সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
বিএনপির আন্দোলন সংগ্রাম করতে গিয়ে প্রায় দেড় ডজন মামলার আসামি নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি রাফিউদ্দীন রিয়াদ। রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করতে গিয়ে একাধিকবার পুলিশি নির্যাতন হামলা ও গ্রেপ্তার হয়েছেন তিনি। তার বাবা জামালউদ্দীন কালু বিএনপির প্রবীণ নেতা, মা রাশিদা জামাল মহানগর বিএনপির বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির সদস্য। বিএনপির নির্যাতিত একটি পরিবার। রাশিদা জামালও কারাভোগ করেছেন। আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর পুরো পরিবারটি রাজপথের রাজনীতিতে সক্রিয়।
বিভিন্ন মামলায় আদালতে হাজিরা দিতে সপ্তাহের বেশির ভাগ দিন আদালতপাড়াতেই কাটে রাফিউদ্দীন রিয়াদের। প্রতিদিনের মত ২৬ সেপ্টেম্বর সোমবারও ছিলো তার হাজিরা। অন্যান্য দিন সকাল থেকে শেষ বেলা পর্যন্ত আদালতপাড়াতেই কাটলেও সোমবারের ঘটনাটি ছিলো ভিন্ন। এদিন তিন তার অবুঝ দুই শিশু সন্তানকে নিয়ে আদালতপাড়ায় এসেছেন।
সোমবার সকাল ১১টার দিকে রাফিউদ্দীন রিয়াদ দুটি শিশু সন্তানকে নিয়ে অনেকটা তাড়াহুড়ো করে আদালতের গেট দিয়ে প্রবেশ করে বাচ্চাদের অনেকটা টেনে টেনে জেলা জজ কোর্টের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন তিনি। ওই সময় পথিমধ্যে শিশুদের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি হাটতে হাটতেই এই প্রতিবেদককে বলেন, ভাই আগে হাজিরা দিয়া আসি, নতুবা ওয়ারেন্ট হইয়া যাইবো। তখন তিনি দ্রুত নারায়ণগঞ্জ আদালতের দ্বিতীয় তলায় জজ কোর্টের দিকে যান। সেখানে তিনি দীর্ঘক্ষন দাঁড়িয়ে থাকার পর কোর্টের ভেতরে প্রবেশ করেন এবং রাজনৈতিক মামলায় হাজিরা দেন। ওই সময় তার দুটি অবুঝ শিশুদের কোর্টের বারান্দায় দাঁড় করিয়ে রেখে যান।
হাজিরা শেষে এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাফিউদ্দীন রিয়াদ বলেন, ভাই বাচ্চাদের মা খুব অসুস্থ। বাচ্চাদের মা তাদের নিতে আসতে পারেনি। তাই আমিই তাদের স্কুল থেকে বাসায় নিয়েযেতে আসছিলাম। এমন সময় উকিলের মাধ্যমে জানতে পারলাম আজকে হাজিরা দিতে স্বশরীরে না আসলে ওয়ারেন্ট হয়ে যেতে পারে। তাই বাধ্য হয়ে আমার দুটি অবুঝ শিশুকে নিয়ে কোর্টে আসতে হলো।
একই মামলায় হাজিরা দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রশিদুর রহমান রশু, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি ও মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাহেদ আহমেদ, মহানগর যুবদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব হাসান জুলহাস সহ বেশকজন বিএনপির নেতাকর্মী।