সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
আগামী ১৫ জুন নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে এবারো থাকছে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী। ইতিমধ্যে দুজন নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন প্রত্যাশি তাদের দলীয় মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছেন। কিন্তু কেন্দ্রীয় ও জেলা আওয়ামীলীগের সিদ্ধান্তকে পাস কাটিয়ে এককভাবে বর্তমান চেয়ারম্যান আরিফ মাসুদ বাবুর নাম কেন্দ্রে প্রস্তাবের পায়তারা করছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের শীর্ষ বেশকজন নেতা।
যেখানে কয়েক বছর ধরে মোগরাপাড়া ইউনিয়নবাসী ও স্থানীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে উন্নয়ন ও করোনাকালে মানব সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করেছেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি হাজী শাহ মোহাম্মদ সোহাগ রনি। গত বছরের এপ্রিল মাসে সোনারগাঁয়ে হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতা মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করার সময় মুল ভুমিকায় ছিলেন সোহাগ রনি। মামুনুল হক অনুগামীরা সোহাগ রনির বাড়িঘর ভাংচুর চালিয়েছিলো। অথচ সেই সোহাগ রনিকে বাদ দিয়ে আরিফ মাসুদ বাবুর নাম এককভাবে কেন্দ্রে পাঠানোর চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ ওঠেছে।
৮ মে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামীলীগ সভাপতির কার্যালয় থেকে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছেন মোগরাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান আরিফ মাসুদ বাবু। তার ভাতিজা আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি ও সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত, যিনি গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মহাজোটের প্রার্থীর বিরোধীতা করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন। নির্বাচনের কয়েক ঘন্টা পূর্বে তিনি নির্বাচন থেকে সরে যেতে বাধ্য হন। ওই সময় কায়সার হাসনাতের পক্ষেই ছিলেন আরিফ মাসুদ বাবুও।
এদিকে গত ৫ মে নৌকা প্রতীক প্রত্যাশি নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি শাহ মোহাম্মদ সোহাগ রনি তার মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
এখানে আরো উল্লেখ্যযে, মোগরাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের মেয়াদ শেষ হয়েছে অনেক আগেই। সীমানা জটিলতাকে পুজি করে একটি গ্রুপ মোগরাপাড়া ইউনিযন পরিষদের কর্তৃত্ব ধরে রাখতে চেয়েছিলো। পরিষদের একজন মেম্বার মামলা দিয়ে নির্বাচন আটকে দেয়। কিন্তু সোহাগ রনি দীর্ঘদিন আইনি লড়াই চালিয়ে সীমানা জটিলতার অবসান ঘটিয়ে মোগরাপাড়া ইউনিয়নবাসীর ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনেন। ফলে মোগরাপাড়া ইউনিয়নবাসীর মাঝে সোহাগ রনির ব্যাপক জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্য বেড়ে যায়।
উল্লেখ্য, ৮ ম ধাপে আগামী ১৫ জুন মোগরাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ইবিএমের মাধ্যমে ভোট হবে। নির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ১৭ মে , যাছাই বাছাই ১৯ মে, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষদিন ২৬ মে এবং প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ২৭ মে।