সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
যেখানে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষিত নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির মাধ্যমে নির্ধারিত কেন্দ্রীয় বিএনপির অনুমোদিত কর্মসূচি পালন করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপি। সেই কেন্দ্রীয় বিএনপির অনুমোদিত কর্মসূচির বিরুদ্ধে গিয়ে পাল্টা কর্মসূচি পালন করেছেন বিএনপি’র দল ভাঙ্গার ষড়যন্ত্রকারী ও বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমানকে মাইনাস করে ষড়যন্ত্রে অন্যতম ভূমিকা রাখা সেই অধ্যাপক রেজাউল করিম।
১/১১ সময় বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে মাইনাস ফর্মুলার সংস্কারবাদীদের অন্যতম নেতা ছিলেন এই অধ্যাপক রেজাউল করিম, যিনি গত ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা আসার পর রাজনৈতিক কোনো কর্মসূচিতরই মাঠেই থাকেন না। শুধু মাত্র নির্বাচন আসলেই তিনি গর্ত থেকে উঁকি ঝুঁকি মারেন। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
২০২৩ সালে জাতীয় নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সম্ভাবনার সঙ্গে উকি দিয়েছেন এবার অধ্যাপক রেজাউল করিমও। এবার নির্বাচনকে সামনে রেখে তিনি রাজনৈতিক মাঠে নেমেই উপজেলা বিএনপি’র পাল্টা কর্মসূচি দিয়ে বিদ্রোহ সৃষ্টি করলেন। যদিও এর মুল কারন মান্নানবিরোধীরা একজোট হয়ে মান্নানকে ঠেকানোর মিশন নিয়েই অসুস্থ বৃদ্ধ রেজাউল করিমকে মাঠে নামিয়ে নিজেদের উদ্দেশ্য হাসিল করার চেষ্টা করছেন কতিপয় নেতা, যারা মুলধারার বাহিরে গিয়ে এর আগে বিএনপির সাবেক এমপি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিনকে সোনারগাঁয়ে ঠুকানোর চেষ্টা করেছিলেন।
জানাগেছে, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সোনারগাঁ বিএনপির ব্যানারে পৃথকভাবে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে কতিপয় নেতাকর্মী। জ্বালানী তেল, পরিবহন ভাড়া, দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধি ও ভোলায় ছাত্রদল এবং স্বেচ্ছাসেবক দল নেতাকে হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করা হয়।
সোমবার দুপুরে উপজেলার কাঁচপুর শিল্পাঞ্চলের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এ বিক্ষোভ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম। সঙ্গে ছিলেন অপর নেতা কাঁচপুরের শিল্পপতি কেন্দ্রীয় তাঁতী দলের সদস্য সচিব মজিবুর রহমান। পরে সেখানে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ওয়াহিদ বিন ইমতিয়াজ বকুলের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল কাঁচপুর শিল্পঞ্চলের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক প্রদক্ষিণ করে।
পাল্টা এই কর্মসুচিতে আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য শাহ আলম মুকুল, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, জেলা যুবদল নেতা হারুন-অর-রশিদ, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক শহিদুর রহমান স্বপন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সালাউদ্দিন সালু, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক মশিউর রহমান শান্ত, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা জাকারিয়া সালেহ স্বপন, থানা বিএনপি নেতা মজিবুর রহমান, থানা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক নূর-ই-ইয়াসিন নোবেল, যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফ মোল্লা, আশরাফ প্রধান, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব নাসির উদ্দিন, যুগ্ম আহ্বায়ক বিল্লাল হোসেন, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জাকারিয়া ভূঁইয়া, যুগ্ম আহ্বায়ক সফিক ভূঁইয়া, আতিকুল ইসলাম লেলিন, শাহ জালাল আহম্মেদ, রবিউল প্রধান ও ফয়সাল প্রধান প্রমূখ।
অপরদিকে উপজেলার মেঘনা শিল্পাঞ্চলে উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নানের নেতৃত্বে কয়েক হাজার নেতাকর্মী নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশও অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ ও প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজির আহমেদ টিটু।