সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জের হাসিনা অটিজম চাইল্ড কেয়ারের ৭ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালন করা হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে ছিলো অটিস্টিক শিশু-কিশোরদের আনন্দ সমাবেশ, কেক কাটা, আলোচনা সভা। “অটিস্টিক শিশু-কিশোরদের উন্নয়নের মূল স্রোতধারায় সম্পৃক্ত করতে রাস্ট্র ও সমাজের দায়িত্ব”-শীর্ষক আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন হাসিনা অটিজম চাইল্ড কেয়ারের প্রতিষ্ঠাতা ও কর্মাধ্যক্ষ হাসিনা রহমান সিমু।
অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আমীর খসরু, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাওন শায়লা ও বিশিষ্ট সমাজহিতৈষী শাহাদাৎ হোসেন সাজনু।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বন্দর থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহা, বন্দর উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ রেজাউল করীম, নারায়ণগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎের ডিজিএম শ.ম মিজানুর রহমান, আনন্দধামের অতিরিক্ত চেয়ারম্যান মোঃ শাহ আলম ও আজীজুল ইসলাম বাবু, অতিরিক্ত চেয়ারম্যান মতিউর রহমান মুক্তি, আনন্দধাম দক্ষিন আফ্রিকা শাখার সভাপতি মজিদ মৃধা ও মশিউর রহমান শুভ, মোঃ রোমান, ডাঃ মোন্তাসির আহমেদ, বিশ্বজিৎ সাহা, বিপ্লব ঘোষ প্রমুখ।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আমীর খসরু তার বক্তব্যে অটিজম সেবায় বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ সমুহ উল্লেখ্য করে বলেন, অটিজমদের পাশে দাড়ানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।
তিনি বলেন, দেশের মুল উন্নয়ন স্রোতধারায় প্রতিবন্ধীদের সম্পৃক্ত করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকার কাজ করে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মাতৃস্নেহে প্রতিবন্ধীদের অধিকার আজ সুরক্ষিত। প্রধানমন্ত্রী তনয়া পুতুলের নেতৃত্বে বিশ্ব সমাজ আজ প্রতিবন্ধীদের প্রতি সহানুভূতিশীল।
তিনি আরো বলেন, অটিজম শিশুরা সমাজের বোঝা নয়। এদের সুপ্ত প্রতিভা আছে। তাদের উপযুক্ত করে গড়ে তুলে তাদের প্রতিভাকে দেশ জাতীর সার্থে কাজে লাগাতে হবে।
সম্মানিত অতিথি আমীর খসরু হাসিনা অটিজম চাইল্ড কেয়ারের প্রশংসা করে বলেন, নানা সীমাবদ্ধতা থাকা সত্যেও প্রতিষ্ঠানটি যেভাবে অটিজম শিশু কিশোরদের মাতৃস্নেহে আগলে রেখেছে তা অটিজম সেবায় জনগনকে অনুপ্রাণিত করবে বলেই আমার বিশ্বাস।
সম্মানিত অতিথি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাওন শায়লা পিপিএম তার বক্তব্যে বলেন, প্রতিবন্ধিতা বিষয়ে সচেতনতার প্রসার এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মর্যাদা সমুন্নতকরণ, অধিকার সুরক্ষা এবং উন্নতি সাধন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা হাসিনা রহমান সিমু সম্মানিত অতিথিবৃন্দ সহ সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আপনাদের আজকের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিতিই আমাদের জন্যে সব চেয়ে বড় সহায়তা, আজ আমাদের অনুভূতি হয় আমরা একা নই। আজকে আপনাদের আগমনে আমরা প্রতিবন্ধীরা মুল্যায়িত ও সম্মানিত।
এসময় উপস্থিত অতিথি ও অভিভাবকদের সাথে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক ও শিক্ষয়িত্রীরা বিভিন্ন বিষয়ে মত বিনিময় করেন। পরবর্তীতে কেক কেটে সবাই আপ্যায়নের ব্যবস্থা করা হয়। অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে প্রতিবন্ধী শিশু-কিশোরদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পর্ব পরিচালিত হয়।