সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার বারদী হাই স্কুল এন্ড কলেজের পরিচালনা পর্ষদের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিরোধের জেরে মামলার ঘটনার পর আওয়ামীলীগ ও জাতীয় পার্টির নেতাদের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে বারদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লায়ন মাহাবুবুর রহমান বাবুল ও পরিষদের সাবেক মেম্বার জেলা জাতীয় পার্টির সদস্য দাইয়ান সরকার সহ আহত হয়েছেন ৫ জন।
স্থানীয়রা জানান, আহতদের মধ্যে দাইয়ান সরকারকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এখানে উল্লেখ্য যে, ইউনিয়ন পরিষদের গত নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে বিনা ভোটে চেয়ারম্যান হোন লায়ন বাবুল। যদি নির্বাচনে জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকে মনোনয়ন পেয়েও নির্বাচনের কদিন আগে প্রত্যাহার করে নেন দাইয়ান সরকার।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার বারদী হাই স্কুল এন্ড কলেজের পরিচালনা পর্ষদ নিয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান বাবুল ও জমিদাতা সাইদ সরকারের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এই বিরোধের জের ধরে জমিদাতা সাইদ সরকার স্কুল কমিটি নিয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর বিষয়টি তদন্তের জন্য থানা পুলিশকে দায়িত্ব দেন আদালত।
এদিকে তদন্ত চলাকালীন সময়ে ৯ নভেম্বর বুধবার সকাল ১১টার দিকে বারদী ইউপি চেয়ারম্যান লায়ন বাবুল ও তার ভাই আমিনুল ইসলাম বারদী স্কুলে মিটিং করার জন্য প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফাকে ডাকেন। এসময় প্রধান শিক্ষক চেয়ারম্যান বাবুলকে জানান, কমিটি নিয়ে আদালতে মামলা হয়েছে, আদালতের নির্দেশনা না পেলে মিটিং করা সম্ভব নয়।
লায়ন বাবুল মিটিং করতে স্কুলে এসেছেন-এ খবর ছড়িয়ে পড়লে বাবুলের প্রতিপক্ষ জমিদাতা ও মামলার বাদী সাইদ সরকার ও সাবেক ইউপি দাইয়ান সরকার স্কুলে এসে লায়ন বাবুলের সাথে তর্কে জড়িয়ে পড়েন। তর্কের এক পর্যায়ে লায়ন বাবুল দাইয়ানকে বুকে ঘুষি মারলে দাইয়ান মাটিয়ে লুটিয়ে পড়েন। পরে দাইয়ান মেম্বারের লোকজন চেয়ারম্যান বাবুল ও তার আমিনুলকে গণপিটুনিতে আহত করে। এতে লায়ন বাবুল ও সাইদ সরকারের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে উভয় পক্ষের ৫জন আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে সাবেক ইউপি সদস্যকে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে প্রেরণ করে।
এ ব্যাপারে জমিদাতা সাইদ সরকারের দাবি, বারদী স্কুলটি আমাদের জমির উপর তৈরী। সেজন্য আমি এমপি সাহেবের ডিও লেটার নিয়ে শিক্ষা বোর্ডে জমা দিয়েছি সভাপতি পদের জন্য। কিন্তু লায়ন বাবুল এমপি সাহেবের স্বাক্ষর নকল করে ভূয়া ডিও লেটার দিয়ে স্কুলের সভাপতি হয়েছেন। সেজন্য আমি আদালতে একটি ভুয়া স্বাক্ষরের মামলা দায়ের করে কমিটি বাতিলের আবেদন করেছি। এর মধ্যে লায়ন বাবুল জোড় জবরদস্তি করে স্কুলে প্রবেশ করে মিটিং করার জন্য প্রধান শিক্ষককে হুমকি প্রদান করে। খবর পেয়ে আমরা স্কুলে আসলে লায়ন বাবুল ও তার লোকজন আমাকে ও আমার লোকজনকে মারধর আহত করে। আহতদের মধ্যে দাইয়ান সরকার অবস্থা আশংকাজনক তাকে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।