সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা হতে হত্যা মামলার এজাহারনামীয় পলাতক প্রধান আসামী ওমরকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১। ১৯ অক্টোবর বুধবার বিকেলে এ তথ্য জানান র্যাব-১১ এর মিডিয়া অফিসার এএসপি রিজওয়ান সাঈদ জিকু।
তিনি জানান, গত ৩০ জুলাই নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানাধীন পশ্চিম দেওভোগ এলাকায় রাত অনুমান সাড়ে ১০টার দিকে অত্যন্ত নৃশংসভাবে মেহেদী হাসান হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের বোন বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন, যার মামলা নং-৭৭, তারিখ-৩১/০৭/২০২২ইং, ধারা- ৩০২/৩৪ পেনাল কোড। এই ঘটনা স্থানীয় ও জাতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ আকারে প্রকাশিত হয় ও ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে।
উল্লেখিত বিষয়ে প্রয়োজনীয় তথ্যাদি সংগ্রহ সহ চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার আসামীদেরকে গ্রেপ্তারের জন্য র্যাব-১১, সিপিসি-১, নারায়ণগঞ্জ এর একটি গোয়েন্দা দল ছায়া তদন্ত শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য ১৯ অক্টোবর র্যাব-১১, সিপিসি-১, নারায়ণগঞ্জ এর অভিযানে নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা মডেল থানা এলাকা হতে এই হত্যা মামলার প্রধান আসামী ওমরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, নিহত মেহেদী হাসান (২১) ফতুল্লা থানাধীন পশ্চিম দেওভোগ মাদ্রাসার শেষ মাথা মিয়াপাড়াস্থ একটি হোসিয়ারি কারখানায় কাজ করত। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গত ৩০ জুলাই গ্রেপ্তারকৃত আসামী ওমর সহ আরো ১১/১২ জন নিহত মেহেদী হাসানকে এলোপাতারি মারপিট করে ও ধারালো ছোড়া, চাকু দিয়ে উপর্যপুরি আঘাত করিয়া ভিকটিমের বুকের ডান পাশে ছোট-বড় ১৪ টি গভীর ক্ষত বিশিষ্ট গুরুতর রক্তাক্ত কাটা-জখম করে।
পরবর্তীতে আশংকাজনক অবস্থায় ভিকটিমের বোন কর্তৃক ভিকটিমকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতালে (ভিক্টোরিয়া) নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মেহেদী হাসানকে মৃত বলে ঘোষণা করে। পরবর্তীতে ভিকটিমের বোন বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।