সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
২০২৩ সালের জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে আবারো আন্দোলনের আভাস দিয়েছে বিএনপি। সেই লক্ষ্যেই বিএনপি সারাদেশে মুলদল ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনগুলোর কমিটি দ্রুত সম্পন্ন করেছে। একইভাবে কেন্দ্রৗীয় কমিটিগুলো পূণর্গঠন করেছে বিএনপি। সেই ধারাবাহিকতা নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপিতেও। নারায়ণগঞ্জ বিএনপির রাজনীতি এখন পুরোপুরি তারুণ্যনির্ভর নেতাদের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। জাতীয় নির্বাচনের আগে আরো বেশকজন তরুণ নেতাকে জেলা ও মহানগর বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ট করার চেষ্টা চলছে।
বিএনপির নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, গত সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে দলের সিদ্ধান্তের বাহিরে গিয়ে মেয়র পদে নির্বাচন করায় দল থেকে বহিস্কার হয়েছেন অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার। তিনি বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ছিলেন। বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম রবি ও সদস্য সচিব মামুন মাহামুদের নেতৃত্বে জেলা বিএনপি চলে আসলেও নানা কর্মকান্ডে এই কমিটির স্থায়ীত্ব বেশিদুর যাবেনা মনে করছেন নেতাকর্মীরা।
নেতাকর্মীরা জানান, অধ্যাপক মামুন মাহামুদকে পরবর্তী কমিটিতে শীর্ষ যেকোনো একটি পদে রেখে দেয়ার সম্ভাবনাই বেশি। মামুন মাহামুদকে আহ্বায়ক কিংবা সভাপতি পদে রাখা হলে সেক্রেটারি পদে আসতে পারেন মাসুকুল ইসলাম রাজীব কিংবা জাহিদ হাসান রোজেলের মধ্যে যে কোনো একজন। যদিও বর্তমান পরিস্থিতিতে রাজীবের সম্ভাবনা বেশ। কারন তার পক্ষে রয়েছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ। এ ছাড়া রাজীবের পক্ষে নেতাকর্মীদের দাবিও ওঠেছে বেশ জোরালো। বিগত কমিটি গঠনের সময়ও রাজীব বেশ আলোচনায় ছিলেন।
অনেকেই জানিয়েছেন, জেলা বিএনপির শীর্ষ পদে আসীনের চেষ্টা করে আসছেন সাবেক এমপি গিয়াসউদ্দীন। গিয়াসকে শীর্ষ পদে রাখা হলে ছিটকে যেতে পারেন মামুন মাহামুদ। কারন মামুন মাহামুদ ইতিমধ্যে দুই টার্ম কমিটিতে থেকেছেন। এক্ষেত্রে রাজীবের সম্ভাবনা বেশ। রাজীব এর আগে জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। তিনি বর্তমান কমিটির সদস্য।
অন্যদিকে মহানগর বিএনপির পরবর্তী কমিটিতে শক্ত অবস্থানে থাকতে পারেন কাউন্সিলর আবুল কাউসার আশা। বর্তমানে তিনি সাংগঠনিক সম্পাদক পদে রয়েছেন। অনেকেই মনে করেন মহানগর বিএনপির পরবর্তী কমিটিতে আশাই থাকছেন সাধারণ সম্পাদক। এক্ষেত্রে হয়তো তার পিতা সাবেক এমপি আবুল কালামকে সভাপতি পদটি ছাড়তে হবে।
নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানা/উপজেলা কমিটিগুলোতে তরুণ নেতাদের হাতে নেতৃত্বে তুলে দেয়া হয়েছে। যেখানে সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন, আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জুয়েল হোসেন, ফতুল্লা থানা বিএনপির আহ্বায়ক জাহিদ হাসান রোজেল, সদস্য সচিব শহিদুল ইসলাম টিটু।
কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান দিপু ভুঁইয়া নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির নেতৃত্বে না থাকলেও তাদের প্রত্যাশিত আসন আড়াইহাজার ও রূপগঞ্জে বিএনপির একচ্ছত্র নিযন্ত্রক তারা। রূপগঞ্জে দিপু ভুঁইয়া পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ নিতে না পারলেও আড়াইহাজার বিএনপির সকল কমিটি আজাদের মুঠোবন্ধি।