সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলা এলাকা নিয়ে গঠিত নারায়ণগঞ্জ-২ সংসদীয় আসন। এই আসনটিতে জাতীয় নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পাওয়া নিশ্চিতের লড়াই চলে আসছে সব সময়। গত নির্বাচনে এই আসনে বিএনপির দলীয় প্রতীকের মনোনয়ন লড়াইয়ে মুলে ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ ও জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি মাহমুদুর রহমান সুমন।
১/১১ এর সময় সংস্কারবাদীদের দলে গিয়ে সাবেক এমপি এম আতাউর রহমান খান আঙ্গুর দলের অবস্থান হারিয়েছেন অনেক আগেই। আওয়ামীলীগ সরকারের আমলেও তার রাজপথে বিএনপির পক্ষে তার ভুমিকা নেই। তবুও তিনজননেই গত নির্বাচনে প্রাথমিক মনোনয়ন পেলেও শেষতক চূড়ান্ত মনোনিত হোন আজাদ। সেই থেকে আড়াইহাজারের বিএনপির নেতৃত্বে আজাদের দখলে চলে যেতে থাকে।
স্থানীয়রা জানান, একটি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে বিএনপিতে যোগদান করেছিলেন আঙ্গুর। তার প্রয়াত ভাই বিএনপি নেতা এএম বদরুজ্জামান খান খসরুর চেষ্টায় বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছে একাধিকবার এমপি হোন আঙ্গুর। সান নারায়ণগঞ্জকে অনেকে জানান খসরুর মৃত্যুর পর কয়েক বছর ধরে আড়াইহাজার বিএনপির নেতৃত্বের হাল ধরার চেষ্টায় নামেন খসরুর ছেলে সুমন। কিন্তু উল্টো হিতে বিপরীত হয়ে যায়। বিএনপির নেতাকর্মীরা অর্থাৎ যেসব নেতাকর্মীরা খসরুর ঘনিষ্ঠ নেতাকর্মী ছিলেন তারা সুমনের বলয় ছেড়ে আজাদের বলয়ে চলে যান।
বর্তমানে আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপির কমিটি ও উপজেলার প্রতিটা ইউনিয়ন বিএনপির কমিটি এখন আজাদের একক নিয়ন্ত্রণে। আজাদের তল্পিবাহক কর্মীদের মাধ্যমে এসব কমিটি গঠন করা হয়েছে। আড়াইহাজার বিএনপির রাজনীতিতে এখন চাচা আঙ্গুর ও ভাতিজা সুমনের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখাই দায় হয়ে পড়েছে। আজাদ শুধু আড়াইহাজারই নয়, বরং জেলার অন্যান্য এলাকার রাজনীতিও নিয়ন্ত্রণে নেমেছেন। আড়াইহাজারে বিএনপি এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনগুলোর কমিটিও এখন আজাদের পকেট কমিটিতে পরিনত হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে রাজনীতি থেকে কিছুটা আড়ালেই চলে গেছেন আঙ্গুর ও সুমন।
তবে আঙ্গুর ও সুমন দমে গেলেও আড়াইহাজারে বিএনপির রাজনীতিতে হাল ছাড়তে নারাজ কেন্দ্রীয় মহিলা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক পারভীন আক্তার ও বিএনপি নেতা বিআরডিবির সাবেক চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন অনু। তারা এখন আড়াইহাজারে কমিটি থেকে বঞ্চিত ত্যাগী তৃণমুল নেতাকর্মীদের একত্রিত করার কাজ করছেন। অনেক আগেই পারভীন আক্তার এ আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশা ব্যক্ত করে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন। ফলে আজাদের ইশারায় পারভীন ও পারভীনের বলয়ের সকল নেতাকর্মীদের মাইনাস করে কমিটি গঠন করানো হয়েছে। স্থানীয় বিএনপির একক নিয়ন্ত্রক আজাদ হলেও আগামী নির্বাচনে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেন পারভীন আক্তার। এমন আশংকা থেকেই পারভীন ও পারভীনের লোকজনকে কমিটিতে রাখা হয়নি বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। তবে পারভীন আক্তার নিয়মিত নানা কর্মসূচি পালন করে সক্রিয়তা দেখিয়ে আসছেন।