সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
যশোর জেলা যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি বদিউজ্জামান ধনিকে হত্যার প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের উদ্যোগে বিক্ষোভ ও কালো ব্যাজ ধারণ কর্মসূচী পালন করতে গিয়ে পুলিশের বাঁধার মুখে পড়েছে মহানগর যুবদলের নেতাকর্মীরা। ওই সময় পুুলিশ সাথে যুবদলের নেতাকর্মীদের ব্যানার নিয়ে ধস্তাধস্তির ঘটনাও ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) সকাল ১১টায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকাল থেকেই মহানগর যুবদলের থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীরা খানপুর হাসপাতাল রোড এলাকায় জড়ো হতে থাকেন। পরে মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মমতাজ উদ্দিন মন্তু ও সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম সজল নেতাকর্মীদের নিয়ে শহরে প্রতিবাদ মিছিল বের করেন।
এসময়ে যুবদলের নেতাকর্মী নিহত যুবদল নেতা ধনী হত্যার বিচারের দাবীতে শ্লোগান দিতে থাকেন। মিছিলটি খানপুর রোড় হয়ে মেট্রো হলের মোড় ঘুরে খানপুর হাসপাতাল রোড়ে আসলেই নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার পুলিশ এসে বাঁধা দেয় এবং শেষ করতে বলেন। এসময়ে মহানগর যুবদল পুলিশী বাঁধা অতিক্রম করে সামনে যেতে চাইলে পুলিশ নেতাকর্মীদের কাছে থেকে ব্যানার কেড়ে নিয়ে যায় এবং ব্যানার নিয়ে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে।
এসময়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মমতাজ উদ্দিন মন্তু বলেন, যশোর জেলা যুবদলের সিনিয়র সহ- সভাপতি বদিউজ্জামান ধনিকে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা নিশংস ভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমরা মহানগর যুবদলের পক্ষ থেকে ধনী হত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং হত্যাকারীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। আমরা খুনিদের বিচারের জন্য বর্তমান সরকারের কাছে জবাবদিহিতা চাই। যতদিন পর্যন্ত আকবর হত্যার বিচার না হবে আমরা রাজপথ ছাড়বো না।
মহানগর যুবদলের সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম সজল বলেন, যশোরে আমাদের যুবদল নেতা ধনীকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা অবিলম্বে ধনী হত্যার বিচার চাই। ধনী রক্ত বিথা যেতে দিবোনা।এদেশের প্রতিটি গুম খুনের বিচার করা হবে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বিনা কারণে গৃহবন্দী করে রেখেছে। বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে আসতে বাঁধা প্রদান করা হচ্ছে। আমরা রাজপথে আন্দোলন- সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ধনী হত্যার বিচার প্রতিবাদ জানিয়েই যাবো।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মমতাজ উদ্দিন মন্তু’র সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম সজলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে এসময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাগর প্রধান, যুগ্ম আহ্বায়ক মোয়াজ্জেম হোসেন মন্টি, মহানগর যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি নাজমুল হক রানা, মিজানুর রহমান, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক নূরে এলাহী সোহাগ, মঞ্জুরুল আলম মুসা, শেখ মোহাম্মদ অপু, মিজানুর রহমান, সহ সাধারণ সম্পাদক সহিদুল ইসলাম, বন্দর থানা যুবদলের সাবেক সদস্য সচিব শাহাদুল্লাহ মুকুল, মহানগর যুবদলের সাবেক সহ সাংগঠনিক সম্পাদক পারভেজ খান, কায়সার আহমেদ, আরমান হোসেন, সাবেক বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মো: ইব্রাহিম, সহ- স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক মো. নুরুজ্জামান, সদস্য নবী হোসেন নবু, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি সাজ্জাদ হোসেন কমল, মহানগর ছাত্রদলের সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক এ এইচ সৌরভ, সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক মো. এরশাদ আলী, সদস্য হাবিবুর রহমান মাসুদ,জুনায়েদ মোল্লা, ফয়েজ উল্লাহ সজল, যুুুুবদল নেতা লিংরাজ খান, আঃ হাকিম, মোক্তার হোসেন, নাজমুল জোয়াদ্দার, সজিব আহমেদ, মানিক বেপারী, বিল্লাল হোসেন, স্বপন, নুরুল ইসলাম, মো. জামান, শামীম, হাবিব, হারুন অর রশিদ, জনি, নারায়ণগঞ্জ সদর থানা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ওয়াসিম আকরাম হৃদয় প্রমূখ। এছাড়াও নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদল, বন্দর, সিদ্ধিরগঞ্জ, সদর থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের যুবদলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার (১২ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শহরের শংকরপুর চোপদারপাড়ায় নিজের বাড়ির সামনে যশোর জেলা যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি বদিউজ্জামান ধনিকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করে সন্ত্রাসীরা। আহতাবস্থায় হাসপাতালে নেয়ার পর মারা যান তিনি।