সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
বিএনপির চেয়ারপপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার জীবদ্দশায় তাকে দলীয় প্যাডে ‘অমর’ লেখায় সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আজহারুল ইসলাম মান্নান ও সদস্য সচিব মোশারফ হোসেনের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের আদালতে মানহানির মামলা করা হয়েছে।
২০ ফেব্রুয়ারি রবিবার নারায়ণগঞ্জের চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ‘ঘ’ অঞ্চল আদালতে মামলাটি দায়ের করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক ও সোনারগাঁ উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক রাসেল রানা। নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট কাজী মহসিন মামলাটি আমলে নিয়ে সোনারগাঁ থানা পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দেন।
মামলা দায়েরের পরে বাদী পক্ষের আইনজীবী এডভোকেট আব্দুর রহিম গণমাধ্যমকে বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ১৯৭৮ সালে বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ১৯৮১ সালে কিছু বিপথগামী সেনা সদস্যের হাতে নির্মমভাবে শহীদ হন তিনি। এরপর থেকে তার সহধর্মীনী বেগম খালেদা জিয়া বিএনপির দায়িত্ব নেন। বিএনপির বর্তমান চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশের তিন তিনবারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। বর্তমানে তিনি দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন। সারাদেশের লাখো কোটি বিএনপি কর্মীর অভিভাবক হলেন বেগম খালেদা জিয়া। কিন্তু নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির অশিক্ষিত নেতারা রাতের আধারে সোনারগাঁ থানার অন্তর্গত ১০টি ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক কমিটির অনুমোদন দেন। সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির যে প্যাডে সেইসব কমিটির অনুমোদন দেয়া হয় সেই প্যাডের উপরে লেখা ছিলো ‘খালেদা জিয়া অমর হউক’। সাধারণত মৃত ব্যক্তির ক্ষেতে ‘অমর’ শব্দটি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। কিন্তু আমাদের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া এখনও বেঁচে আছেন। জীবিত মানুষকে ‘অমর’ লেখায় সারাদেশের বিএনপি নেতাকর্মীদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে আর অবমাননা করা হয়েছে আমাদের আপোষহীন নেত্রীর। আমরা এ ধরনের ন্যাক্কারজনক কাজের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।
মামলার বাদী রাসেল রানা গণমাধ্যমকে জানান, বেগম খালেদা জিয়া আমাদের বিএনপি নেতাকর্র্মীদের হৃদয়ের স্পন্দন। তিনি আমােেদর মা। আমাদের মা জীবিত থাকতে তাকে মৃত ঘোষণা করেছে সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপি। একজন শহীদ জিয়ার সৈনিক হিসেবে আমাদের পক্ষে তা কোনভাবেই মেনে নেয়া সম্ভব নয়। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। পাশাপাশি এ ধরনের গুরুতর অপরাধ যারা সংগঠিত করেছে তাদের বিচার দাবি করছি।
এ বিষয়ে সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আজহারুল ইসলাম মান্নান জানান, মানুষ মাত্রই ভুল হয়। আমরা এ ভুলের জন্য আমরা দু:খ প্রকাশ করে ক্ষমা চেয়েছি। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাথে ভার্চূয়াল মিটিংয়েও আমরা এ বিষয়ে দু:খ প্রকাশ করে ক্ষমা চেয়েছি।
তাদের বিরুদ্ধে মানহানির মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে মান্নান বলেন, মামলা আমরা আইনগতভাবে মোকাবেলা করবো।