সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচির র্যালী পালন করতে গিয়ে পুলিশি বাধায় পড়েছে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপি। এ সময় পুলিশি বাধা টপকিয়ে মিছিল করতে গেলে বেদম লাঠিপেটার শিকার হয়েছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান ও সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান সহ জেলা ও মহানগর বিএনপির বেশকজন শীর্ষ নেতা। ১ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত প্রায় দুই ঘন্টা ব্যাপী নারায়ণগঞ্জ মহানগরের ২নং রেল গেট এলাকায় কয়েক দফা পুলিশের সঙ্গে ইট পাটকেল নিক্ষেপ, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে পুলিশ সাংবাদিক ও বিএনপির নেতাকর্মী সহ প্রায় শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। এই রিপোর্ট লেখার সময় আহত বিএনপির যুবদল কর্মী শাওন হাসপাতালে নেয়ার মৃত্যুবরণ করেছেন।
এদিন দলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীরা সকাল দশটায় নগরীর ২নং রেলগেট এলাকায় বঙ্গবন্ধু সড়কে শোভাযাত্রা বের করলে পুলিশ বাঁধা দেয়। এক পর্যায়ে সেখানে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে বৃষ্টির মতো ঢিল ছুড়তে থাক। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে। এ সময় পুলিশের ছোড়া রাবার বুলেট বুকে বিদ্ধ হয়ে শাওন নামে এক ছাত্রদল কর্মী নিহত হয়।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক নাজমুল হোসেন বিপুল বলেন, আকাশ মাহমুদ শাওন নামের ২০ বছর বয়সী ওই যুবকের বুকে ‘গুলির চিহ্ন’ রয়েছে। হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে৷ এছাড়া আরও ২০ জন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
নিহত শাওন ফতুল্লার পঞ্চবটি নবীনগর এলাকার মৃত সাহেব আলীর ছেলে৷ তিনি যুবদলের কর্মী বলে দাবি করেছেন বিএনপির নেতারা।
এদিকে সংঘর্ষের সময় পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পাশেই মর্গ্যান স্কুলে তখন পরীক্ষা চলছিল। সে সময় টিয়ারশেলের গ্যাসে অসুস্থ হয়ে পড়লে পাঁচ শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয় বলে জানান চিকিৎসক নাজমুল।
জেলার পুলিশ সুপার গোলাম মোহাম্মদ রাসেল বলেন, “তারা কোনো ধরনের পূর্বানুমতি ছাড়াই সড়ক অবরোধ করে কর্মসূচি পালন করছিলেন। তাতে বাধা দিলে পুলিশের ওপর চড়াও হয় বিএনপির নেতাকর্মীরা।”
এ সময় বেশ কয়েকটি ককটেল ফাটানো হয় জানিয়ে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, পুলিশ তখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টিয়ার শেল ছোড়ে।”
সংঘর্ষের মধ্যে পুলিশের অন্তত ১৫ জন সদস্য আহত হয়েছেন, তাদের মধ্যে পাঁচ জনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।