সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
অ্যাডভোকেট নূর জাহান। তিনি নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী মহিলা লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। একই সঙ্গে সোনারগাঁও উপজেলা মহিলা লীগেরও সভাপতি। ২০০১ সাল থেকে বিএনপি জামাত জোট সরকার আমলে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামে তার অগ্রনী ভুমিকা ছিলো। বর্তমানে সোনারগাঁয়ে আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে যেসব নারী নেত্রীদের প্রভাব দেখা যাচ্ছে, বিএনপি জামাত জোট সরকার আমলে তাদের ছায়াও দেখা যায়নি। অথচ ওই সময় নূর জাহান ছিলেন আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয়। সামনে থেকে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম ও রাজনীতি করেছেন।
যার ফলশ্রুতিতে সোনারগাঁও উপজেলার শম্ভুপুরা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ২০১৬ সালে আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে মনোনিত হোন অ্যাডভোকেট নুর জাহান। কিন্তু সেই নির্বাচনে জাতীয় পার্টির সমর্থিত প্রার্থী আব্দুর রউফ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হোন। নির্বাচনে রহস্যজনক কারনে আওয়ামীলীগের অধিকাংশ নেতারা নৌকার বিরোধীতা করেন এবং আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতারাও নূর জাহানের নৌকার পক্ষে ছিলেন না।
যদিও তাকে জেলা পরিষদের গত নির্বাচনে নির্বাচিত করা হয়। তিনি ৫ বছর জেলা পরিষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এবারোও তিনি জেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। কিন্তু সোনারগাঁয়ে আওয়ামীলীগের বিপুল সংখ্যক জনপ্রতিনিধি থাকলেও নূর জাহান ভোট পেয়েছেন মাত্র ২৩টি। এখানে মোট ভোটার ১৩২টি। নূর জাহান বই প্রতীকে পেয়েছেন ২৩টি ভোট।
কিন্তু সোনারগাঁও থেকেই টেবিল ঘড়ি প্রতীকে ৮৩টি ভোট পেয়েছেন রূপগঞ্জের আওয়ামীলীগ নেত্রী শীলা রানী পাল। একইভাবে আড়াইহাজারের আওয়ামীলীগ নেত্রী শাহিদা মোশারফ দোয়াত কলম প্রতীকে পেয়েছেন ২৬টি ভোট। অথচ গত দুই যুগেও শীলা রানী পালকে সোনারগাঁয়ের রাজনীতিতে দেখা যায়নি। সোনারগাঁয়ের রাজনীতিতে শীলা রানী পাল ও শাহিদা মোশারফের ছায়াও দেখা যায়নি কোনোদিন। অথচ নূর জাহানের এলাকার ভোট রূপগঞ্জে ও আড়াইহাজারে। যে কারনে স্থানীয়রা বলছেন, নূর জাহানের রাজপথ বেঈমানী করলো এবারো।