ডিস বাবু কারাগারে, ডিস বশির ও ডিস জামানের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

১৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ শহরের পাইকপাড়া এলাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল করিম বাবুকে গ্রেপ্তার করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। একইদিন সকালে নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালে ডিস বাবুর সহযোগী ডিস বশির এবং ডিস জামানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন এক বিধবা নারী।

বন্দরের এক ব্যবসায়ীর দায়ের করা চাঁদাবাজি মামলায় ডিস বাবুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাকে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হলে আদালত বৃহস্পতিবার সন্ধায় তাকে জেলা কারাগারে পাঠান। এদিকে ডিস বাবুর প্রভাবে বন্দরের ডিস ব্যবসার নিয়ন্ত্রক ডিস বশির ও ডিস জামানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা ঢুকে দিয়েছেন এক নারী।

জানাগেছে, নারায়ণগঞ্জ বন্দরের ডিস ব্যবসায়ী বশির উদ্দীন ও জামানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেছেন বন্দর চৌরাপাড়া এলাকার এক বিধবা নারী। ওই নারীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘ প্রায় ৮ বছর ধরে ধর্ষণ করে আসছিল ডিস বশির যা মামলায় অভিযোগ করা হয়। যার ফলে ওই নারীর গর্ভে এক ৭ বছরের ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। এখন সন্তানের পিতার পরিচয় দাবিও করেছেন ওই নারী।

আদালত সূত্রে জানাগেছে, ১৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল আদালতে ওই নারী বশিরউদ্দীনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের দায়ে মামলা দায়ের করেন। মামলায় বশিরউদ্দীনের সহযোগীতায় ডিস জামানও নারীকে ধর্ষণ করে বলে তাকে আসামি করা হয়।

অভিযুক্ত বশির উদ্দীন নারায়ণগঞ্জ বন্দরের ২৫নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ লক্ষণখোলা এলাকার মৃত আহসান উদ্দিনের ছেলে ও জামান ২৪নং ওয়ার্ডের নবীগঞ্জ উত্তরপাড়া এলাকার মৃত রমিজউদ্দীনের ছেলে। আদালত মামলাটি পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলায় বাদী অভিযোগ করেন- ধর্ষণের শিকার বাদী ওই নারী বশিরউদ্দিনের বাড়ির কাপড় ধোয়া ও রান্না বান্নার কাজ করতেন। ২০১১ সালের জানুয়ারী মাসের শেষের দিকে একদিন রাত ১০টার দিকে বশিরউদ্দীন তার বাড়িতে কাজ করতে ওই নারীকে নিয়ে যান। ওইদিন বাসায় কেউ না থাকার সুবাদে বশিরউদ্দীন নারীকে ধর্ষণ করে। এ বিষয়টি বাদী সবাইকে বলে দেয়ার কথা বললে তাকে বিয়ে করবে বলে আশ্বাস দেন বশিরউদ্দীন। ওই বছর আরও বেশকবার নারীকে ধর্ষণ করলে তিনি গর্ভবতী হয়ে যান। এতে তার বাচ্চা নষ্ট করতেও চাপ দেন বশিরউদ্দীন।

পরবর্তীতে নারী এক পূত্র সন্তানের জন্ম দেন। যার বয়স ৭ বছর। বাচ্চা নিজের স্বীকার করে নিবে বলে আশ্বাস দিয়ে আর ৬ বছর নারীকে ধর্ষণ করে বশিরউদ্দীন।

এদিকে ২০১৪ সালের জানুয়ারী মাসে বিষয়টি মীমাংসার কথা বলে রাত ১০টার দিকে বাড়িতে নিয়ে যায়। ওইদিনও বশিরউদ্দীন নারীকে ধর্ষণ করে। ওইদিন ঘর থেকে বশিরউদ্দীন বের হলে জামান ঘরে ঢুকে নারীকে ধর্ষণ করে। তবে এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত দুই আসামির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাদের পাওয়া যায়নি।