সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
কারাগারে থাকা বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে মিছিলের আগেই পুলিশের ভয়ে পালানোর প্রস্তুতি নিতে গেল নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের শীর্ষ নেতাদের। মিছিল নিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার সময় কর্মীরা যখন মিছিলে শ্লোগান নিয়ে সামনে এগুচ্ছিলেন তখন জেলা যুবদলের শীর্ষ নেতারা পিছনে পুলিশ আসছে কিনা তা দেখলেন বারংবার। দৌড়ে পালানোর প্রস্তুতি নিয়েছেন মিছিল শুরুর আগেই। তবে এর মাত্র তিন মিনিটের মাথায় সামনে এসে বাধা দেয় পুলিশ। এমন দৃশ্যই দেখা গেল ৪ এপ্রিল বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জ শহরে।
জানাগেছে, বৃহস্পতিবার বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে কেন্দ্রীয়ভাবে বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি সারাদেশের জেলায় জেলায় ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় যুবদল। গত সপ্তাহে নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের ২০১ জনের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়। জেলা যুবদলের সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু ও সেক্রেটারি গোলাম ফারুক খোকন কখনই দলের সক্রিয় আন্দোলন সংগ্রামে জোড়ালো ভুমিকা রাখতে পারেননি। টিটুকে গত কমিটির কিছু কর্মসূচিতে দেখা গেলেও খোকন একেবারেই নিষ্ক্রিয় ছিলেন রাজপথের কর্মকান্ডে। টিটু ও খোকনের জেলা যুবদলের পুর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের প্রথম কর্মসূচিতেই তারা নিজেদের ব্যর্থতার পরিচয় দিলেন। রাজপথে তারা কতটা ভীতু সেটাও প্রমান করেছেন। ২০১ জনের কমিটি হলেও জেলা যুবদলের মিছিলে অর্ধশত নেতাকর্মীর বেশি দেখা যায়নি।
বৃহস্পতিবার সকালে নারায়ণগঞ্জ চাষাড়া বালুর মাঠের গলিতে অবস্থান নেয় জেলা যুবদলের নেতাকর্মীরা। সকাল ১০টায় সেখান থেকে টিটু ও খোকনের নেতৃত্বে জেলা যুবদলের মাত্র অর্ধশত নেতাকর্মীদের নিয়ে মিছিলে বের হন। মিছিলের তিন মিনিটের মাথায় চাষাড়া বালুর মাঠ থেকে পপুলার হাসপাতালের সামনে গেলেই পুলিশ মৃদু বাধা দেয়। এর আগেই পিছনের নেতাকর্মীরা মুর্হুতের মধ্যে উধাও হয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে জেলা যুবদলের মিছিল ছত্রভঙ্গ।
এর আগে বালুর মাঠের গলি থেকে মিছিলের প্রস্তুতি নেয়ার সময় কর্মীরা যখন মিছিলের অগ্রভাগে সামনে এগুনোর চেষ্টা করছেন তখন জেলা যুবদলের সভাপতি ও সেক্রেটারি সহ অন্যান্য নেতারা বারবার পিছনের দিকে তাকাচ্ছিলেন। তাদের মোটিভ দেখে বুঝা যায় তারা যে কোন সময় দৌড়ে পালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন। মিছিল শুরুর সময় নেতারা পিছনে পুলিশের দিকে তাকাচ্ছিলেন। কিন্তু একটু সামনে যাওয়ার পর পুলিশ সামনে এসে দাড়ালে তাদের মিছিল মুহুর্তের মধ্যেই শেষ। সব মিলিয়ে তারা তিন মিনিটে জেলা যুবদলের বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি শেষ করেছেন। মুলত মিডিয়াতে ছবি তোলাটাই ছিল তাদের মুল উদ্দেশ্য। সেটা হলেই তারা তাদের কর্মসূচি শেষ করেন।
পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠণের আগে আংশিক কমিটির সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট একেএম আমিরুল ইসলাম, হারুন অর রশীদ মিঠু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া এই কর্মসূচিতে ছিলেন না। আবার পূর্ণাঙ্গ কমিটির ২০১ জন যুবদল নেতা থাকলেও কমিটি গঠনের প্রথম কর্মসূচিতেই টিটু ও খোকন অর্ধশত নেতাকর্মীর বেশি লোকজন নিয়ে মিছিল করতেও ব্যর্থতার পরিচয় দিলেন।