সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ মহানগরের বিএনপি’র আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, ১০ ডিসেম্বর যতই ঘনিয়ে আসছে সরকারের হামলা মামলা নির্যাতন ততই বেড়ে যাচ্ছে। আজ ৭ ডিসেম্বর বুধবার সরকারের পেটুয়া পুলিশ বাহিনী বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও এর আশেপাশে নির্বিচারের গুলি চালিয়েছে, নিরীহ নেতাকর্মীদের উপর অমানুষিক নির্যাতন চালিয়েছে। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমানুল্লাহ আমানসহ কয়েকশত নেতা কর্মীকে আটক করেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় অসংখ্য নেতাকর্মী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। পুলিশের এই বর্বর হামলা ও নির্যাতনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সেই সাথে রুহুল কবির রিজভী ও আমানুল্লাহ আমানসহ সকল গ্রেপ্তারকৃত নেতাকর্মীর মুক্তি দাবি করছি।
৭ ডিসেম্বর বুধবার রাতে গণমাধ্যমে সাখাওয়াত হোসেন খান আরো বলেন, গ্রেফতার হামলা মামলাকে আর বিএনপি নেতাকর্মীরা ভয় পায় না। গত ১৫ বছর যাবত ঘরছাড়া বিএনপি আর ঘরে ফিরে যাবে না। তারা মাথায় কাফন বেঁধে রাজপথে নেমেছে দেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে। কোন বাঁধাই তাদের দমিয়ে রাখতে পারবেনা। সারাদেশে যে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে সেই জোয়ার এই স্বৈরাচারী সরকারের মসনদ ভাসিয়ে নিয়ে যাবে।
তিনি বলেন, বিএনপি হারানোর আর কিছু নেই। তারা ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য এই আন্দোলন সংগ্রাম করছে না, বিএনপি রাজপথে নেমেছে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে যেমন দেশের সাধারণ মানুষ লড়াই সংগ্রাম করে স্বাধীনতার সূর্য ছিনিয়ে এনেছিলো, ১৯৯০ সালে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে যেভাবে স্বৈরাচারী সরকারের পতন হয়েছিলো, তেমনি ভাবে ২০২২ সালের ১০ ডিসেম্বর আরেকটি স্বৈরাচার পতনের ইতিহাস রচিত হবে। সেই ইতিহাসের অংশ হতে, দেশের মানুষকে এই স্বৈরাচারী সরকারের দুঃশাসন থেকে মুক্তি দিতে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিতেও বিএনপি নেতাকর্মীরা পিছপা হবে না। বিএনপি এর শেষ দেখে ছাড়বে। আমরা হয় মরবো না হয় মারবো কিন্তু দেশের গণতন্ত্রের প্রশ্নে আপোষ করবো না। শহীদ জিয়ার আদর্শ বুকে ধারণ করে এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় বিএনপির প্রতিটি নেতাকর্মী আজ জীবন দিতেও প্রস্তুত আছে। দেশের মানুষের এই আত্মত্যাগ কখনো বৃথা যেতে পারে না। বিজয় আমাদের হাতছানি দিয়ে ডাকছে। আমরা জয়ের খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেছি। পরাজয় বুঝতে পেরে আওয়ামীলীগ মরণ কামড় দিচ্ছে। তাদের সেই বিষদাঁত ভেঙে ফেলতে হবে। স্বৈরাচারের মসনদ থেকে তাদেরকে নামিয়ে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সেই অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে আগামী ১০ ডিসেম্বর সবাই ঢাকা রাজপথে অবস্থান নেবো- এই হোক আমাদের দৃঢ় অঙ্গীকার।