সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানা এলাকার বক্তাবলী পূর্ব লক্ষীনগর নামক স্থানে বহুল আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর শিশু গণধর্ষণের পর হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী ডলি বেগমকে দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১। ৮ নভেম্বর মঙ্গলবার বিকেলে এ তথ্য জানান র্যাব-১১ এর মিডিয়া অফিসার, সহকারী পরিচালক এএসপি রিজওয়ান সাঈদ জিকু।
তিনি জাানান, ২০০৫ সালের ৪ জুন ফতুল্লা থানাধীন বক্তাবলী পূর্ব লক্ষীনগর এলাকায় জনৈক শিশুকে গণধর্ষণের পর হত্যার ঘটনা ঘটে। উক্ত গণধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে ফতুল্লা থানায় একটি গণধর্ষণ সহ হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-০৭(০৬)০৫, ধারা-নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী/২০০৩)এর ৯(২)/৯(৩)/৩০।
র্যাব আরো জানায়, উক্ত ঘটনার পরপরই এই গণধর্ষণ ও হত্যার সাথে জড়িত সন্দেহে আসামী ডলি বেগমকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করেন এবং উক্ত গ্রেপ্তারকৃত আসামী আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধি ১৬৪ ধারা মোতাবেক জবানবন্দিতে উক্ত ঘটনার সাথে জড়িতদের নাম প্রকাশ করেন।
পরবর্তীতে এই ঘটনার সাথে জড়িত আরো ৫ জন আসামীদের গ্রেপ্তার করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়। আসামী ডলি বেগম পরবর্তীতে আদালতের মাধ্যমে জামিনে আসার পর পলাতক থাকেন।
আদালতে সূত্রোক্ত মামলা সাক্ষ্য প্রমানের ভিত্তিতে সন্দেহাতিত ভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট ৪ জন আসামীকে মৃত্যুদন্ড, ১ জন আসামী ডলি বেগমকে যাবজ্জীবন সাজা ও ১ জনকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন।
এই রায়ের পর আসামী ডলি বেগম গ্রেফতার এড়ানোর জন্য আত্মগোপনে চলে যায়। এই ঘটনার সাথে জড়িত যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী ডলি বেগমকে গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে র্যাব-১১ এর সদর কোম্পানীর একটি চৌকস গোয়ান্দা দল ছায়াতদন্ত শুরু করে।
এরই ধারাবাহিকতায় মাঠ পর্যায়ে গোয়েন্দা কার্যক্রম বৃদ্ধি ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় এই গণ-ধর্ষণ ও হত্যার সাথে জড়িত দীর্ঘদিন পলাতক যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী ডলি বেগমকে সনাক্ত ও তার অবস্থান নিশ্চিত হয়ে ৭ নভেম্বর রাত সাড়ে ১০টায় রাজবাড়ী জেলার সদর থানাধীন সজ্জনকান্দা এলাকায় র্যাব-১১ এর একটি আভিযানিক দল বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে উক্ত আসামীকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।