সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে দলের সিদ্ধান্তের বাহিরে গিয়ে নির্বাচন করেছিলেন অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার। নির্বাচনে তৈমূর আলম খন্দকারের পক্ষে সরাসরি কাজ করেছেন এটিএম কামাল। যার ফলশ্রুতিতে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক তৈমূর আলম খন্দকার ও মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল বিএনপি থেকে স্থায়ীভাবে বহিস্কার হয়েছেন।
এটিএম কামালকে বহিস্কারের পর তিনি আবারো আমেরিকায় চলে যান। সেই থেকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হয়ে দায়িত্বে রয়েছেন আব্দুস সবুর খান সেন্টু। সভাপতি আবুল কালাম বরাবরেই মতই পূর্বের ন্যায় রাজপথের সক্রিয় রাজনীতিতে নিস্ক্রিয়। এমন পরিস্থিতিতে মহানগর বিএনপির পরবর্তী কমিটি প্রায় আসন্ন। যে কোনো সময় হয়তো ঘোষণা আসতে পারে মহানগর বিএনপির নতুন কমিটি।
এমন পরিস্থিতিতে মহানগর বিএনপির পরবর্তী নেতৃত্ব কাদের হাতে ওঠতে যাচ্ছে সেটা নিয়ে নেতাকর্মীদের মাঝে ভিন্ন সমীকরণ। নানা হিসেব নিকেশ কষছেন নেতাকর্মীরা। কার্যত শক্তিশালী মহানগর বিএনপির কমিটি দেখতে চায় নেতাকর্মীরা। বর্তমান কমিটির সভাপতি আবুল কালামকে দীর্ঘ রাজনীতির অভিজ্ঞতার কারনেই নেতৃত্বে এসেছেন বারবার। তিনি সব সময়ই টেবিল রাজনীতিক হিসেবে পরিচিত। কিন্তু বিপুল সংখ্যক কর্মীসমর্থক থাকায় এবং বিএনপির প্রয়াত নেতা হাজী জালালউদ্দীনের সন্তান হওয়ার সুবাদে তার হাতেই বারবার ওঠছে নেতৃত্ব। পরবর্তী কমিটি গঠনেও তার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যায় না।
তবে নেতাকর্মীরা মনে করছেন- কালামের ছেলে মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কাউন্সিলর আবুল কাউসার আশাকে সাধারণ সম্পাদক পদে বসানো হলে সভাপতি পদটি আবুল কালামকে ছেড়ে দিতে হবে। সেক্ষেত্রে সভাপতি পদে সম্ভাবনা রয়েছে মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানের। কিন্তু আবুল কালামকে সভাপতি পদে বহাল রাখা হলে সেক্ষেত্রে আবুল কাউসার আশাকে নেতৃত্বে আসতে আরো অপেক্ষা করতে হবে।
নেতাকর্মীরা আরো মনে করছেন-আবুল কালামকে সভাপতি পদে বহাল রাখা হলে সাধারণ সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান সহ বেশকজনের নাম আলোচনায় রয়েছেন। মহানগর বিএনপির দলীয় কর্মসূচিগুলোতে সক্রিয় ভুমিকা রেখে আসছেন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সবুর খান সেন্টু ও সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু। সাধারণ সম্পাদক পদে এই দুই নেতাও বেশ শক্ত অবস্থানে রয়েছেন।
আবার অনেকেই জানিয়েছেন, মহানগর বিএনপির পরবর্তী কমিটি থেকে আবুল কালাম সরে গেলে সাধারণ সম্পাদক পদে আশাকে অধিষ্ট করানোর সুযোগ থাকলেও সেখানে সভাপতি পদে চেষ্টায় থাকতে পারেন মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি আতাউর রহমান মুকুল। কারন কালাম চাইবেন মহানগর বিএনপির কমিটি তার একক নিয়ন্ত্রনে থাকুক।
অন্যদিকে এক সময় মহানগর বিএনপির পরবর্তী নেতৃত্ব মনে করা হতো সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর ও মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ। কিন্তু তিনি বর্তমানে একজন নারীর ধর্ষণ মামলায় কারাগারে রয়েছেন। নারী ঘটিত কারনে তিনি রাজনীততে বেশ পিছিয়ে গেছেন। সেখানে আবার বড় ধাক্কা হয়ে দাঁড়িয়েছে তার আপন বড় ভাই তৈমুর আলম খন্দকারের বহিস্কার। তবে মহানগরীর রাজনীতিতে তৈমূর আলম ও খোরশেদে অনুগত বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী রয়েছেন যারা এখনো আশা দেখছেন মহানগর বিএনপির পরবর্তী কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক হতে পারেন খোরশেদ। নেতাকর্মীদের নানা সমীকরণ শেষে পরবর্তী কমিটির নেতৃত্বে পেতে যাচ্ছেন কে কে সেটা দেখার অপেক্ষা করতে হবে আরো কয়েক মাস।