায়িত্বে ছিলেন তার সততা নিষ্ঠা নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলতে পারেননি। যে কারনে জুয়েলের উপরই ভরসা পান আইনজীবীগণ।
আইনজীবীরা আরো বলছেন- নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির রাজনীতিতে আইনজীবী সমিতির উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখায় আইনজীবী সমাজের ও তরুণ প্রজন্মের আইডল যিনি ইতিমধ্যে ডায়নামিক আইনজীবী লিডার হিসেবে সকলের কাছে সমাদৃত হয়েছেন তিনি হলেন অ্যাডভোকেট হাসান ফেরদৌস জুয়েল। সর্বোত্তকৃষ্ট উন্নয়ন তার হাত ধরে। আইনজীবী সমিতির দুইবারের সাবেক সভাপতিও তিনি। জনপ্রিয়তায় হয়ে ওঠেছেন অপ্রতিরোধ্য।
আইনজীবীদের চাহিদা ও দাবির প্রেক্ষিতে এবার আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে হাসান ফেরদৌস জুয়েল আওয়ামীলীগ প্যানেল থেকে হয়েছেন সভাপতি প্রার্থী। সান নারায়ণগঞ্জকে আইনজীবীরা বলছেন, তার জয় অনেকটাই নিশ্চিত। কারন তাকে হারানোর মত প্রার্থী এবারের নির্বাচনে নেই। তাকে ভোটের মাঠে অপ্রতিরোধ্য মনে করা হচ্ছে। জুয়েলের সঙ্গে এবার তার মতই সাধারণ সম্পাদক পদে যোগ্য পার্টনার দিয়েছে আওয়ামীলীগ। যিনি আদালতপাড়ায় একজন সাদা মনের আইনজীবী, ক্লিন ইমেজধারী এবং স্বচ্ছ ও পরিচ্ছন্ন আইনজীবী, যাকে একজন আইনের শিক্ষক হিসেবে আইনজীবী তৈরীর কারিগরও বলা চলে। ছাত্র জীবন থেকে আওয়ামীলীগে তার দীর্ঘ রাজনৈতিক অতীত রয়েছে, যিনি একটি আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান এবং একটি আইনজীবী পরিবারেরও সন্তান, তিনি হলেন অ্যাডভোকেট রবিউল আমিন রনি। নম্র ভদ্র নিরহংকারী সদাচারী ও হাস্যোজ্জল রনিকে নিয়ে কারো কোনো অভিযোগ অনুযোগ নেই।
আইনজীবীরা বলছেন- এমন ব্যক্তিত্বসম্পন্ন ও পরিচ্ছন্ন দুইজন আইনজীবীকে নিয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ১৭ জনের পূর্ণাঙ্গ প্যানেল তৈরি করেছে আওয়ামী লীগ। ফলে তাদের নির্বাচনী প্রচারণায় প্রবীণ সিনিয়র-জুনিয়র ও তরুণ প্রজন্মের বিপুল সংখ্যক আইনজীবীগণ অংশগ্রহণ করছেন। যেখানে রীতিমতো আইনজীবীদের স্রোত সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করছেন আইনজীবী সমাজ।
জানাগেছে, নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যকরী পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ আগামী ১৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে অ্যাডভোকেট হাসান ফেরদৌস জুয়েল ও আইনজীবী সমিতির বর্তমান যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রবিউল আমিন রনির নেতৃত্বে একটি শক্তিশালী প্যানেল নির্বাচনে গঠন করেছে আওয়ামীলীগ।
সাধারণ আইনজীবীরা আরো জানিয়েছেন, বিগত কয়েক বছর ধরে আওয়ামী লীগ প্যানেল থেকে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে আইনজীবী সমিতির নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। এই কয়েকটি আমলে আইনজীবী সমিতিতে ব্যাপক উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের ছোঁয়া দিয়েছে আওয়ামী লীগ। যেখানে আইনজীবীদের পেশা পরিচালনার জন্য ৮তলাবিশিষ্ট ডিজিটাল ভবন নির্মাণ চলমান। একই সঙ্গে রয়েছে আইনজীবী সমিতির সকল কার্যক্রমে ডিজিটালাইজেশনের ছোঁয়া।
আইনজীবীদের দাবি- সভাপতি প্রার্থী অ্যাডভোকেট হাসান ফেরদৌস জুয়েলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় আইনজীবীদের ও আইনজীবী পরিবারের কল্যাণে বেনাভোলেন্ড ফান্ড গঠন সারাদেশের আইনজীবী সমাজে একটি বিরল দৃষ্টান্ত। সান নারায়ণগঞ্জকে অনেক আইনজীবী বলেছেন- হাসান ফেরদৌস জুয়েল যতবার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে আইনজীবী সমিতির নেতৃত্ব ছিলেন ততবারই নতুন নতুন স্বচ্ছ ও কার্যকরী উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড হয়েছে।
এবার হাসান ফেরদৌস জুয়েলের যোগ্য উত্তরসূরী ও যোগ্য পার্টনার হিসেবে আইনজীবীরা মনে করছেন রবিউল আমিন রনিকেই। সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকমের সঙ্গে কথা হলে আইনজীবীদের দাবি- জুয়েলের পাশাপাশি রনি নির্বাচিত করা হলে আইনজীবী সমিতির উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড আরো ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে। রবিউল আমিন রনি আদালতপাড়ায় স্বচ্ছ ও ক্লিন ইমেজধারী আইনজীবী হিসেবে হিসেবে মনে করা হয়। যে কারণে আওয়ামী লীগ দাবি করেন জুয়েল ও রনির নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের পূর্ণ প্যানেল বিজয় হলে আরো বেশি উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড বেগবান হবে। আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ হয়ে জুয়েল ও রনি প্যানেলকে জয়ী করতে কাজ করছেন।
এ ছাড়াও সাধারণ আইনজীবীদের সাথে কথা হলে তারা বলছেন- অ্যাডভোকেট হাসান ফেরদৌস জুয়েল ও অ্যাডভোকেট রবিউল আমিন রনির নেতৃত্বে আওয়ামীলীগের এই প্যানেলের প্রত্যেকটি পদের প্রার্থীদের গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে আইনজীবীদের মাঝে। কার্যকরী পরিষদের সদস্য থেকে শুরু করে সভাপতি পদের প্রার্থীসহ প্রতিটি আইনজীবীর আদালতপাড়ায় ক্লিন ইমেজ রয়েছে। তাদের প্রত্যেকেই নিয়মিত আইনজীবী এবং স্বচ্ছতার সহিত আদালতপাড়ায় আইন পেশা পরিচালনা করে আসছেন। যেখানে সিনিয়র সহ সভাপতি, সহসভাপতি যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও অন্যান্য সম্পাদকীয় পদে এবং কার্যকরী পরিষদের সদস্য পদে প্রার্থীরা তাদের স্বচ্ছতা ও গ্রহণযোগ্যতার কারণে আইনজীবীদের কাছে মনে হচ্ছে এই প্যানেলকে বিজয় করা প্রয়োজন।
নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্যানেল থেকে সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে প্রার্থী রয়েছেন অ্যাডভোকেট আলাউদ্দিন আহমেদ, সহ-সভাপতি পদে রয়েছেন অ্যাডভোকেট সুভাষ বিশ্বাস, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন অ্যাডভোকেট মাহমুদুল হক মমিন।
পরিষদের কোষাধ্যক্ষ পদে রয়েছেন অ্যাডভোকেট আবুল বাশার রুবেল, আপ্যায়ন সম্পাদক পদে রয়েছেন অ্যাডভোকেট স্বপন ভূঁইয়া, ক্রীড়া সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট সোহেল আজাদ, লাইব্রেরী সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট হাছিব উল হাসান রনি, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট রাজিয়া আমিন কানচি, সমাজসেবা সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট রাশেদ ভূঁইয়া, আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান।
কার্যকরী সদস্য পদে রয়েছেন অ্যাডভোকেট এরশাদুজ্জামান ইমন, অ্যাডভোকেট হালিমা আক্তার, অ্যাডভোকেট হোসেন আহমেদ, অ্যাডভোকেট মেরাজ সরকার ও অ্যাডভোকেট অঞ্জন দাস।