সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে নেতাকর্মীদের কাছে জনপ্রিয় ও গ্রহণযোগ্য সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী কোনো নেতার হাতে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির নেতৃত্ব দেখতে চায় নেতাকর্মীরা। যারা রাজপথে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিবেন। ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতারাও নতুন নেতৃত্ব বাছাইয়ে কাজ শুরু করেছেন। যেখানে জোরেসোরে আলোচনায় রয়েছেন বিএনপির ৭জন নেতা, যাদের মধ্যে অনেকেই নারায়ণগঞ্জে বিএনপির কর্মীদের মাঝে ব্যাপক জনপ্রিয়। আহ্বায়ক পদে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় বিএনপির সাবেক এমপি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দীন ও সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান।
অনেকেই হিসেব কষছেন যে, মান্নানকে সভাপতি কিংবা আহ্বায়ক পদে রাখা হলে মামুন মাহামুদ কিংবা মাসুকুল ইসলাম রাজীবকে সদস্য সচিব পদে রাখা হতে পারে। এক্ষেত্রে সদস্য সচিব পদে মামুন মাহামুদ, মাসুকুল ইসলাম রাজীব, জাহিদ হাসান রোজেল, গোলাম ফারুক খোকন ও শহিদুল ইসলাম টিটুর নাম নিয়েও আলোচনা চলছে। তবে আহ্বায়ক পদে মামুন মাহামুদকে রাখা হলে গিয়াস ও মান্নানকে নিচের পদে রাখার সম্ভাবনা নাই। এক্ষেত্রে বাকিদের মধ্য থেকে কাউকে সদস্য সচিব পদে রাখা হতে পারে।
এদিকে আতকা নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক হয়েছেন মনিরুল ইসলাম রবি। তাও একই কমিটিতে দুইবার ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক হোন তিনি। মাঝখানে ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক হয়ে নাসির উদ্দীন জেলা বিএনপির আওতাধীন থানা/পৌর কমিটিগুলো ঘোষণা দিয়ে যান। নাসির উদ্দীন নিজেই রূপগঞ্জ উপজেলার তারাবো পৌর বিএনপির আহ্বায়ক হোন। সব মিলিয়ে কয়েক দফা আহ্বায়ক বদলের কমিটিতে সদস্য সচিব পদে রয়েছেন অধ্যাপক মামুন মাহামুদ। এর আগে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান মনিরের সঙ্গেও ছিলেন। তৈমূর আলম খন্দকারের নেতৃত্বে গঠিত কমিটিতেও মামুন মাহামুদ ছিলেন। নেতাকর্মীরা সান নারায়ণগঞ্জকে বলছেন-এবার নেতৃত্বের পরিবর্তনের দাবি ওঠেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপিতে। আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপিকে শক্তিশালী সংগঠনে রূপ দিতে নতুন নেতৃত্ব চায় তৃণমূল।
নেতাকর্মীরা জানান, চলতি বছরেরর ১৬ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে বিএনপির দলীয় সিদ্ধান্তের বাহিরে গিয়ে মেয়র প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করে পরাজিত হোন। নির্বাচনে ভোট গ্রহণের আগেই তৈমূর আলমকে বিএনপির সকল পদ থেকে অব্যাহতি দেয় বিএনপি। নির্বাচনের পর তাকে বিএনপি থেকে স্থায়ীভাবে বহিস্কার করা হয়। নির্বাচনের সময় তিনি বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ছিলেন।
নির্বাচনে তৈমূর আলমের নির্বাচনী এজেন্ট ছিলেন মনিরুল ইসলাম রবি। কিন্তু রহস্যজনক কারনে তৈমূরকে অব্যাহতি দিয়ে রবিকে ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক করা হয়। রবি পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে গেলে ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ঘোষণা করা হয় তারাবো পৌর বিএনপির আহ্বাযক নাসির উদ্দীনকে। পরে নাসির উদ্দীন ও মামুন মাহামুদ জেলার সকল থানা/উপজেলা ও পৌর বিএনপির কমিটি এক নাগারে ঘোষণা করে দেন। রবি জামিনে মুক্তি পেয়ে আবারো জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক পদে দায়িত্ব পান। এখন রবি ও মামুন মাহামুদের নেতৃত্বেই ঢিমেতালে চলছে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির কার্যক্রম।