সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় কাশিপুরের সন্ত্রাসীদের দমন করতে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর বার্তা দিয়েছেন পুলিশ প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা। সন্ত্রাসীদের দমন করতে সবাইকে হাতে লাঠি নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে আহবান করেছেন। সন্ত্রাসীরা যেই দলের হউক না কেন কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। সন্ত্রাসীরা যত বড় শক্তিশালী হউক না কেন এলাকার জনগন একজোট হলে তাদেরকে এলাকা থেকে উৎখাত করা হবে।
বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কাশিপুর ইউনিয়নের পশ্চিম দেওভোগ নুর মসজিদ এলাকার মাঠে ফতুল্লা থানার বিট পুলিশিংয়ের উদ্দ্যেগে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, মাদক, ইভটিজিং, কিশোর গ্যাংদের দমনে সমাবেশে পুলিশ ও জনপ্রতিনিধিরা তাদের বক্তব্যে এমন হুশিয়ারি দেন।
এদিকে সোমবার রাতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পশ্চিম দেওভোগ নুর মসজিদ এলাকার সন্ত্রাসী রাজু প্রধান, সাজু প্রধান বাহিনীর সাথে ভোলাইল শান্তিনগর এলাকার সন্ত্রাসী সালাউদ্দীন সালু, হিরা বাহিনীর মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া সংঘর্ষ ও গোলাগুলি এবং দেশীয় অস্ত্রের মহড়া এবং ভাঙচুর করে ব্যাপক তান্ডব চালিয়েছে। দুই গ্রুপের তান্ডবে এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। আর সন্ত্রাসীদের তান্ডবের সংবাদে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি রিজাউল হক দিপু তাৎক্ষনিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। ঐ পুলিশের একাধিক টিম দেওভোগ এলাকায় পুলিশ সাড়াশি অভিযান চালায়। সন্ত্রাসীদের অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে পড়ে। যার কারণে কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম সাইফউল্লাহ বাদল ও স্থানীয় মেম্বার শামীম আহম্মেদ এর আহবানে সন্ত্রাস বিরোধী সমাবেশের আহবান করেন।
উক্ত সমাবেশে কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম সাইফউল্লাহ বাদলের সভাপতিত্বে কাশিপুর ইউনিয়ন ৭নং ওয়ার্ড মেম্বার শামীম আহম্মেদ এর আয়োজনে সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা অতিরিক্ত পুলিশ (সুপার ক সার্কেল) নাজমুল হাসান। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা মডেল থানার ওসি রিজাউল হক দিপু, ফতুল্লা মডেল থানার ইন্সপেক্টর (অপারেশন) কাজী মাসুদ রানা প্রমুখ।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান বলেন, সন্ত্রাসীদের যত বড় শক্তিশালী হউক না কেন এলাকাবাসী ঐক্যবদ্ধ থাকলে তাদেরকে উৎখাত করতে কোন বিষয় না। সন্ত্রাসীদের চেয়ে শক্তিশালী জনগন। কোন মাদক ব্যবসায়ী, সন্ত্রাস ও কিশোর গ্যাংদের দমন করতে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ প্রশাসন সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। সন্ত্রাস, মাদক ব্যবসায়ী, কিশোর গ্যাংদের পুলিশ ছাড় দিবে না। যারা সন্ত্রাসী করে এলাকার লোকদের অশান্তি করবে তাদের সহ তাদের পরিবারকে আমরা অশান্তি করবো। তাদের ঘুম হারাম করে দিতে চাই শুধু এলাকাবাসী সোচ্চার হতে হবে। জনগণের চেয়ে সন্ত্রাসীরা শক্তিশালী না।