সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য পদ থেকে অব্যাহতিপ্রাপ্ত বারদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লায়ন মাহাবুবুর রহমান বাবুলকে উক্ত সদস্য পদে পুনর্বহাল করেছে জেলা আওয়ামী লীগ। প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনাকে নিয়ে একটি বেফাঁস মন্তব্যের ভুল স্বীকার করে আওয়ামীলীগের নোটিশের লিখিত জবাব দাখিল করে ক্ষমা প্রার্থনা করায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্দেশে উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি প্রত্যাহার করে একই পদে তাকে পুনর্বহাল করা হয়।
গত ৮ই মার্চ নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদ বাদল স্বাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। একইসঙ্গে চিঠিতে দাবি করা হয় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপির নির্দেশে ক্ষমা প্রার্থনাকারী লায়ন বাবুলের অব্যাহতি প্রত্যাহার করে তাকে আওয়ামী লীগের সদস্য পদে পুনর্বহাল করা হয়।
ঘটনা সুত্রে জানা গেছে, গত ১২ই ফেব্রুয়ারি সোনারগাঁও উপজেলায় বারদী ইউনিয়ন যুবলীগের উদ্যোগে একটি কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সোনারগাঁ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু। ওই বক্তব্যে অনেকটা লায়ন বাবুলকে ইঙ্গিত করে হুমকি ধমকিসহ সোনারগাঁ উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের উদ্দেশ্য করে রফিকুল ইসলাম নান্নু বলেছিলেন, সোনারগাঁ উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে যদি এক পাল্লায় রাখা হয় এবং সোনারগাঁ থানা যুবলীগের সভাপতিকে যদি আরেক পাল্লায় রাখা হয় তাহলে ১০টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের চেয়ে যুবলীগের সভাপতির ওজন অনেক বেশি হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে চিনেন। যদি যুবলীগের নেতাকর্মীদের উপর কোনো আঙ্গুল তোলা হয়, তাহলে মুখে তালা দিয়া দিমু বইলা দিলাম।’
মূলত নান্নুর এমন বক্তব্যের কাউন্টার দিতে গিয়েই একই দিন সন্ধ্যায় বারদী ইউনিয়নের পাইকপাড়া এলাকায় একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে লায়ন বাবুল অনেকটা উত্তেজিত হয়ে বলে ফেলেন, ‘আমি বারদীর ম্যাজিস্ট্রেট। বারদীতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আসলেও আমার হুকুম লাগবে। ‘ তার এমন বক্তব্যের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়। যার ফলশ্রুতিতে ৩দিনের মাথায় জেলা আওয়ামীলীগ উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য পদ থেকে তাকে অব্যাহতি দেয়।
পরবর্তীতে গত ১৭ই ফেব্রুয়ারি সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের এক জরুরি সভায় সিদ্ধান্ত নিয়ে লায়ন বাবুলকে কারণ দর্শানোর জন্য সাতদিনের নোটিশ দেয়। অথচ নান্নুকে শুধুমাত্র সতর্ক করা হয়। ৭দিনের মধ্যে লায়ন বাবুল তার লিখিত জবাবের মাধ্যমে তিনি ভুল স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। যদিও এর আগেও তিনি সাংবাদিক সম্মেলন করে তার ভুল স্বীকার করে প্রধানমন্ত্রীসহ দেশবাসীর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।