সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নিজেদের দূরদর্শিতা ও উদারতার প্রমাণ দিলেন সদ্য ঘোষিত নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান ও সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু। একই সঙ্গে তারা দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। যেখানে রাজপথের একেবারে তৃণমুল থেকে ওঠে এসে তারা শীর্ষ পদের নেতা হলেও এখনো তাদের আচরণ সাধারণ কর্মীর মতই। দলকে শক্তিশালী করতে নবীন প্রবীণ সকল শ্রেণির নেতাকর্মীদের সংগঠিত করার আপ্রাণ চেষ্টায় রয়েছেন।
মহানগর বিএনপির দায়িত্ব পেয়ে বিএনপির সিনিয়র ও প্রবীণ নেতাদের সম্মান রক্ষার্থে কাজ করছেন তারা। যা অতীতে অনেকের মাঝে এমনটা দেখা যায়নি। বিএনপির সিনিয়র নেতাদের তারা মুরুব্বী হিসেবে ইজ্জত সম্মান করছেন। অতীতে যারা নেতৃত্ব পেয়েছেন তারা মাইনাস ফর্মূলা নিয়ে রাজনীতি করেছেন। সিনিয়র ও প্রবীণ নেতাদের রাজনীতি থেকে বিতারিত করেছেন। কিন্তু সাখাওয়াত ও টিপু বিএনপির সিনিয়র ও প্রবীণ নেতাদের সামনের সারিতে নিয়ে আসছেন। অতীতের অনেক শীর্ষ নেতারা দলের কর্মীদের সঙ্গে চাকরের মত আচরণ করেছেন। কিন্তু সাখাওয়াত ও টিপু কর্মীদের সঙ্গে সৌজন্যমুলক আচরণ করেন।
২০ অক্টোবর বৃহস্পতিবার কেন্দ্র ঘোষিত বিক্ষোভ সমাবেশ পালন করেছে মহানগর বিএনপি। যেখানে অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানের সভাপতিত্বে ও পরিচালনা করেছেন অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু। সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ।
তাদের দূরদর্শিতার বিষয় হলো বিএনপির সিনিয়র ও প্রবীণ নেতা আনোয়ার হোসেন খান, জামাল উদ্দীন কালু ও আমানউল্লাহ আমানকে সমাবেশে বিশেষ অতিথি করা হয়েছে। আনোয়ার হোসেন খান কেন্দ্রীয় যুবদলের এক সময় সহ-সভাপতি ছিলেন। ২০০৯ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত জেলা বিএনপির প্রস্তাবিত কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। আমানউল্লাহ আমান বন্দর থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি। জামাল উদ্দীন কালু গত এক যুগ ধরে শারীরিকভাবে অসুস্থ্য। তারপরেও দলের যেকোনো কর্মসূচিতে তাকে ডাকলে তিনি ছুটে আসেন। সেই তাদের মত প্রবীণ নেতাদের মূল্যায়নের চেষ্টা করছেন সাখাওয়াত ও টিপু।
জানাগেছে, ২০ অক্টোবর মহানগর বিএনপির সমাবেশে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আবুল কালামকেও উপস্থিত করার চেষ্টা করেছে মহানগর বিএনপি। আবুল কালাম শারীরিক অসুস্থ থাকায় তিনি উপস্থিত হোন নি। ৬ অক্টোবর মহানগর বিএনপির কয়েক হাজার নেতাকর্মীদের নিয়ে বের হওয়া শোকর্যালীতে প্রধান অতিথি ছিলেন জামাল উদ্দীন কালু।
গত ১৩ সেপ্টেম্বর সাখাওয়াত হোসেন খানকে আহ্বায়ক ও আবু আল ইউসুফ খান টিপুকে সদস্য সচিব করে ৪১ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় বিএনপি। কমিটির বিরোধীতা করে কমিটির ১৪ জন সদস্য ১৮ সেপ্টেম্বর ভুল রাজনীতির মারপ্যাচে পড়ে বিএনপি থেকে বহিস্কৃত অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারের হাতে পদত্যাগ পত্র তুলে দেন। কিন্তু ২১ সেপ্টেম্বর মহানগর বিএনপির কার্যকরী কমিটির সভায় পদত্যাগকে আমলে না নিয়ে ১১জনকে বিএনপির মুলধারায় ফেরার সুযোগ দেন সাখাওয়াত ও টিপু। মুলধারায় না ফিরলেও আবারো ১৮ অক্টোবর মহানগর বিএনপির কার্যকরী কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত হয় পদত্যাগকারীদের পদের স্থলে রাজপথের নেতাদের স্থলাভিষিক্ত করা হবে। তবে এরি মধ্যে পদত্যাগী ১১ জন মুলধারায় ফিরলে তাদের পদ বহাল থাকবে। এখানেও উদারতা ও দূরদর্শিতা দেখিয়েছেন সাখাওয়াত ও টিপু।