সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার বারদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লায়ন মাহবুবর রহমান বাবুলের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁ) আসনের এমপি লিয়াকত হোসেন খোকার স্বাক্ষর ও সিল জালিয়াতি করায় ঢাকা মূখ্য মহানগর হাকিম এর আদালত একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
২৮ নভেম্বর সোমবার সকালে এই মামলাটি দায়ের করেন সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকার পক্ষে তার পিএস হাফেজ মাহমুদুল আনোয়ার।
মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বারদী স্কুল এন্ড কলেজ এর গভর্নিং বডির সভাপতি পদটি অবৈধ উপায়ে হাসিল করার জন্য বিবাদী লায়ন মাহবুবর রহমান বাবুল স্বয়ং কতিপয় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির সহায়তায় ও পরস্পর যোগসাজশে বাদীর জাতীয় সংসদের লেটার হেড প্যাড, বাদীর স্বাক্ষর ও সীল, বাদীর দপ্তরের ভূয়া স্মারক নং, এবং ভূয়া স্মারকে উল্লেখিত সকল বক্তব্য জাল করে উক্ত জাল পত্রটিকে সঠিক মর্মে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ঢাকায় উপস্থাপন করে প্রতারণা, জাল-জালিয়াতি, অপরাধজনক বিশ্বাস ভঙ্গসহ ভূয়া ও জালপত্রকে সঠিক মর্মে উপস্থাপন করে বারদী স্কুল এন্ড কলেজের সভাপতি পদটি হাসিল করে দন্ডনীয় অপরাধ করায় মোকদ্দমাটি দায়ের করা হয়।
এর আগে বারদী হাই স্কুল এন্ড কলেজের কেন অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হবে না? জানতে চেয়েছিলেন আদালত। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে সম্প্রতি একটি কারণ দর্শানোর নোটিশে এ প্রশ্ন করেছে নারায়ণগঞ্জের একটি আদালত। নোটিশ প্রাপ্তির ২ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছিলো। লায়ন মাহবুবুর রহমান ওরফে বাবুল সোনারগাঁ উপজেলার বারদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। তাঁর বিরুদ্ধে এর আগেও নানা বির্তকিত কর্মকা-ের অভিযোগ রয়েছে।
উল্লেখ বারদী হাই স্কুল এন্ড কলেজে ১২ জন প্রার্থী মনোনয়ন সংগ্রহ করে। পরে ৩ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করলে কোন প্রতিদ্বন্দ্বি না থাকায় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বোর্ডের নীতিমালা ২০০৯ এর ২৩ (১) বিধি অনুযায়ী ৯জনকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়। এরপর মাহবুবুর রহমান সভাপতি নির্বাচিত হন। বারদী হাই স্কুল এন্ড কলেজ এর গভণিং বডির সভাপতি মাহবুবুর রহমান এর বিরুদ্ধে আপত্তি জানিয়ে গত ৭ নভেম্বর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেন স্কুলটির সভাপতি পদপ্রার্থী মো. জাকির সরকার।
সেখানে উল্লেখ করা হয়, স্থানীয় সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকার ভূয়া সিল-স্বাক্ষরকৃত ডিও দিয়ে অনৈতিক উপায়ে, জালজালিয়াতি ও শিষ্টাচারবহির্ভূত ভাবে সভাপতি হয়েছেন। আর সাইদ নামের আরও এক ব্যক্তি তাঁর বিরুদ্ধে আদালত থেকে কারণ দর্শনোর নোটিশ দেন। এবিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা জানান, আমি মাহবুবুর রহমানের পক্ষে কোন প্রকার সুপারিশ করিনি। এ বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক মুহাম্মদ মোস্তফা‘র নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও ফোন রিসিভ করেনি।
অভিযুক্ত বারদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তার ব্যবহিত মোবাইল নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।