সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে আওয়ামী লীগে যোগদান করেছিলেন নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের বিএনপি নেতা টিএইচ তোফা। তিনি সাত খুন মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি নূর হোসেনের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত। তরুণ দলের মাধ্যমে রাজনীতিতে পদার্পণ ঘটে তার।
একসময়ের নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির তৎকালীন সভাপতি অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকারের বেশ আস্থাভাজন কর্মী ছিলেন তোফা। যে কারণে একটি মামলায় টিএইচ তোফা কারাভোগ করার পর তৈমুর আলম খন্দকারের বাসায় তাকে রাজকীয় সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছিল।
সেই তোফা গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে সিদ্দিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের হাতে ফুলের নৌকা উপহার দিয়ে আওয়ামী লীগে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান করেছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগে যোগদান করলেও আওয়ামী লীগ পুনরায় ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগে তাকে ঠাই দেয়নি। পরবর্তীতে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অধ্যাপক মামুন মাহামুদের হাত ধরে ধীরে ধীরে বিএনপিতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন।
ইদানিংকালে বিএনপির বিভিন্ন সভা সমাবেশে সক্রিয় দেখা যাচ্ছে তাকে। মূলত মামুন মাহমুদের আশীর্বাদেই আওয়ামী লীগে চলে যাওয়া তোফা এখন বিএনপির বড় নেতা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সিদ্দিরগঞ্জে বিএনপির বিলুপ্ত কমিটিতে তোফাকে রেখেছিলেন মামুন মাহমুদ। দলের কঠিন পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগের যোগদান করে এখন নতুন করে আবার বিএনপি নেতা সাজার চেষ্টায় রয়েছেন তোফা।
৩১ জুলাই রবিবার বিকেলে নগরীর চাষাঢ়া শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম রবি’র সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব অধ্যাপক মামুন মাহমুদের সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি’র যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উল নবী খান সোহেল। সেই সমাবেশ মঞ্চে কেন্দ্রীয় নেতার পেছনেই দাঁড়িয়েছিলেন তোফা।