সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলায় দল-মত নির্বিশেষে সকল দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে উন্নয়ন কর্মকান্ড চালিয়ে আসছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা। ২০১৪ সালে সোনারগাঁয়ের এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সকল দলমতের জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে আন্তরিকতার সহিত সোনারগাঁয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়ন শিক্ষা-সংস্কৃতি রাস্তা ঘাট ব্রিজ কালভার্ট সহ যাবতীয় উন্নয়ন কর্মকান্ড করে আসছেন আমজনতার এমপি খ্যাত লিয়াকত হোসেন খোকা।
তিনি এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সোনারগাঁয়ের প্রতিটি এলাকায় ঘুরে ঘুরে নানা অবকাঠামোগত সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে একের পর এক উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচালনা করছেন। এক্ষেত্রে তাকে সহযোগিতা করছেন সোনারগাঁয়ের সকল দলমতের জনপ্রতিনিধিগণ। একই সঙ্গে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা যার যার অবস্থান থেকে সমন্বয়ের মাধ্যমে উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে ভূমিকা রেখে যাচ্ছেন। দলমতের পার্থক্য থাকলেও তারা একজোট হয়ে সোনারগাঁবাসী উন্নয়ন করছেন। এক্ষেত্রে স্থানীয় এমপি সকলকে সহযোগিতা করে আসছেন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে। কাউকে বাধা-বিপত্তি তো দূরের কথা উল্টো এমপি খোকা উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে সকল জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতা করছেন।
তিনি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিগণ যেকোন সহযোগিতার প্রয়োজনে হাত বাড়ালেই সব ধরনের সহযোগিতা করে আসছেন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে। যা দেশের অন্যান্য জেলার সংসদীয় আসনের তুলনায় ভিন্ন চিত্র সোনারগাঁয়ে। রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকলেও উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে সকলেই একজোট হয়ে উন্নয়নে ভূমিকা রাখছেন।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, স্থানীয় এমপি খোকার পরামর্শে সোনারগাঁ পৌরসভার মেয়র সাদেকুর রহমান ভূঁইয়া পৌরবাসীর উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড করে আসছেন। একইসঙ্গে যেখানে সমস্যা রয়েছে সেইসব উন্নয়নে এমপি খোকা হস্তক্ষেপ করে নিরসন করে আসছেন। সাম্প্রতিককালে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানগণ যাতে উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে ভূমিকা রাখতে পারে সেজন্য আরো বৃহত্তর আকারে সকলের প্রতি দুই হাত সম্প্রসারণ করেছেন এমপি খোকা।
এছাড়াও তিনি বিগত সময়ে যারা জনপ্রতিনিধি ছিলেন তাদের নিয়েও উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচালনা করছেন। যার ফলশ্রুতিতে বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়ন পরিষদ থেকে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে নির্বাচিত চেয়ারম্যান আলামিন সরকার, জামপুর ইউনিয়ন পরিষদের নৌকা প্রতীকে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির ভূঁইয়া এমপি খোকাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এমপি খোকা তাদের আশ্বস্ত করেছেন সোনারগাঁবাসীর উন্নয়নে তিনি সকল চেয়ারম্যানগণকে বিগত সময়ের মতই সহযোগিতা করে আসবেন।
এদিকে বর্তমানে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে রয়েছেন নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শামসুল ইসলাম ভূঁইয়া। উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন বাবুল ওমর বাবু ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন মাহমুদা আক্তার ফেন্সি। উপজেলা পরিষদের মাধ্যমে উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে এমপি খোকা সার্বিক সহযোগিতা করছেন। বিগত সময়ের চেয়ে বর্তমান উপজেলা পরিষদের মাধ্যমে আরো ব্যাপক উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড হবে বলে স্থানীয়রা মনে করেন।
একইভাবে জেলা পরিষদের সদস্য ফারুক হোসেন ভূঁইয়া, নুর আলম খান, মুস্তাফিজুর রহমান মাসুম ও অ্যাডভোকেট নুরজাহান বেগম জেলা পরিষদের মাধ্যমে যার যার অবস্থান থেকে সোনারগাঁবাসীর উন্নয়নে ভূমিকা রাখছেন। এক্ষেত্রে সকলকে উন্নয়ন কর্মকান্ডে সুযোগ তৈরি করে দিয়েছেন এমপি খোকা। এখানে কেউ সহযোগিতা না চাইলেও এমপি সহযোগিতা করে আসছেন।
এছাড়াও পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম, মোগরাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফ মাসুদ বাবু, শম্ভুপুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রব, কাঁচপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশাররফ ওমর, সাদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ মোল্লা, নোয়াগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শামসুল আলম সামসু, বারদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান বাবুল, সনমান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদ হাসান জিন্নাহ, বৈদ্যের বাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলামিন সরকার ও জামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির ভূঁইয়া এমপি খোকার সহযোগিতায় উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে নেমেছেন। যার যার অবস্থান থেকে উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড করার সেই সুযোগ এমপি খোকা তৈরি করে দিয়েছেন। ফলে স্থানীয়ভাবে সোনারগাঁয়ের মানুষ উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের সুফল পাচ্ছেন।
যদিও এর আগে নোয়াগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ইউসুফ দেওয়ান, জামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হামীম শিকদার শিপলু, বৈদ্যের বাজার ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রব মোল্লাকে নিয়ে সোনারগাঁয়ের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে ভূমিকা রাখছেন এমপি খোকা। মূলত স্থানীয় সংসদ সদস্যের সহযোগিতা ছাড়া উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণ উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে সেভাবে ভূমিকা রাখতে পারেন না। যে কারনে এমপির সহযোগিতার প্রয়োজন হয়। আবার অনেক জেলায় চেয়ারম্যানগণ যার যার অবস্থান থেকে উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড করতে গেলে এমপিদের বাধার সম্মুখীন হোন। কিন্তু সোনারগাঁয়ে এমপি খোকা উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে কাউকে বাধা দিচ্ছেন না। উল্টো তিনি উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সকলকে সহযোগিতা করেন। কেউ সহযোগিতা চাইলেও করেন, কেউ সহযোগিতা না চাইলেও উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে হাত বাড়িয়ে দেন এমপি খোকা। যার ফলে স্থানীয়রা বলছেন এমপি খোকার আন্তরিকতায় দল-মত নির্বিশেষে জনপ্রতিনিধিগণ সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে ভূমিকা রাখতে পারছেন। আর এটাই এখন এমপি খোকার সবচেয়ে বড় সফলতা।