সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির ১৪জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে আরো ৭০/৮০জন নেতাকর্মীকে আসামি করে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করেছে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশ। নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে- বিএনপির নেতাকর্মীরা নাশকতার উদ্দেশ্যে ককটেল ছুড়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে বিস্ফোরিত ককটেলের অংশ, ৪টি লোহার রড ও ৮টি কাঠের বাঠাম উদ্ধার করেছে পুলিশ।
২৯ নভেম্বর মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) কাজী ফেরদৌস বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার বিষয়টি স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে নিশ্চিত করেছেন সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিচুর রহমান মোল্লা। মামলায় বিএনপি নেতা আহমেদুল হাসান, হাসান আহেম্মদ ইকবাল, খোকন সাহা, সাখাওয়াত হোসেন জ্যাকিকে গ্রেপ্তর দেখানো হয়েছে।
মামলায় জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাবেক সেক্রেটারি ও মহানগর বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ খান ভাষানী ভুঁইয়া, বিএনপি নেতা ফারুক হোসেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম সজল, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি ও মহানগর যুবদল নেতা রাফিউদ্দিন রিয়াদ, বিএনপি নেতা ফারুক আহম্মেদ, আনোয়ার মাতব্বর, যুবদল নেতা জুলহাস, আনোয়ার, নূরে হামিদ হৃদয়, পিচ্চি মাসুমসহ অজ্ঞাত ৭০-৮০ জনকে আসামি করা হয়।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, শহরের মিশনপাড়ায় হোসিয়ারি সমিতির পশ্চিম পাশের রাস্তায় নাশকতার উদ্দেশে বিএনপি নেতাকর্মীরা গোপন বৈঠক করছে- এমন সংবাদে পুলিশ সেখানে যায়।
এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ককটেল ছুড়তে থাকেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পুলিশ আট রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এসময়ে ঘটনাস্থল থেকে বিস্ফোরিত ককটেলের অংশ, চারটি লোহার রড ও আটটি কাঠের বাঠাম উদ্ধার করে পুলিশ।
এদিকে মহাগনগর বিএনপি নেতারা দাবি করেছেন- মুলত আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে বিএনপি নেতাকর্মীদের ঠেকাতেই সরকার দল আওয়ামীলীগের পক্ষে মিথ্যা ঘটনা সাঁজিয়ে গায়েবী মামলা দায়ের করেছে। নারায়ণগঞ্জে এ ধরণের কোনো ঘটনাই ঘটেনি। মামলার আসামি মনিরুল ইসলাম সজল জানিয়েছেন, কদিন যাবত আমি আমার ক্যান্সার আক্রান্ত মুর্মুর্ষ মাকে নিয়ে হাসপাতালে আছি, অথচ আমি নাকি নারায়ণগঞ্জের হোসিয়ারি সমিতির সামনে গিয়ে পুলিশকে ককটেল মারছি?