সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে পুলিশ, সাংবাদিকসহ উভয় পক্ষের কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। পুলিশ ঘটনা নিয়ন্ত্রনে আনতে ৮ রাউন্ড গুলি নিক্ষেপ করেছে। আহত ৫ পুলিশ সদস্য ও ৩ গ্রামবাসী আড়াইহাজার উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। বাকীরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বাহ্মন্দী ইউনিয়নের উজানগোপিন্দি বিনাইরচর চর এলাকায় ২ জানুয়ারি সোমবার দুপুরে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, গত শুক্রবার স্থানীয় এক মাদরাসার ওয়াজ মাহফিলে ছোট বিনাইরচর গ্রামের এক প্রতিবন্ধী ছেলেকে উজানগোপিন্দী গ্রামের লোকজন মারধর করে। এ নিয়ে গত তিন দিন যাবত ছোট বিনাইরচর এবং উজানগোপিন্দী গ্রামবাসির মধ্যে দফায় দফায় মহড়া ও হুমকী ধমকীর ঘটনা ঘটে আসছিল। উজানগোপিন্দী গ্রামের লোকজন বেশ কয়েকবার রহিম মেম্বারের নেতৃত্বে ছোট বিনাইরচর গ্রামে হামলা করে।
এরই ধারাবহিকতায় সোমবার দুপুরে ছোট বিনাইরচর গ্রামের মঞ্জুর কাজীর ছেলে মিথুন স্মার্ট কার্ড আনার জন্য উজানগোপিন্দী উচ্চ বিদ্যালয়ে গেলে সেখানে তাকে মারধর করে উজানগোপিন্দী গ্রামবাসি। ফলে এক পর্যায়ে উভয় গ্রামের লোকজন পরষ্পরের উপর চড়াও হয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সময় ভুলতা বিশনন্দী সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
ঘটনা নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে উত্তেজিত লোকজন পুলিশের উপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। ফলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশ ৮ রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে। গুলি ছোঁড়ার বিয়টি আড়াইহাজার থানার ওসি আজিজুল হক হাওলাদার স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে নিশ্চিৎ করেন। ঘটনায় আড়াইহাজার থানার ৫ পুলিশ সদস্য, দৈনিক আমার সংবাদ পত্রিকার আড়াইহাজার প্রতিনিধি শাহজাহান কবিরসহ উভয় পক্ষের কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়। এ ঘটনায় ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়ন পরিষদের ১ নং ওয়ার্ড সদস্য রহিম মেম্বারকে আটক করেছে থানা পুলিশ।
আড়াইহাজার থানার ওসি আজিজুল হক হাওলাদার স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, পরিস্থিতি আপাতত শান্ত রয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ অবস্থান করছে।