সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জের ৫টি সংসদীয় আসনে ৫জন এমপি রয়েছেন। যার মধ্যে ৩টি আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এবং বাকি দুটি আসনে জাতীয় পার্টির ২জন সংসদ সদস্য রয়েছেন। যারা সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে ব্যাপক ভূমিকা রেখে আসছেন। পাঁচজন আইনপ্রণেতা জাতীয় সংসদে আইন প্রণয়নে ভূমিকা রাখার পাশাপাশি স্থানীয় নেতৃত্বকে সু-প্রতিষ্ঠা এবং উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে সফলতা দেখিয়েছেন। যেখানে সবচেয়ে বেশি একেএম সেলিম ওসমান ও একেএম শামীম ওসমানএবং এমপি লিয়াকত হোসেন খোকাকে এগিয়ে রাখছেন নারায়ণগঞ্জের মানুষ। যারা স্থানীয় রাজনীতিকে স্বচ্ছ ও সুপ্রতিষ্ঠিত করার পাশাপাশি উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে কাজ করে যাচ্ছেন।
জাতীয় পার্টির ২জন সংসদ সদস্য বিরোধীদলের হলেও তারা সরকারের কর্মকাণ্ডে সকল ধরনের সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। একই সঙ্গে তারা নিজ নিজ অবস্থান থেকেও উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছেন। এদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডাক্তার সেলিনা হায়াৎ আইভী ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন। যার মধ্যে আইভী সিটি করপোরেশন এলাকায় অবকাঠামোগত উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখছেন। যদিও তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে থাকলেও আওয়ামী লীগের রাজনীতির ঝান্ডা ধরতে পারেননি।
ভিন্ন চিত্র জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেনের ক্ষেত্রে। তিনি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও একই সঙ্গে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে থাকলেও জেলা পরিষদের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড নিয়ে অনেকের মাঝে ক্ষোভ রয়েছে। তিনি একই সঙ্গে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি হলেও তিনি মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে ব্যর্থ হয়েছেন। যেখানে মহানগর আওয়ামী লীগের বিরোধ স্পষ্ট হয়ে ওঠেছে বারবার। ফলে অনেকটাই বলা যায় আনোয়ার হোসেন দুটি স্থানে থাকলেও তিনি সেভাবে সফলতা দেখাতে পারেননি। আবার রাজনীতির মাঠে শক্ত অবস্থান না থাকলেও ভোটের মাঠে সাধারণ মানুষের কাছে জনপ্রিয় মেয়র আইভী।
স্থানীয়রা জানান, নারায়ণগঞ্জের ৫টি সংসদীয় আসনের মধ্যে দুটি নির্বাচনী আসনে রয়েছেন জাতীয় পার্টির ২জন সংসদ সদস্য, যাদের মধ্যে একজন শিক্ষাখাতে ব্যাপক উন্নয়ন ও দান-খয়রাত করে দানবীর হিসেবে খ্যাতি পেয়েছেন। অপরজন নিজ সংসদীয় আসন এলাকার রাস্তাঘাট ব্রিজ-কালভার্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ মানুষের উন্নয়নে একেবারে সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে গিয়ে আমজনতার এমপি হিসেবে সাধারণ মানুষের কাছে পরিচিতি পেয়েছেন। আওয়ামী লীগের শরিক দল তথা বিরোধী দলীয় রাজনীতিতে জড়িত থাকলেও হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি মহান স্বাধীনতার স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে তারা কাজ করছেন। সেই তারা হলেন নারায়ণগঞ্জ-৫(সদর-বন্দর আসনে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমান ও নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁও) আসনে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা। সান নারায়ণগঞ্জকে অনেকেই বলেছেন, তারা দল-মত-নির্বিশেষে সরকারি দল আওয়ামী লীগকে প্রাধান্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে কাজ করে যাচ্ছেন। যার ফলে তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদৃষ্টি ও আস্থা অর্জনে সফলতা দেখিয়েছেন।
অন্যদিকে সরকারি দলের প্রভাবশালী এমপি একেএম শামীম ওসমান তার নির্বাচনী আসন নারায়ণগঞ্জ-৪(ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জ) এলাকায় উন্নয়নের পাশাপাশি নারায়ণগঞ্জের আওয়ামী লীগকে শক্ত অবস্থানে ধরে রাখতে আওয়ামী লীগের ঝান্ডা ধরে আছেন। নারায়ণগঞ্জের আওয়ামী লীগ মানে হল শামীম ওসমান। যে কারণে প্রধানমন্ত্রী তার দিকে সুদৃষ্টি রাখেন। যে শামীম ওসমানের ডাকে নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের লাখো নেতাকর্মী মুহূর্তের মধ্যেই রাজপথে নামতে প্রস্তুত হয়ে যান।
অন্যদিকে নারায়ণগঞ্জ-(রূপগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য গাজী গোলাম দস্তগীর বীর প্রতীক। একইসঙ্গে তিনি পাট ও বস্ত্র মন্ত্রী। তিনিও তার সংসদীয় আসন নিয়ে বেশি ব্যস্ত থাকেন। এক্ষেত্রে রূপগঞ্জ এলাকার বাইরে অন্যান্য আসন এলাকায় মন্ত্রী গাজীর ভূমিকা তেমন একটা দেখা যায়না। একই ধরনে কাজ করছেন নারায়ণগঞ্জ-২(আড়াইহাজার) আসনের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু। তিনিও তার সংসদীয় আসনের বাইরের তেমন একটা উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে সহযোগিতা করেছেন তা কম দেখা যায়। তবে তিনি তার নিজ সংসদীয় আসনে ব্যাপক উন্নয়নের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের রাজনীতিকে শক্ত হাতে ধরে রেখেছেন। যদিও সান নারায়ণগঞ্জকে অনেকেই বলেছেন, সেখানে অনেক নেতাকর্মীর এমপি বাবুর প্রতি ক্ষোভ থাকলেও তারা সেটা প্রকাশ করতে সাহস পায় না সেখানে। তবে তার উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে রয়েছে ব্যাপক ভূমিকা। রূপগঞ্জেও আওয়ামী লীগের নেতৃত্বকে কব্জা করে রেখেছেন মন্ত্রী গাজী। নিজ নিজ আসনে উন্নয়ন কাজও করছেন তারা।