সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
“ছেলের খুনী জামিনে বেরিয়ে পিতাকে হত্যা” নারায়ণগঞ্জ এর চাঞ্চল্যকর জাকির হত্যা মামলার অন্যতম প্রধান আসামী র্যাব-১১ ও র্যাব-১৫ এর যৌথ অভিযানে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ২৪ অক্টোবর সোমবার রাতে এ তথ্য জানান র্যাব-১১ এর মিডিয়া অফিসার, সহকারী পরিচালক এএসপি রিজওয়ান সাঈদ জিকু।
তিনি জানান, উল্লেখ্য যে, গত ২০২০ সালের ৫ মে রাত অনুমান সাড়ে ১০টায় বাদীর বড় ছেলে অন্তুকে বাদীর বসত বাড়ি হইতে এজাহারনামীয় ১৬ নং আসামী ডাকিয়া ১নং আসামীর গরুর ফার্মে নিয়ে দুধের সহিত বিষ জাতীয় দ্রব্যাদি মিশ্রন করে বাদীর ছেলে অন্তুকে হত্যা করেছিল। এ বিষয়ে ফতুল্লা থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু হয় উক্ত মামলায় ১নং আসামী ১ মাস ১৩ দিন জেল খেটে জামিনে মুক্তি পায়। জামিনে বের হয়ে আসার পর আসামীরা ক্ষিপ্ত হয়ে চলতি বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর ফতুল্লা থানাধীন বক্তাবলি ফেরীঘাট হতে বাদীর স্বামীকে অপহরণ করে ফতুল্লা থানাধীন বক্তাবলী সাকিনস্থ ২নং আসামী রশিদের অফিসে নিয়ে যায় এবং বাদীর কাছে মুক্তিপন দাবী করে। মুক্তিপন না দিলে বাদীর স্বামীকে মেরে ফেলার হুমকী প্রদান করে। পরবর্তীতে ১৯/১০/২০২২ তারিখে নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানাধীন বাগপাড়া ব্রীজের ৫০ গজ উত্তরে ব্রক্ষ্মপুত্র নদের কিনারে কচুরিপানার নিচ হইতে ভিকটিম জাকির হোসেনের মৃত দেহ পাওয়া যায়। এজাহারনামীয় আসামীরা পরস্পর যোগসাজশে ভিকটিমকে অপহরন করার পরে পা বেধেঁ ও গলায় তাহার পরনে শার্ট পেচিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে। এই পাশবিক ও নৃশংস হত্যাকান্ডের ঘটনা বিভিন্ন পত্র পত্রিকা ও মিডিয়ায় প্রকাশিত হলে নারায়ণগঞ্জসহ সারাদেশে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়
উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের স্ত্রী খোরসেদা বেগম বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন, যার মামলা নং-২৯ তারিখ ২১/১০/২০২২ইং। মামলা হওয়ার পর থেকেই হত্যাকারীরা কৌশলে আত্মগোপন করে বিভিন্ন এলাকায় পালিয়ে গিয়েছিল। মর্মান্তিক এই হত্যাকান্ডের প্রেক্ষিতে র্যাব একটি ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং নৃশংস হত্যাকারীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে। গোয়েন্দা নজরদারী ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অদ্য ২৪/১০/২০২২ তারিখ ০০.৩৫ ঘটিকার সময় র্যাব-১১, সিপিএসসি, আদমজীনগরের একটি আভিযানিক দল র্যাব-১৫ এর সহায়তায় কক্সবাজার এর সুগন্ধা বীচ পয়েন্ট এলাকা হতে হত্যাকারী মোঃ কবির হোসেন (৩৮), পিতা-ফুলু খাঁ, সাং- আকব নগর, থানা-ফতুল্লা, জেলা- নারায়ণগঞ্জকে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামী বর্ণিত হত্যাকান্ডের সাথে সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করে। উপরোক্ত মর্মান্তিক হত্যাকান্ডের ঘটনায় জড়িত অন্যান্য পলাতক আসামীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য র্যাব-১১ এর অভিযান চলমান রয়েছে।