সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
গত ১০ ডিসেম্বর ঢাকা বিভাগীয় মহাসমাবেশ করেছে বিএনপি। সেই সমাবেশে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান ও সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু মহানগর বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের কয়েক হাজার নেতাকর্মীদের নিয়ে হাজারো বাধা পেরিয়ে যোগদান করেন। রাজধানীতে কয়েক হাজার নেতাকর্মীদের নিয়ে ঢাকায় শোডাউনও দেন তারা। কিন্তু গত ১৩ সেপ্টেম্বর মহানগর বিএনপির কমিটি গঠনের পর হটাত বিএনপির রাজনীতিতে দেখা যায় আতাউর রহমান মুকুলকে, যিনি এর আগে সরকারি দল আওয়ামীলীগ ও জাতীয় পার্টির নেতাদের সঙ্গে মঞ্চে ওঠে রাজনীতি করছিলেন।
মুকুল তার অনুগামীদের নিয়ে মহানগর বিএনপিকে ঠেকানোর মিশনে নামেন। দু’তিনটি পাল্টা কর্মসূচি পালন করেই আবারো বিএনপির রাজনীতি থেকে উধাও হয়েছেন মুুকুল। মহানগর বিএনপির বিরোধীতা করে পাল্টা দুতিনটি কর্মসূচি পালন করলেও ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশে তাকে দেখা যায়নি। এমনকি ১৩ ডিসেম্বর কেন্দ্র ঘোষিত বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচি পালনেও দেখা যায়নি মুকুলকে। কেউ কেউ বলছেন- বিএনপির সুসময়ের সম্ভাবনা দেখেই বিএনপিতে নিজেকে জড়ানোর চেষ্টা করেছেন। সরকারের হামলা মামলার কারনে আবারো লেজ গুটিয়ে গেছেন মুকুল। যেকোনো সময় হয়তো পূর্বের মত আবারো আওয়ামীলীগ ও জাতীয় পার্টির নেতাদের সঙ্গে তাকে দেখা যেতে পারে।
নেতাকর্মীরা জানান, এই সরকার আমলে আওয়ামীলীগ ও জাতীয় পার্টির নেতাদের সঙ্গে এক মঞ্চে রাজনীতি করেছেন আতাউর রহমান মুকুল। এলাকার উন্নয়নমুলক কর্মকান্ডের অনুষ্ঠান ছাড়াও জাতীয় পার্টির রাজনৈতিক সভা সমাবেশেও উপস্থিত থেকেছেন প্রকাশ্যে। এমনকি বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীর বিরোধীতা করে জাতীয় নির্বাচনে প্রকাশ্যে লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছেন এবং ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীর এজেন্টদের মারধর করে কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়েছেন মুকুল।
নেতাকর্মীদের অভিযোগ-গত ১৮ নভেম্বর বন্দরের ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপির কর্মীসম্মেলনে পুলিশ কয়েকদফা বাধা প্রদান করে। খোলা মাঠে করতে বাধা দেয়। ওই বিষয়ে বিএনপি নেতারা অভিযোগ করেছিলেন- যারা নৌকা লাঙ্গল মার্কা তারাই সরকারি দলের নেতাদের মাধ্যমে প্রশাসন দিয়ে বিএনপির কর্মীসম্মেলনে বাধা সৃষ্টি করেছে। এর একদিন পরেই বন্দর থানায় মামলা দায়ের করা হয় এবং সাখাওয়াত-টিপুর ঘনিষ্ঠ নেতা নূর মোহাম্মদ পনেছ সহ ৪জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত ১৯ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জে সিটি করপোরেশনের বন্দরে ২৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ভাঙচুরের মামলায় ২৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৩০ জনকে আসামী করা হয়। মামলায় মুকুলকেও আসামি করা হয়। এ ছাড়াও সাখাওয়াত ও টিপুর ঘনিষ্ঠ কর্মী বন্দর থানা বিএনপির সাবেক সেক্রেটারি নূর মুহাম্মদ পনেছ ও মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক হাবিবুর রহমান দুলাল, থানা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি নাজমুল হক রানাকে আসামী করা হয়। সেই থেকে মুকুলকে আর বিএনপির কোনো কর্মকান্ডে দেখা যায়নি।
নেতাকর্মীদের আরো অভিযোগ- গত ৬ অক্টোবর যখন মহানগর বিএনপির নবগঠিত কমিটির আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন খান ও সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু কেন্দ্রীয় কর্মসূচি শোক র্যালী পালন করেন। সেদিন সরকারি দলের প্রভাব খাটিয়ে বিএনপির লোকজনদের হুমকি ধমকি ভয়ভীতি দেখিয়ে মুকুল গংদের পাল্টা র্যালীতে যোগদান করানোর চেষ্টা করা হয়। মুকুলের আয়োজিত র্যালীতে গেলে মামলা হবেনা কিন্তু সাখাওয়াত-টিপুর নেতৃত্বে র্যালীতে যোগদান করলে মামলার আসামি হতে হবে বলে নেতাকর্মীদের এমন ভয় দেখানো হয়। তারপরেও সাখাওয়াত ও টিপুর নেতৃত্বে বিশাল শোডাউন করে মহানগর বিএনপি।