সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
২০০৬ সালে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার বক্তাবলিস্থ এক ইটভাটায় জবাই করে শ্রমিক হত্যার অভিযোগে যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডিত আসামী দীর্ঘ ১৬ বছর পলাতক থাকার পর মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১। ১৫ নভেম্বর মঙ্গলবার বিকেলে এ তথ্য জানান র্যাব-১১ এর মিডিয়া অফিসার সহকারী পরিচালক এএসপি রিজওয়ান সাঈদ জিকু।
তিনি জানান, গত ১ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানা হতে একটি অধিযাচনপত্রে যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডিত সাজাপ্রাপ্ত ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী মোঃ কালাচাঁনকে গ্রেপ্তারের জন্য র্যাব-১১ কে অনুরোধ করা হয়। এরই প্রেক্ষিতে বর্ণিত বিষয়ে র্যাব ছায়া তদন্ত শুরু করে। এক পর্যায়ে র্যাব-১১ এর একটি গোয়েন্দা দল গোপন তথ্যের মাধ্যমে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামীর অবস্থান সনাক্ত করতে সক্ষম হয়। ফলশ্রতিতে, র্যাব উক্ত আসামীকে গ্রেপ্তারের উদ্দেশ্যে গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-১১ এর অভিযানে ১৫ নভেম্বর বিকেলে মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়া থানা এলাকা হতে মোঃ কালাচাঁনকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত আসামী তার অপরাধ সম্পর্কে তথ্য প্রদান করে।
উল্লেখ্য যে গত ২০০৬ সালের ২৬ অক্টোবর কোরবানের ঈদের দিন রাতে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার বক্তাবলিস্থ ইটভাটায় একটি হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। জুয়া খেলাকে কেন্দ্র করে ৫ জন আসামী পরস্পর যোগসাজশে ইটভাটার অপর এক শ্রমিককে নৃশংসভাবে জবাই করে হত্যা করে। উক্ত ঘটনায় ইটভাটার মালিক বাদী হয়ে ফতুল্লা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন যার মামলা নং-৭৮(১০)০৬, ধারা ৩০২/৩৪। জেলা ও দায়রা জজ আদালত, নারায়ণগঞ্জ বিচার শেষে মামলার আসামীদের বিরুদ্ধে আনীত পেনাল কোড ১৮৬০ এর ৩০২/৩৪ ধারার অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমানিত হওয়ায় গত ৪ নভেম্বর ২০০৯ তারিখে গ্রেপ্তারকৃত আসামীসহ ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করেন।
আসামীর স্বীকারোক্তি মতে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী হতে গ্রেপ্তার এড়াতে ঘটনার পর পরই নারায়ণগঞ্জ থেকে পালিয়ে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় নতুন ঠিকানায় বসতি স্থাপন করে মৎস্যজীবি হিসেবে কাজ করতে থাকে এবং বিগত দীর্ঘ ১৬ বছর উক্ত মামলায় সে পলাতক ছিলো।
এই নির্মম হত্যাকান্ডের ঘটনায় দন্ডপ্রাপ্ত আসামীদের মধ্যে ১ জনকে গত ১০ অক্টোবর ২০২২ তারিখ র্যাব-১১ গ্রেপ্তার করেছে। বাকী আসামীদের মধ্যে ১ জন মৃত্যুবরণ করেছেন এবং ২ জন পলাতক আসেন। পলাতক আসামীদের গ্রেপ্তারে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত রয়েছে।