সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে নোয়াগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সামসুল আলম সামসুর অনিয়ম, দূর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন পরিষদের ১২জন সদস্যের মধ্যে ৮ জন সদস্য(মেম্বার)। মেম্বারদের অভিযোগ চেয়ারম্যান সামসু তার পরিষদের মেম্বারদের পিস্তল দেখিয়ে ভয় দেখান।
যদিও জাতীয় পার্টির রাজনীতিতে জড়িত থাকাকালীন সময়ে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করে তিনি চেয়ারম্যন নির্বাচিত হয়েই নানা বিতর্কের সৃষ্টি করেন। নির্বাচনের তিন দিনের মাথায় তিনি জাতীয় পার্টি ছেড়ে আওয়ামীলীগে যোগদান করেন। একই সপ্তাহে তিনি আড়াইহাজারে গিয়ে একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখাকালে আওয়ামীলীগ ও জাতীয় পার্টিকে নিয়ে নানা অশালীন মন্তব্য করে সমালোচনার সৃষ্টি করেন। কয়েক মাস পূর্বে একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি তার প্রতিপক্ষকে গাড়ির চাকয় পিষ্ট করে মেরে ফেলার ঘোষণা দিয়ে আবারো আলোচনায় আসেন।
৪ নভেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যায় সোনারগাঁও প্রেস ক্লাব কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন করেন পরিষদটির ৮জন সদস্য। এর আগে গত বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজের বরাবর চেয়ারম্যান সামসুল আলমের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তারা। অভিযোগ দায়েরের পর নোয়াগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মাহমুদা খানমকে তাৎক্ষণিক ভাবে প্রত্যাহার করেছে জেলা প্রশাসন।
সংবাদ সম্মেলনে ১ নং ওয়ার্ড সদস্য মো. রিয়াদ হাসান ফকির (রহিম), মো. রিয়াদ হাসান ফকির (রহিম), উপস্থিত ছিলেন, ১ নং ওয়ার্ড সদস্য মো. রিয়াদ হাসান ফকির (রহিম), ৪ নং ওয়ার্ড সদস্য মো.জহিরুল ইসলাম, ৫ নং ওয়ার্ড সদস্য মো. সেলিম ভুইয়া, ৭ নং ওয়ার্ড সদস্য মো. মনিরুজ্জামান মনির, ৬ নং ওয়ার্ড সদস্য সাকিব হোসেন, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য মিনারা (১,২,৩ নং ওয়ার্ড), জায়েদা (৪,৫,৬ নং ওয়ার্ড) ও নাছিমা (৭,৮,৯ নং ওয়ার্ড)।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ৪ নং ওয়ার্ড সদস্য মো.জহিরুল ইসলাম। লিখিত বক্তব্যে তারা বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের উন্নয়ন কাজের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থের ১% টাকা চেয়ারম্যান ইউপি সদস্যদের মধ্যে সঠিকভাবে বন্টন না করে বঞ্চিত করা হচ্ছে। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত ইউপি সদস্যদের সম্মানী ভাতাও দেয়া হচ্ছে না। চেয়ারম্যান সামসুল আলম টিসিবির পন্য তার পছন্দের লোকজনের মধ্যে বন্টন করছেন। জন্ম নিবন্ধনের জন্য অতিরিক্ত ফি আদায়, বিপুল অর্থের বিনিময়ে ভ‚য়া ওয়ারিশ সনদ প্রদান, রেজিলেশন বইতে না লিখেই সচিবকে দিয়ে ইউপি সদস্যদের স্বাক্ষর করানো হচ্ছে। এসব কর্মকান্ডের বিরোধীতা করলে ব্যাক্তিগত পিস্তল প্রদর্শন করে ভীতির সৃষ্টি করেন। এমতাবস্থায় তারা নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছেন বলে জানান।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ইউপি সদস্যরা বলেন, ১% থেকে প্রকল্প দিয়ে সেই প্রকল্পের কাজ না করে অবৈধভাবে টাকা উত্তোলন করে নিচ্ছেন ইউপি চেয়ারম্যন সামসুল আলম। এব্যাপারে কর্তৃপক্ষ জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা না নিলে তারা কঠোর আন্দোলনে যাবেন বলে জানান।
এব্যাপারে নোয়াগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সামসুল আলম স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, একটি চক্র আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে অপপ্রচার চালাচ্ছেন। পিস্তলের ব্যাপারে তিনি জানান-এটি তার নিরাপত্তার জন্য ব্যবহার করে থাকেন। তবে বর্তমানে এটি পুলিশ হেফাজতে রয়েছে বলে জানান।