সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলার ছাত্রদল নেতা অনিককে হত্যার অভিযোগ তুলে স্থানীয় আওয়ামীলীগের ১৪জন নেতাকর্মীর নামে আদালতে মামলার আবেদন করেছেন নিহতের পিতা আক্তার হোসেন। ২২ নভেম্বর মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই নাশিল দায়ের করা হয়। পিটিশনে ১৪জনের নাম সহ আরো ১০জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি দেখানো হয়।
নালিশি পিটিেনে রূপগঞ্জ উপজেলার ভুলতা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মো. রাশেদ ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক মো. ইকবাল শিকদার, আওয়ামী লীগ নেতা বাবু, রাসেল, মো. শাহীন মিয়া, মো. জাহাঙ্গীর মোল্লা, মো. ওবায়দুর, মো. আলাউদ্দিন, মো. মিজান, রাজীব, মো. রানা, রিফাত, ইমরানকে অভিযুক্ত করা হয়।
অনিক নিহতের ঘটনায় পুলিশ কি ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে তা জানতে থানা পুলিশকে আগামী তিন কার্য দিবসের মধ্যে জবাব দিতে নির্দেশ দেন আদালত। একই সঙ্গে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল থেকে অনিকের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আদালতে হাজির করার নির্দেশও দেওয়া হয়।
বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান গণমাধ্যমকে বলেন, অনিক রূপগঞ্জের একটি ব্যাংকের সিকিউরিটি গার্ড হিসেবে কাজ করতেন পাশাপাশি তিনি একটি ওয়ার্ডের ছাত্রদলের কমিটির সহ-সভাপতি ছিলেন। গত ৩ নভেম্বর রূপগঞ্জে একটি মশাল মিছিলে তারা অংশগ্রহণ করেন। মিছিল বের হলে সেখানে ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা করেন। এক পর্যায়ে তারা অনিককে ধরে ফেলেন এবং একটি চলন্ত ট্রাকের নিচে ফেলে হত্যা করেন। আমরা আশা করেছিলাম রূপগঞ্জ থানা পুলিশ এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে। তবে ঘটনার ১৯ দিন পার হলেও পুলিশ মামলা না নেওয়ায় আমরা আজ আদালতের শরণাপন্ন হয়েছি।
এখানে উল্লেখ্যযে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে গত ৩ নভেম্বর ঢাকা সিলেট মহাসড়কে মশাল মিছিল বের করেন রূপগঞ্জ থানা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। মিছিলের শেষ পর্যায়ে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতাকর্মীরা মিছিকারীদের ওপর হামলা চালায়। হামলার সময় ঘটনাস্থলে ট্রাকের চাপায় গুরুতর আহত হন কাঞ্চন পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সহ-সভাপতি অমিত হাসান অনিক। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢামেকে নিয়ে গেলে সেখানে মারা যান তিনি।