সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
দুদকের মামলায় আদালত কর্তৃক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি ও স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির শীর্ষ দুই নেতাকে নিয়ে রাজপথে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে মহানগর যুবদল। ওই সময় মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মমতাজ উদ্দিন মন্তু ও সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম সজলের নেতৃত্বে নারায়ণগঞ্জ মহানগরীতে বিক্ষোভ মিছিল করে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদল।
৭ জানুয়ারি শনিবার বিকেলে যুবদলের কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে নারায়ণগঞ্জ মহানগরীতে এ বিক্ষোভ মিছিল বের করে মহানগর যুবদল। বিক্ষোভ মিছিলটি নগরীর খানপুর হাসপাতাল রোড থেকে শুরু করে মেট্রো হলের মোড় হয়ে ডনচেম্বার দিয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে মহানগরীর মিশনপাড়া হোসিয়ারি সমিতির মিলনায়তনের সামনে সমাবেশের মাধ্যমে কর্মসূচি শেষ হয়।
এতে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মমতাজ উদ্দিন মন্তু’র সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম সজলের সঞ্চালনায় বিক্ষোভ মিছিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু।
বিক্ষোভ মিছিলে যুবদলের নেতা-কর্মীরা দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি ও স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার প্রতিবাদে বিভিন্ন স্লোগান দেন এবং আদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানান। এছাড়াও কারাবন্দি বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিও শ্লোগান দেন তারা। এ সময় যুবদলের নেতাকর্মীদের মুখে শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে নগরীর আশপাশ।
বিক্ষোভ মিছিল শেষে সমাবেশের প্রধান অতিথি সাখাওয়াত হোসেন খান তার বক্তব্যে বলেন, আগামীর রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমানের নির্দেশে দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষায় আন্দোলনে সারাদেশের মানুষ জাগ্রত হয়েছে। তারেক রহমানের ডাকে এই অবৈধ সরকারের সকল অপকর্মের বিরুদ্ধে মানুষ রুখে দাঁড়িয়েছে। রাজপথে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। সেই গণজোয়ার দেখে সরকার দিশেহারা হয়ে রাজনৈতিকভাবে প্রতিহিংসাপরায়ন হয়ে তাকে মিথ্যা মামলা দিয়েছে সরকার। আদালতের উপর বন্দুক রেখে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে তার ও জোবাইয়াদা রহমানের সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দেয়ানো হয়েছে। তারেক রহমানের সঙ্গে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করতে সরকার ব্যর্থ হয়ে এই ক্রোকের আদেশ।
তিনি আরো বলেন, তারেক রহমান ও জোবাইদা রহমানের সম্পত্তি অবৈধভাবে অর্জিত হয়নি। দেশের সকল সম্পত্তি এই সরকারের আওয়ামীলীগ নেতাকর্মী, মন্ত্রী এমপিদের দখলে। তারা হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করে পাচার করেছে এবং করছে। দেশের সম্পদ তারা লুটপাট করে দেশকে দূভিক্ষের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। দেশে আজ ডলার সংকটের কারনে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানী করতে পারছেনা। ফলে দ্রব্যমুল্যের দাম আকাশচুম্বি।
প্রধান বক্তা আবু আল ইউসুফ খান টিপু তার বক্তব্যে ছাত্রলীগের সম্মেলনের মঞ্চ ভেঙ্গে আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদ ওবায়দুল কাদের পড়ে যাওয়ার বিষয়টি তুলে ধরে বলেন, ছাত্রলীগের সম্মেলনের মঞ্চ ভেঙ্গে ওবায়দুল কাদের পড়ে গেছে, এটা আওয়ামীলীগের ন্যাচারাল পানিশমেন্ট। তাদের উপর প্রকৃতির বিচার ও শাস্তি শুরু হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, নতুন করে টাকা ছাপানো হচ্ছে। দেশের হাজার হাজার কোটি টাকা তারা পাচার করেছে। দেশে টাকার সংকট দেখা দিয়েছে। তারেক রহমান চিকিৎসাধীন অবস্থায় লন্ডনে রয়েছেন। সরকার যখণ দেখেছে জিয়া পরিবারের জনপ্রিয়তা সবচেয়ে বেশি। সে কারনে মিথ্যা সাজানো মামলা দিয়ে তারেক রহমান ও জোবাইদা রহমানের সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দিয়েছে। এর পাল্টা জবাব দেশের জনগণ দিবে।
সমাবেশে এ ছাড়াও বক্তব্য রাখেন- মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মমতাজ উদ্দীন মন্তু, সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম সজল, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাগর প্রধান ও যুগ্ম আহ্বায়ক মোয়াজ্জেম হোসেন মন্টি। তারা বলেছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার সহধর্মিণী বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা. জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে দুদকের দায়ের করা মিথ্যা মামলায় অবৈধ সরকারের ফরমাসি আদালতের আদেশে গ্ৰেপ্তারি পরোয়ানা জারি ও স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করায় আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। দুদকের এই মিথ্যা মামলার কোন ভিত্তি নেই। সরকারের পায়ের নিচের মাটি সরে গেছে। তারেক রহমানের নির্দেশে বিএনপির নেতাকর্মীরা আজ রাজপথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন সংগ্রাম করছে। সরকার সারাদেশে বিএনপির গণজোয়ার দেখে মাথা নষ্ট হয়ে গেছে। এই গনজোয়ার দেখেই তারেক রহমান ও তার সহধর্মিণী ডা. জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি ও স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করানো হয়েছে।
তাঁরা আরও বলেন, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে যতই মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি কিংবা স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করুক না কেন একদিন ঠিকই তিনি বীরের বেশে দেশে ফিরবেন। বিএনপির নেতাকর্মীরা সহ সারাদেশের মানুষ তাকে বরণ করার জন্য উদগ্রীব হয়ে রয়েছে। আমরা দেশের গণতন্ত্র রক্ষা ও বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলবো। অবিলম্বে এই মিথ্যা মামলার আদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।
এসময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন- মহানগর যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি হারুন অর রশিদ লিটন, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক নূরে এলাহী সোহাগ, শেখ মোহাম্মদ অপু, আবুল হোসেন রিপন, সাবেক সহ- সাধারণ সম্পাদক সহিদুল ইসলাম, বন্দর থানা যুবদলের সাবেক সদস্য সচিব শাহাদুল্লাহ মুকুল, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি রাফি উদ্দিন রিয়াদ, মহানগর যুবদলের সাবেক সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক পারভেজ খান, যুুুুবদল নেতা সাইফুল ইসলাম আপন, ফয়েজ উল্লাহ সজল, জাকির হোসেন সেন্টু, সাজ্জাদ হোসেন কমল, মিনহাজ মিঠু, মো. নুরুজ্জামান, শফিকুল ইসলাম, কামরুল হাসান রনি, রেজাউল করিম রেজা, মানিক বেপারী, মো. শাহরিয়ার, নবী হোসেন নবু, হাবিবুর রহমান মাসুদ, এ এইচ সৌরভ , জুনায়েদ মোল্লা, নিক্সন, আঃ হাকিম, ইব্রাহীম, শাহজালাল কালু, ওসমান গনি, ইব্রাহিম, সিফাতুর রহমান রাজু, মিজাম, জামাল প্রধান, মো. রনি, মোক্তার হোসেন, শাহীন শরিফ, নাজমুল জোয়াদ্দার, সজিব আহমেদ, ফারুক হোসেন, ইব্রাহীম মোল্লা, শফিকুল ইসলাম, বিল্লাল হোসেন, ফরহাদ ইসলাম রছি, স্বপন, মিন্টু, লিটন, মিনহাজুল ইসলাম জনি, জহিরুল ইসলাম, তারেক সোবহান বাবু, আলমগীর হোসেন, নুরুল ইসলাম, মো. জামান, শামীম, জেকি, হাবিব, হারুন অর রশিদ, মোতালেব হোসেন, কামাল হোসেন, মো. শাহিন, বলাই মন্ডল, জহিরুল ইসলাম-২, যুবদল নেতা মাকি বেপারী প্রমূখ। এছাড়াও নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদল, বন্দর, সিদ্ধিরগঞ্জ, সদর থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের যুবদলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।