সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনের আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, নারায়ণগঞ্জের যত বড় বড় কাজ হয়েছে এবং হতে যাচ্ছে, আল্লাহ সেগুলো আমাদের পরিবারের হাত দিয়ে করিয়েছেন। অনেকে নির্বাচিত হয়ে বলে আমি করে দিয়েছি। আপনি করে দেয়ার কে? আপনি কেউ না, আল্লাহর হুকুমে হয়। আমরা মাধ্যম মাত্র।
২৫ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার বিকেলে বন্দরে শামীম ওসমানের শ্বশুর মরহুম সাইফুদ্দিন আহমেদ স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২১ এর ফাইনাল ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে একথা বলেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, নারায়ণগঞ্জের রাজধানী বন্দর। আমরা পরিচয় দেই বন্দর নগরী নারায়ণগঞ্জ। আমার এই আসন থেকে নির্বাচন করার কথা ছিল। কিন্তু আমার বাবার ও আমার বড় ভাই নাসিম ওসমান এখান থেকে নির্বাচন করলেন, তাই আমি চলে গেলাম ফতুল্লা এলাকায়। এখন আমার বড় ভাই সেলিম ওসমান এমপি। তিনি রাজনীতি করেন না, তাকে জোর জবরদস্তি রাজনীতি করানো হচ্ছে। আপনারা অবাক হবেন, রাজনীতি মানে অনেকে মনে করে ধান্দাবাজি। আমরা যখন তাকে রাজি করাতে পারছিলাম না, তখন আম্মা তাকে বললেন জনপ্রতিনিধি হও। তিনি রাস্তায় বাস চালিয়েছেন, বাবা জেলে থাকার সময় রাস্তায় বসে মুরগী বিক্রি করেছেন।”
শামীম ওসমান বলেন, আমার কাছে কেন যেন মনে হয়, দুনিয়ায় অল্প সময়ের জন্য এসেছি। আমার যাওয়ার সময় এসে গেছে। আমাকেও চলে যেতে হবে। কি নিয়ে যাবো, কবরে তো আমি একা থাকবো। এই দুনিয়াতে বয়সের সাথে আফসোস বাড়ে। এটা কেন করলাম না ওটা কেন করলাম না। সকালে কোরআন পড়ার সময়ও আফসোস লাগছিল। ”আমিও খেলোয়াড় ছিলাম, আমাকে কেউ চিনত না। যখন কলেজের সকল প্রাইজ জিতলাম একা। তখন বলল এটা কে সকল প্রাইজ নিয়ে যাচ্ছেন। তখন প্রিন্সিপাল স্যার বললেন ও ওই বাড়ির ছেলে। আমার বাবা আমাকে তিন সেট কাপড় দিয়েছিলেন। বলেছিলেন তোমার ক্লাসের নিরীহ ছেলেটও যেন তোমাকে বন্ধু ভাবে।” এমপি বলেন, পরশু দিন আমি গাড়ীতে নামাজ পড়তে পড়তো কাঁদতে কাঁদতে গিয়েছি। আমার নাতীটার শরীর খারাপ। যেন ওর শরীরটা ভাল হয়ে যায়। ওর কষ্ট দেখে আমার আরও বেশি কষ্ট হচ্ছিল। আমি আপনাদের বলবো যাদের বাবা মা আছে, শরীরের শক্তি দেখিও না। মানুষের দোয়ার চেয়ে বড় কোন শক্তি নেই। মা বাবার প্রতি দায়িত্ব পালন করো।