সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন করেছে কেন্দ্রীয় যুবদল। গত ৩১ মার্চ এই কমিটির অনুমোদন করা হলেও ৫ এপ্রিল তা মিডিয়াতে প্রকাশ করা হয়। ওই দিন কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নীরব ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের এই পূর্নাঙ্গ কমিটি অনুমোদন করেন। পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে আংশিক কমিটির ৫ জন স্বপদে বহাল রয়েছেন। তবে কমিটিতে স্থান পেয়েছেন নিষ্ক্রিয় বিতর্কিত অনেক লোকজন। যেখানে সেক্রেটারি মন্তুর ভাগিনা আরমানকে নিয়ে নানা বিতর্ক রয়েছে এলাকায়। তাকেও বড় পদে রাখা হয়েছে।
দীর্ঘ এই কমিটিতে ২৫ জনকে করা হয়েছে সহ-সভাপতি! ১৮ জন রয়েছেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে এবং ৭জন সহ-সাধারণ সম্পাদক ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক পদে রয়েছেন ৫ জন। এই কমিটি গঠনে এককভাবে সভাপতি ও সেক্রেটারি গঠন করে কেন্দ্রে জমা দিয়েছেন। সেটাই অনুমোদন করা হয়েছে। এক্ষেত্রে বাকি তিনজনের কোন মতামত নেয়া হয়নি বলে জানাও গেল। তবে কমিটি গঠনে এখনও পর্যন্ত আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি অভিযোগ করেনি কেউ।
এই কমিটি গঠনের বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাগর প্রধানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, শুনেছি সভাপতি ও সেক্রেটারি একটা কমিটি কেন্দ্র থেকে অনুমোদন করিয়ে নিয়ে এসেছেন। কমিটি গঠনের আগে আমাদের নিয়ে বসা হয়নি। সভাপতি সেক্রেটারিই এককভাবে করেছেন। তবে এখনও কোন মন্তব্য করতে চাইনা। আগে কমিটি দেখি তারপর দেখবো কাকে কোথায় রাখা হয়েছে। তারপর মন্তব্য করব। তবে এভাবে কমিটি গঠন করা সঠিক হয়নি।’
কমিটির সভাপতি পদে মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ, সিনিয়র সহ-সভাপতি- মনোয়ার হোসেন শোখন, সহ-সভাপতি সানোয়ার হোসেন, রানা মজিব, আনোয়ার হোসেন আনু, আকতার হোসেন খোকন শাহ, মোয়াজ্জেম হোসেন মন্টি, জুয়েল প্রধান, জুয়েল রানা, মনিরুল ইসলাম মনু, আমির হোসেন, মীর বিল্লাল হোসেন, ইছালউদ্দিন ইশা, রিটন দে, সরকার মুজিব, ইউনুছ খান বিপ্লব, নাজমুল কবীর নাহিদ, নাজমুল হক রানা, আহম্মদ আলী, জানে আলম দুলাল, আকতার হোসেন সবুজ, ফয়েজ আহম্মেদ, আব্দুর রহমান, গোলাম কিবরিয়া, হারুনুর রশীদ লিটন, শেখ মোঃ সেলিম।
এদের মধ্যে মনোয়ার হোসেন শোখন বরাবরেই মতই রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয়। সরকারি দলের সঙ্গে আতাত করে তার ব্যবসা বানিজ্য চলচে হরদম। মহানগর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সানোয়ার হোসনকে এবার পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে ঠাঁই দেয়া হয়েছে। তিনি দ্বিতীয় সহ-সভাপতি। রানা মুজিব কয়েক বছর ধরে রয়েছেন বিদেশে। আনোয়ার হোসেন আনু রাজনীতিতেই নাই কয়েক বছর ধরে। তার আপন ভাই মনিরুজ্জামান মনির করেন আওয়ামীলীগের রাজনীতি। নাজমুল হক রানাও রাজনীতিতে নেই দীর্ঘদিন যাবত। সহ-সভাপতি পদে থাকা অনেক নেতাদের গ্রহণযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।
সাধারণ সম্পাদক পদে মন্তাজউদ্দিন মন্তু, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক- সাগর প্রধান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে আলী নওশাদ তুষার, ইকবাল হোসেন, নজরুল ইসলাম, আল-আমিন খান, শেখ রুহুল আমিন রাহুল, মাহাবুব হাসান জুলহাস, মনিরুজ্জামান পিন্টু, ফিরোজ আহম্মদ, নুর এলাহী সোহাগ, কাজী সোহাগ, এমএএম সাগর, মঞ্জুরুল আলম মুসা, মোকতার ভূইয়া, সোহেল খান বাবু, মিজানুর রহমান, শেখ মোহাম্মদ অপু ও আক্তার হোসেন অপু, সহ-সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন মাহমুদ ফয়সাল, শহীদুল ইসলাম, সাইফুর রহমান প্রধান, জাকির হোসেন সেন্টু, সাইদুর রহমান বাবু, আবুল হোসেন রিপন ও ফয়সাল মাহমুদ।
শেখ রুহুল আমিন রাহুলও রাজনীতিতে নেই দীর্ঘদিন যাবত। উপরের এসব নেতাদের অনেকেই ছাত্রদলের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। অনেকেই রাজনীতিতেই ছিলেন না। মহানগর যুবদলের রাজপথের আন্দোলনে এখানে বেশকজনকে দেখা যায়নি। আবার যাদেরকে জেলা যুবদলের কমিটিতে রাখা হয়েছে তাদেরকে আবার মহানগর যুবদলের কমিটিতেও দেখা গেল। বন্দরের ৫টি ইউনিয়ন এলাকায় জেলা যুবদলের নিজের এলাকা দাবি করে সেখান থেকে অনেক নেতাদের মহানগর যুবদলের কমিটি রাখা হয়েছে। এর আগে জেলা যুবদলের কমিটিতেও তারা অনেক নেতাদের সেখান থেকে পদ দিয়েছেন।
এ ছাড়াও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে রশিদুর রহমান রশু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক পারভেজ, আরমান হোসেন, নুর এজাজ আহম্মেদ, কাওসার আহম্মেদ, সাহেব উল্লাহ রোমান-ওয়ার্ড, কোষাধ্যক্ষ পদে জাহাঙ্গীর প্রধান, সহ-কোষাধ্যক্ষ পদে জাহাঙ্গীর হোসেন জাহিদ, রুবেল হোসেন, প্রচার সম্পাদক পদে রাসেল আহম্মেদ মনির, সহ-প্রচার সম্পাদক- আক্তার হোসেন জিহাদ, জাকির হোসেন মাসুদ, দপ্তর সম্পাদক- শওকত খন্দকার, সহ-দপ্তর সম্পাদক জাহিদ খন্দকার, সোহেল মাহমুদ, সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক- মোস্তাফিজুর রহমান বাহার, সহ-সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক এরশাদ আলী, সাদ্দাম হোসেন, আইন বিষয়ক সম্পাদক শরীফুল ইসলাম শিপলু, সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক নুরুল আমিন মাসুম, বর জাহান, নাদিম শিকদার, ক্রীড়া সম্পাদক পদে আল মামুন, সহ-ক্রীড়া সম্পাদক হুমায়ন আহমেদ, কাজী নুরে আলম, আফতাব উদ্দিন, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক- শফিকুজ্জামান লিমন, সহ-তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মিজানুর রহমান, মোঃ তৈয়ম, যোগাযোগ সম্পাদক নুর আলম খন্দকার, সহ-যোগাযোগ সম্পাদক নবী উল্লাহ নবু, আঃ মোমিন পারভেজ, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মোঃ শহীদ, সহ-সমাজ কল্যাণ সম্পাদক নুর আলম প্রধান, নুর হোসেন, গণ শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আওলাদ হোসেন, সহ-গণ শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক পনির ভূইয়া, সাঈদ খান, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মোঃ মিঠু, সহ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক- হাফেজ আবদুর রহিম, সামসু মিয়া, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মঞ্জুর হোসেন, সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক বিল্লাল হোসেন, আল আমিন মাঝি, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক রানা মুন্সী, সহ-সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক শাহাদউল্লাহ মুকুল, মোঃ ইব্রাহীম মিয়া, ইমরুল ভূঁইয়া, সমবায় বিষয়ক সম্পাদক- দিদার খন্দকার, সহ-সমবায় বিষয়ক সম্পাদক মামুন মিয়া, মোঃ বোরহান ঢালী, শিল্প বিষয়ক সম্পাদক এস এম মোমেন, সহ-শিল্প বিষয়ক সম্পাদক- কবির হোসেন, মোঃ সোহেল, পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ওসমান গনি, সহ-পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক শিপন মাহমুদ, ওবায়দুর রহমান দিপু, তথ্য যোগাযোগ ও বিজ্ঞান প্রযুক্তি সম্পাদক পারভেজ আলম, সহ-তথ্য যোগাযোগ ও বিজ্ঞান প্রযুক্তি সম্পাদক ইমরান শামী, তরিকুল ইসলাম, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক সুমন ভূইয়া, সহ-কৃষি বিষয়ক সম্পাদক আসাবউদ্দিন, মোঃ দুলাল, ত্রাণ ও পূণর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক মোঃ মুসা, সহ-ত্রাণ ও পূণর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক জাকির হোসেন, মীর্জা আক্তারুজ্জামান, ফারুক হোসেন, মৎস ও পশুপালন বিষয়ক সম্পাদক সাইফুল সোহেল, সহ-মৎস ও পশুপালন বিষয়ক সম্পাদক আলফু প্রধান, মানিক মন্ডল, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ফয়সাল আহম্মেদ, সহ-স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক সুমন প্রধান, মোঃ নুরুজ্জামান, কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক শামসুল হক, সহ-কর্ম সংস্থান বিষয়ক সম্পাদক মাহবুব মন্ডল, বাদশাহ মিয়া। এসব পদে আসা অধিকাংশরাই সক্রিয় রাজনীতিতে নেই কয়েক বছর ধরে। তবে ২০১৪ সালের আগে অনেককেই দেখা গিয়েছিল। তারাও ঠাঁই পেয়েছে কমিটিতে।
কমিটিতে সদস্য পদে জয়নাল আবেদীন, মাসুদ রানা, সরকার আলম, সালাউদ্দিন দেওয়ান, মাজহারুল ইসলাম জোসেফ, মোঃ পলাশ, সানি ভূইয়া, কবীর হোসেন, মোঃ সোহেল, মোঃ ইকবাল, আকরাম পলাশ, মোঃ খোকন, রফিক হাওলাদার, মেহেদী হাসান রাজু, জাবেদ হোসেন, নাছির হোসেন, মোঃ আমির হোসেন, বিল্লাল হোসেন, মিলন খান, হোসাইন জনি, মোঃ ইমন, মোঃ আব্দুল হালিম, উত্তম কুমার দে, নুর মোহাম্মদ, মোঃ আল-আমিন হুসাইন, মোঃ সেলিম মিয়া, মোঃ বাদশা মিয়া, আঃ আউয়াল, মোঃ জসিম, মোঃ মতিউর রহমান মনু, মোঃ শওকত উল্ল্যা শওকত, মোঃ ইমন, হাজী আবুল হোসেন রিপন, মোঃ শাহজাহান, মোঃ হালিম, সাইফুল ইসলাম (ডেজার, মোক্তার হোসেন মন্ডল, রাশিদুজ্জামান, সাইদুল প্রধান, মোঃ ইসলাম, মজিবুর রহমান, আল-আমিন বেপারী, হৃদয় ভূইয়া ও মমিন রোমান।
এ ছাড়াও সদস্য পদে আরও রয়েছেন রাসেল সরকার, ওসমান আলী, গোলাপ, মাইনুল, মোঃ হোসেন, নুরুল কবির, আলী মোহাম্মদ, জিল্লুর রহমান, হাজী নজরুল ইসলাম, সোহেল মাহমুদ, মানিক, আতিকুর রহমান আতিক, আরিফ সাউদ, সবুজ, আলমগীর ফিরোজ, মোঃ হারুন-অর-রশিদ, আলমগীর হোসেন, নজরুল ইসলাম ভূইয়া, আঃ আজিজ, তারা মিয়া, সফর আলী, সেলিম খন্দকার, নাঈম আহমেদ, মামুন হোসেন ভূইয়া, বাবুল হোসেন মেম্বার, ফরহাদ হোসেন, পনির হোসেন, আব্দুল্লাহ, তাইজুল, আশরাফুল, আমিনুল, চুন্নু মিয়া, জহিরুল খন্দকার জনি, স¤্রাট হোসেন সুজন, দ্বীন ইসলাম শান্ত, এমারত, নুর মোহাম্মদ কালা, দিপু শিকদার, ইলিয়াছ, সাইফুল ইসলাম, মোঃ জেমি, ইলিয়াছ হোসেন মিন্টু, টুটুল, সাইদ হাসান রিপন, মেহেদী হাসান মাসুদ, আবু সাইদ তুহিন, বরকত উল্লাহ জনি, মঞ্জিল খান, বাদশা মোল্লা ও মোঃ সাঈদ।