সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
বিভিন্ন অপকৌশলে ব্যবসার নামে মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে প্রতারণার অভিযুক্ত আল আমিনকে চেক জালিয়াতি মামলায় কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আল আমিন বিএনপির যুবদলের রাজনীতিতে জড়িত। এর আগেও তাকে প্রতারণা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছিলো।
বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দ্বিতীয় আদালত কায়সার আলমের আদালতে হাজির হলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। সি.আর মামলা নং- ৪৮৮/২০। গ্ৰেপ্তার আল আমিন আড়াইহাজার উপজেলাধীন উচিতপুরা ইউনিয়নের আতাদী গ্ৰামের রফিকুল ইসলামের ছেলে।
এর আগে গত ২০২০ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর বন্দর উপজেলাধীন মদনপুর ইউনিয়নের আবদুল হকের ছেলে মো. রুহুল আমিন বাদী হয়ে আসামী আল আমিনের বিরুদ্ধে আদালতে চেক জালিয়াতি মামলাটি দায়ের করেন।
ভুক্তভোগী রুহুল আমিন বলেন, আল আমি মোল্লা একজন প্রতারক ব্যক্তি। তিনি শুধু আমার কাছ থেকেই চেকের মাধ্যমে এক লক্ষ টাকা ও স্ট্যাম্পের ষাট হাজার টাকা নেন। পরবর্তীতে তিনি সম্পূর্ণভাবে এগুলো অস্বীকারও করেন। তিনি আরও অনেক ব্যক্তির কাজ থেকেই এভাবে টাকা নিয়েছেন। ব্যবসার কথা বলে চেকের মাধ্যমে টাকা নিয়ে প্রতারণা করাই হলো তার একমাত্র উদ্দেশ্য। ব্যবসার সুবাদে রড- সিমেন্ট দেওয়ার কথা বলে সে আমার কাজ থেকে চেকের মাধ্যমে এক লাখ টাকা নেন। কিন্তু তার আকাউন্টে কোন টাকা নেই। যার ফলে আমি ব্যাংকে চেক ইস্যু করে টাকা উত্তোলন করতে ব্যর্থ হই। পরিচিত বন্ধু-বান্ধব ও তার এলাকার পরিচিতজনদের দারস্থ হয়েও টাকা আদায় করতে ব্যর্থ হই। পরে বিভিন্ন সময় টাকা উদ্ধারের চেষ্টা করেও পাওনা টাকা পরিশোধ করেননি প্রতারক আল আমিন মোল্লা।
তিনি আরও বলেন, তাছাড়া চেক ডিজঅনার হলে টাকা আদায়ে লিগ্যাল নোটিশ দেওয়ার পরও টাকা পরিশোধ করেননি এ প্রতারক আল আমিন মোল্লা। পরে টাকা আদায়ে তাঁর বিরুদ্ধে আমি আদালতে চেক প্রতারণা মামলা দায়ের করতে বাধ্য হই। আমি ছাড়াও তার বিরুদ্ধে আরও একাদিক চেক মামলা দায়ের করেন আমার মত ভুক্তভোগীরা।