সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
পাল্টাপাল্টি বক্তব্যে মুখোমুখি অবস্থান করছেন নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলা যুবলীগ ও জাতীয় পার্টির উপজেলা যুব সংহতি। একই সঙ্গে বিএনপি ও বিএনপি নেতাকর্মীদের হাত-পা ভেঙ্গে দেয়া হবে- যুবলীগের এক নেতা বিরূপ এমন মন্তব্য করলেও সেই বিষয়টি কর্ণপাত করেনি বিএনপির উপজেলা যুবদলের নেতারা। উপজেলা যুবদলের নেতাকর্মীরা রয়েছেন বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত ও জেলা বিএনপি সহ উপজেলা বিএনপির কর্মসূচি পালনে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামে।
এমন পরিস্থিতিতে চলছে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলায় তিনটি বৃহত্তর রাজনৈতিক দলের তিনটি যুব সংগঠনের রাজনৈতিক কার্যক্রম। তবে গত ২০ আগস্ট যুব সংহতির কমিটি গঠনের পর থেকে যুব সংহতিকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে উপজেলার প্রায় প্রতিটি এলাকায় গিয়ে কর্মসূচি পালন করে আসছেন যুব সংহতির নেতারা। এদিকে বিএনপির যুবদলের নেতাকর্মীরা রয়েছেন। তাদের দাবিমতে, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করছে যুবদল। সেই হিসেবে উপজেলা যুবলীগের তেমন একটা সক্রিয়তা নেই। কারন উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক উপজেলা আওয়ামীলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন। এখন।তারা উপজেলা আওয়ামী লীগের মূল পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে ঢোকার চেষ্টা রয়েছেন। ফলে উপজেলা যুবলীগ নিয়ে তাদের একটা বেশি একটা সক্রিয়তা দেখা যাচ্ছে না। যেখানে যুবলীগের চেয়েও যুবদল এবং যুব সংগতি রয়েছে বেশি রাজনৈতিক সক্রিয়তায়।
স্থানীয়রা জানান, সোনারগাঁও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নুকে ইঙ্গিত করে গত ৩ সেপ্টেম্বর উপজেলার জামপুর ইউনিয়ন যুব সংহতির মতবিনিময় সভাপতি উপজেলা জাতীয় যুব সংহতির আহ্বায়ক কাজী নাজমুল ইসলামন লিটু বলেছেন, সোনারগাঁয়ের যুবলীগের জনৈক নেতা সোনারগাঁয়ের বিভিন্ন সময় তাদের দলীয় বিভিন্ন সভা-সমাবেশে গিয়ে জাতীয় পার্টিকে হুমকি-ধমকি দিয়ে কথা বলছেন, আপনারা জানেন সেইসব নেতারা যেই শহরে গিয়ে বিড়ালের মত মিউ মিউ করে, সেই শহরে আমরা লড়াই করে বড় হয়ে রাজনীতিতে আসছি। তাদেরকে আমরা কিছু বলিনা, কিন্তু এই সভা থেকে তাদেরকে হুশিয়ার করে দিতে চাই, জাতীয় পার্টিকে নিয়ে আগামীতে কোনো কথা বললে, জননেতা এমপি লিয়াকত হোসেন খোকাকে নিয়ে কোনো কথা বললে সতর্ক হয়ে কথা বলবেন। এসব হুমকি ধমকির রাজনীতি ছেড়ে আসুন, জননেতা লিয়াকত হোসেন খোকা সাহেবের নেতৃত্বে সোনারগাঁয়ে উন্নয়নের রাজনীতি করি।
অন্যদিকে এর আগে গত ১৫ আগস্ট ও তার আগে বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানে সোনারগাঁয়ের স্থানীয় সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা ও জাতীয় পার্টিকে ইঙ্গিত করে এর সমালোচনামূলক বক্তব্য রেখেছিলেন উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রবিউল ইসলাম নান্নু। এছাড়াও ১৫ই আগস্ট এর জাতীয় শোক দিবসের একটি অনুষ্ঠানে বলেছেন, সোনারগাঁ থেকে বিএনপির কোন নেতাকর্মী মোগরাপাড়া পার হয়ে ঢাকা যেতে পারবেনা। যদি যায় তাহলে ঠিক থাকতে পারবে না। হাত-পা ভাঙ্গা হয়ে ফেরত আসতে হবে।