সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাত্রিতে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী যখন এদেশের মানুষের উপর নির্বিচারে গণহত্যা চালিয়েছিলো তখন আওয়ামীলীগ নেতারা ভারতে পালিয়ে গিয়ে আরাম আয়েশে মত্ত ছিলেন, তখন মেজর জিয়াউর রহমান চট্রগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে এদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। জিয়াউর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে এদেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পরেছিলেন এবং নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে দেশকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন। জিয়াউর রহমান শুধু স্বাধীনতার ঘোষনা দিয়েই ক্ষান্ত থাকেননি বরং রনাঙ্গণে জেড ফোর্সের নেতৃত্ব দিয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধের বিজয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪১তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের উদ্যোগে আয়োজিত মিলাদ দোয়া ও খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মঙ্গলবার (৩১ মে) বিকেলে সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল এলাকায় এ আয়োজন করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহবায়ক মমতাজউদ্দিন মন্তুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আয়েয়াজনে উদ্বোধন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আ: সবুর সেন্টু। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম সজল।
এডভোকেট সাখাওয়াত বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরে এদেশের মানুষ যে অর্থনৈতিক মুক্তির স্বপ্ন দেখেছিলো তা দু:স্বপ্নে পরিনত হতে বেশি সময় লাগেনি। দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করে একদলীয় বাকশালী শাসন ব্যবস্থা কায়েম করা হয়েছিলো। আওয়ামীলীগের দু:শাসনের ফলে দেশে ১৯৭৪ সালে দিির্ভক্ষ দেখা দিয়েছিলো। কুকুর আর মানুষ একসাথে ডাষ্টবিনে খাবার খেয়েছিলো। দেশের মানুষকে সে দু:শাসন থেকে মুক্তি দিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান।
তিনি বলেন, ১৯৭৪ সালের সে দুর্ভিক্ষের পরিস্থিতি আবারো এদেশে সৃষ্টি হচ্ছে। বর্তমান স্বৈরাচারী সরকারের দু:শাসনের কারনে দেশের মানুষ আজ দুবেলা দুমুঠো ভাত খেতে পারছে না। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির কারনে দেশের মানুষ আজ দিশেহারা। তাই দেশের মানুষকে এই আওয়ামী দু:শাসন থেকে মুক্তি দিতে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। সে আন্দোলনে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের নেতাকর্মীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করছি।
সভাপতির বক্তব্যে মহানগর যুবদলের আহবায়ক মমতাজউদ্দিন মন্তু বিএনপির নেতাকর্মীদের মাঝে সকল ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামে অংশ নেওয়ার আহবান জানিয়ে ববলেন, আমরা সবাই শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শের সৈনিক। আমাদের এই একটাই পরিচয়। আমরা নিজেদের মাঝে কোনো বিভক্তি রাখবো না। আমাদের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দিক নির্দেশনায় আগামী দিনে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামে অংশ নেবো।
অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্বাবধানে মহানগর যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি গোলাম কিবরিয়া, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান ও সাবেক সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক আরমান হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় তাঁতীদলের সদস্য সচিব মজিবুর রহমান, মহানগর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন।
আরও উপস্থিত ছিলেন মহানগর যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি হারুন অর রশিদ, নাজমুল হক রানা, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম মুসা, নূরে এলাহী সোহাগ, শেখ মোহাম্মদ অপু, আবুল হোসেন রিপন, তরিকুল ইসলাম, মিজানুর রহমান, সহ সাধারণ সম্পাদক সহিদুল ইসলাম, জাকির হোসেন সেন্টু, মহানগর ছাত্রদলের সিনিয়র সহ সভাপতি রাফিউদ্দিন রিয়াদ, বন্দর থানা যুবদলের সাবেক সদস্য সচিব শাহাদুল্লাহ মুকুল, সাবেক সহ সাংগঠনিক সম্পাদক পারভেজ খান, কায়সার আহমেদ, আরমান হোসেন, সাবেক বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মো: ইব্রাহিম, সহ- স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক মো. নুরুজ্জামান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আলী ইমরান শামীম, সদস্য মোতালেব হোসেন, নবী হোসেন নবু, দুলাল হোসেন, মহানগর ছাত্রদলের সহ-সভাপতি সাবেক সাজ্জাদ হোসেন কমল, শাহিন খান, কামরুল হাসান রনি, শাহিন শরীফ, মো. শাকিল, তারেক সুবহান বাবু, জহিরুল ইসলাম হারুন, সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক এ এইচ সৌরভ, সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক মো. এরশাদ আলী, সদস্য সাইফুল ইসলাম আপন, রিয়াজুল আলম ইমন, হাবিবুর রহমান মাসুদ, যুুুুবদল নেতা আরিফুর রহমান নয়ন, জুনায়েদ আলম জনি, রেজাউল করিম রেজা, হোসেন, আঃ হাকিম, মোক্তার হোসেন, স্বপন মিয়া, নাজমুল জোয়াদ্দার, সজিব আহমেদ, তাওলাদ , জহির, এলিন, মানিক বেপারী প্রমূখ। এছাড়াও নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদল, বন্দর, সিদ্ধিরগঞ্জ, সদর থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের যুবদলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।